সমুদ্রের ফেনা সাদা হয় কারণ সূর্যের আলো সাদা। সূর্যের আলো দৃশ্যমান সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নির্গত করে, যা সমন্বিতভাবে সাদা রঙ ধারণ করে। আর আছড়ে পরা ঢেউয়ে তৈরি হয় ফেনা। এই ফেনা আসলে অনেকগুলো বুদবুদ। পানির বুদবুদের বাহিরে থাকে পানির পাতলা একটি আবরণ, যার ভেতরে পুরোটাই বাতাস।
সূর্যের আলো যখন এই বুদবুদগুলোর মধ্য দিয়ে যায়, তখন আলোর কিছু অংশ শোষিত হয় এবং কিছু অংশ প্রতিফলিত হয়। শোষিত আলোর পরিমাণ বুদবুদের আকার এবং পানিতে থাকা দ্রবীভূত পদার্থের উপর নির্ভর করে। প্রতিফলিত আলোর পরিমাণ বুদবুদের আকার, পানিতে থাকা দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ এবং বুদবুদের মধ্যে থাকা বাতাসের পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
সাধারণত, বুদবুদ যত ছোট হয়, তত বেশি আলো প্রতিফলিত হয়। পানিতে দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ যত বেশি হয়, তত বেশি আলো শোষিত হয়। এবং বুদবুদের মধ্যে থাকা বাতাসের পরিমাণ যত বেশি হয়, তত বেশি আলো প্রতিফলিত হয়।
সমুদ্রের ফেনাতে থাকা বুদবুদগুলোর আকার সাধারণত খুব ছোট হয়। পানিতে দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণও খুব বেশি হয়। এবং বুদবুদের মধ্যে থাকা বাতাসের পরিমাণও খুব বেশি হয়। তাই সমুদ্রের ফেনার মধ্য দিয়ে যাওয়া সূর্যের আলোর বেশিরভাগ অংশই প্রতিফলিত হয়। ফলে সমুদ্রের ফেনা সাদা দেখায়।
তবে, সমুদ্রের পানিতে থাকা বিভিন্ন পদার্থের কারণে ফেনার রঙ বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন, সমুদ্রের পানিতে লোহা থাকলে ফেনার রঙ লালচে হতে পারে। এবং সমুদ্রের পানিতে সালফার থাকলে ফেনার রঙ হলুদ হতে পারে।