সমুদ্রে পানির ফেনা মূলত দুই কারণে হয়। প্রথম কারণ হলো, সমুদ্রের ঢেউয়ের গতিশক্তির কারণে। ঢেউয়ের শক্তি পানির অণুগুলোকে দ্রুত গতিতে সরে যেতে বাধ্য করে। এই গতিশক্তির কারণে পানির অণুগুলোর মধ্যে থাকা বাতাস বেরিয়ে আসে এবং ফেনার সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয় কারণ হলো, সমুদ্রের পানিতে থাকা বিভিন্ন পদার্থের কারণে। সমুদ্রের পানিতে প্রচুর পরিমাণে লবণ, কাদা, বালি, এবং অন্যান্য পদার্থ থাকে। এই পদার্থগুলো পানির অণুগুলোকে একত্রে আটকে ফেলে। ফলে ঢেউয়ের শক্তির কারণে পানির অণুগুলো দ্রুত গতিতে সরে গেলেও, এই পদার্থগুলোর কারণে ফেনা তৈরি হয়।
সমুদ্রে ফেনার পরিমাণ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। যেমন, ঢেউয়ের উচ্চতা, সমুদ্রের পানিতে লবণের পরিমাণ, এবং সমুদ্রের পানিতে অন্যান্য পদার্থের পরিমাণ। ঢেউয়ের উচ্চতা যত বেশি হবে, ফেনার পরিমাণ তত বেশি হবে। সমুদ্রের পানিতে লবণের পরিমাণ যত বেশি হবে, ফেনার পরিমাণ তত কম হবে। এবং সমুদ্রের পানিতে অন্যান্য পদার্থের পরিমাণ যত বেশি হবে, ফেনার পরিমাণ তত বেশি হবে।
সমুদ্রে ফেনা সাধারণত সাদা রঙের হয়। তবে, সমুদ্রের পানিতে থাকা বিভিন্ন পদার্থের কারণে ফেনার রঙ বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন, সমুদ্রের পানিতে লোহা থাকলে ফেনার রঙ লালচে হতে পারে। এবং সমুদ্রের পানিতে সালফার থাকলে ফেনার রঙ হলুদ হতে পারে।
সমুদ্রে ফেনা একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মানুষের কার্যকলাপের কারণেও সমুদ্রে ফেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন, সমুদ্রে শিল্প বর্জ্য ফেলা হলে, সেই বর্জ্যের কারণে সমুদ্রে ফেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।