সমুদ্রের ফেনা সাদা হয় কেন ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
759 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

6 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (54,300 পয়েন্ট)
পানি মূলত স্বছ, এর কোনো রঙ নেই। কিন্তু তাহলে ঢেউগুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে কেনো? অনেকে ভুল ধারণা পোষণ করে লবণকে দায়ী করেন। কিন্তু লবণ এক্ষেত্রে মোটেই দায়ী নয়। দায়ী সূর্যের আলো। আরে, এ আবার কেমন কথা! হ্যাঁঁ, ঠিক শুনছেন। সূর্যের আলো মূলত সাদা। সূর্য দৃশ্যমান সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নির্গত করে, যা সমন্বিতভাবে সাদা রঙ ধারণ করে। আর আছড়ে পরা ঢেউয়ে তৈরী হয় ফেনা। এই ফেনা আসলে অনেকগুলো বুদবুদ। পানির বুদবুদের বাহিরে থাকে পানির পাতলা একটি আবরণ, যার ভেতরে পুরোটাই বাতাস। কিন্তু পানির একেকটি ফোঁটার পুরোটাই পানি। আলোক রশ্মি পানির ফোঁটা এবং বুদবুদ দুইয়ের ভেতর দিয়েই অতিক্রান্ত হয়। কিন্তু পানির বুদবুদের ক্ষেত্রে শোষিত আলোর পরিমাণ পানির ফোঁটার থেকে তুলনামূলক অনেক কম। কারণ সমান আয়তনের একটি বুদবুদে পানির ফোঁটা হতে কম পানি থাকে। ফলে খুব বেশী পরিমাণ সূর্যের আলো শোষিত হতে পারে না, এবং ভেতরকার বাতাস আলো মোটেই শোষণ করে না, ফলে সূর্যরশ্মির বেশীরভাগ বুদবুদের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যায়। অপরদিকে পানির ফোঁটাতে (এবং সমন্বিতভাবে পানি) পুরোটাই থাকে পানি, যা তুলনামূলক বেশি আলো শোষণ করে। এই ঘটনার দরুণ আছড়ে পরা ঢেউয়ের পানি সমুদ্রের অন্যান্য অংশের পানি অপেক্ষা বেশি উজ্জ্বল দেখায়, ফলে আমরা ঢেউগুলোকে সাদা রঙের দেখতে পাই।

Source: Quora
+1 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
পানি মূলত স্বছ, এর কোনো রঙ নেই। কিন্তু তাহলে ঢেউগুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে কেনো? অনেকে ভুল ধারণা পোষণ করে লবণকে দায়ী করেন। কিন্তু লবণ এক্ষেত্রে মোটেই দায়ী নয়। দায়ী সূর্যের আলো। আরে, এ আবার কেমন কথা! হ্যাঁঁ, ঠিক শুনছেন। সূর্যের আলো মূলত সাদা। সূর্য দৃশ্যমান সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নির্গত করে, যা সমন্বিতভাবে সাদা রঙ ধারণ করে। আর আছড়ে পরা ঢেউয়ে তৈরী হয় ফেনা। এই ফেনা আসলে অনেকগুলো বুদবুদ। পানির বুদবুদের বাহিরে থাকে পানির পাতলা একটি আবরণ, যার ভেতরে পুরোটাই বাতাস। কিন্তু পানির একেকটি ফোঁটার পুরোটাই পানি। আলোক রশ্মি পানির ফোঁটা এবং বুদবুদ দুইয়ের ভেতর দিয়েই অতিক্রান্ত হয়। কিন্তু পানির বুদবুদের ক্ষেত্রে শোষিত আলোর পরিমাণ পানির ফোঁটার থেকে তুলনামূলক অনেক কম। কারণ সমান আয়তনের একটি বুদবুদে পানির ফোঁটা হতে কম পানি থাকে। ফলে খুব বেশী পরিমাণ সূর্যের আলো শোষিত হতে পারে না, এবং ভেতরকার বাতাস আলো মোটেই শোষণ করে না, ফলে সূর্যরশ্মির বেশীরভাগ বুদবুদের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যায়। অপরদিকে পানির ফোঁটাতে (এবং সমন্বিতভাবে পানি) পুরোটাই থাকে পানি, যা তুলনামূলক বেশি আলো শোষণ করে। এই ঘটনার দরুণ আছড়ে পরা ঢেউয়ের পানি সমুদ্রের অন্যান্য অংশের পানি অপেক্ষা বেশি উজ্জ্বল দেখায়, ফলে আমরা ঢেউগুলোকে সাদা রঙের দেখতে পাই।

Sobuj
+1 টি ভোট
করেছেন (8,670 পয়েন্ট)
কারণ সমান আয়তনের একটি বুদবুদে পানির ফোঁটা হতে কম পানি থাকে। ফলে খুব বেশি পরিমাণ সূর্যের আলো শোষিত হতে পারে না এবং ভেতরকার বাতাস আলো মোটেই শোষণ করে না। ... এই ঘটনার দরুণ আছড়ে পড়া ঢেউয়ের পানি সমুদ্রের অন্যান্য অংশের পানি অপেক্ষা বেশি উজ্জ্বল দেখায়। ফলে আমরা ঢেউগুলোকে সাদা রঙের দেখতে পাই।
+1 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
অপরদিকে পানির ফোঁটাতে (এবং সমন্বিতভাবে পানি) পুরোটাই থাকে পানি, যা তুলনামূলক বেশি আলো শোষণ করে। এই ঘটনার দরুণ আছড়ে পড়া ঢেউয়ের পানি সমুদ্রের অন্যান্য অংশের পানি অপেক্ষা বেশি উজ্জ্বল দেখায়। ফলে আমরা ঢেউগুলোকে সাদা রঙের দেখতে পাই।
0 টি ভোট
করেছেন (6,760 পয়েন্ট)
পানির ফোঁটাতে (এবং সমন্বিতভাবে পানি) পুরোটাই থাকে পানি, যা তুলনামূলক বেশি আলো শোষণ করে। এই ঘটনার দরুণ আছড়ে পড়া ঢেউয়ের পানি সমুদ্রের অন্যান্য অংশের পানি অপেক্ষা বেশি উজ্জ্বল দেখায়। ফলে আমরা ঢেউগুলোকে সাদা রঙের দেখতে পাই।
0 টি ভোট
করেছেন (7,800 পয়েন্ট)
সমুদ্রের ফেনা সাদা হয় কারণ সূর্যের আলো সাদা। সূর্যের আলো দৃশ্যমান সকল তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নির্গত করে, যা সমন্বিতভাবে সাদা রঙ ধারণ করে। আর আছড়ে পরা ঢেউয়ে তৈরি হয় ফেনা। এই ফেনা আসলে অনেকগুলো বুদবুদ। পানির বুদবুদের বাহিরে থাকে পানির পাতলা একটি আবরণ, যার ভেতরে পুরোটাই বাতাস।

সূর্যের আলো যখন এই বুদবুদগুলোর মধ্য দিয়ে যায়, তখন আলোর কিছু অংশ শোষিত হয় এবং কিছু অংশ প্রতিফলিত হয়। শোষিত আলোর পরিমাণ বুদবুদের আকার এবং পানিতে থাকা দ্রবীভূত পদার্থের উপর নির্ভর করে। প্রতিফলিত আলোর পরিমাণ বুদবুদের আকার, পানিতে থাকা দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ এবং বুদবুদের মধ্যে থাকা বাতাসের পরিমাণের উপর নির্ভর করে।

সাধারণত, বুদবুদ যত ছোট হয়, তত বেশি আলো প্রতিফলিত হয়। পানিতে দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ যত বেশি হয়, তত বেশি আলো শোষিত হয়। এবং বুদবুদের মধ্যে থাকা বাতাসের পরিমাণ যত বেশি হয়, তত বেশি আলো প্রতিফলিত হয়।

সমুদ্রের ফেনাতে থাকা বুদবুদগুলোর আকার সাধারণত খুব ছোট হয়। পানিতে দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণও খুব বেশি হয়। এবং বুদবুদের মধ্যে থাকা বাতাসের পরিমাণও খুব বেশি হয়। তাই সমুদ্রের ফেনার মধ্য দিয়ে যাওয়া সূর্যের আলোর বেশিরভাগ অংশই প্রতিফলিত হয়। ফলে সমুদ্রের ফেনা সাদা দেখায়।

তবে, সমুদ্রের পানিতে থাকা বিভিন্ন পদার্থের কারণে ফেনার রঙ বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন, সমুদ্রের পানিতে লোহা থাকলে ফেনার রঙ লালচে হতে পারে। এবং সমুদ্রের পানিতে সালফার থাকলে ফেনার রঙ হলুদ হতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 661 বার দেখা হয়েছে
10 ফেব্রুয়ারি 2022 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন সাকিব আনোয়ার (9,610 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 353 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 556 বার দেখা হয়েছে
22 এপ্রিল 2021 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nirjon Barua (7,990 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,077 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,052 বার দেখা হয়েছে
17 জুন 2021 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৮ (54,300 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,624 জন সদস্য

112 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 110 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. LarryBeverly

    100 পয়েন্ট

  5. GuadalupeHov

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...