চামড়াকে প্রথমে পানিতে ভিজানো হয়।পানিতে ভেজানো চামড়া ভালোভাবে ফুলে উঠলে চুনের সাহায্যে লোম ছাড়ানোর কাজ শুরু হয়। এমনভাবে লোম ছাড়ানো হয় যাতে চামড়ার বাইরের স্তর বা এপিডার্মিসের পুরোটাই লোমসহ উঠে আসে এবং এতে চুন একেবারেই যেন না থাকে। এই প্রক্রিয়াকে লাইমিং বলা হয়।
এরপর শুরু হয় ট্যানিং। ট্যানিং বিভিন্নভাবে করা হয় যেমন -
১. ভেজিটেবল ট্যানিংঃ চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য আদিকাল থেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভেজিটেবল ট্যানিং শব্দটা শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এই ট্যানিং গাছপালার উপাদান দিয়ে করা হয়। বিভিন্ন গাছের ফুল,ফল, পাতা, ছাল,শিকড়,আঠা ইত্যাদি ব্যবহার করে সম্পুর্ন প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে ভেজিটেবল ট্যানিং সম্পন্ন হয় এই পদ্ধতিটি সময়সাপেক্ষ,আর সম্পুর্নভাবেই হাতে করতে হয় বিধায় প্রচুর শ্রমশক্তি লাগে। পৃথিবীর উৎপাদিত চামড়ার কমবেশি ১০ ভাগ এখানো ভেজিটেবল ট্যানিং এর মাধ্যমে আসে। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বিধায় মানবদেহে বা পরিবেশে কোন ক্ষতিকর উপাদান থাকেনা। ২. ক্রোম ট্যানিংঃ পৃথিবীর উৎপাদিত চামড়ার প্রায় ৮৫ ভাগই ক্রোম ট্যানিং হতে আসে। ক্রোমিয়াম সালফেট নামক একটা রসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ট্যান করা হয় বিধায় এটাকে ক্রোম ট্যানিং বলে। যদিওবা ক্রোমিয়াম সালফেটের সাথে আরও অনেক কেমিক্যাল লাগে ক্রোম ট্যানিং এ। এই পদ্ধতিতে সময় কম লাগে,চামড়াকে যেমন দরকার তেমন কোয়ালিটিতে ট্যান করা যায়,যেমন দরকার তেমন কালার করা যায়।ক্রোম ট্যানিং এর কেমিক্যাল গুলোতে মানবদেহের জন্য কিছুটা ক্ষতিকর উপাদান বিদ্যমান। উন্নত বিশ্বে পর্যায়ক্রমে ক্রোম ফ্রি চামড়ার কদর বাড়ছে।যদিওবা এর ফলে পন্যের দাম বেড়ে যায়,কিন্তু তারা জনস্বাস্থ্যের ভালোর জন্য সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে। সেসব দেশে চামড়াজাত দ্রব্যের টেস্ট করা হয়।সেটা অবশ্যই এজো-ফ্রি হতে হয়,ক্রোমের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১% পর্যন্ত অনুমোদন দেয় তারা।
উক্ত পদ্ধতিগুলো ছাড়াও আরও অনেক পদ্ধতিতে ট্যানিং করা হয়,যারমধ্যে ফরমালডিহাইড ট্যানিং,এলুমিনিয়াম সল্ট ট্যানিং ইত্যাদি