বাংলাদেশে কি তুষারপাত হওয়া সম্ভব? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
754 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (6,010 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (6,010 পয়েন্ট)
উত্তরটা হ্যাঁ আবার না ৷ মানে এখন সম্ভব না হলেও সুদূর ভবিষ্যতে সম্ভব হলেও হতে পারে ৷ সুদূর মানে আসলেই সুদূর ৷ আগে বলি এখন কেন তুষারপাত হয় না ৷ রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আসা বরফ শীতল বাতাস দক্ষিণে এসে হিমালয়ে আটকে যায় ৷ ফলে যতটুকু বাতাস আসে তাতে হাড় কাঁপুনে শীত পড়লেও তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নামে না, তাই তুষারপাতও হয় না ৷

এবার আসি 'হ্যাঁ' নিয়ে ৷ কয়েক বছর আগে ২০৩০ সালে 'ছোট তুষারযুগ' (Mini Ice Age) আসবে বলে একটা খবর ছড়িয়েছিল ৷ এই 'ছোট তুষারযুগ' হবার কারণ হিসেবে সৌরচক্রকে দায়ী করা হয় ৷ সূর্যের কার্যকলাপ ১১ বছরের চক্রে চলমান থাকে ৷ এই ১১ বছরে কার্যকলাপ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছালে তাকে সোলার মিনিমাম এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে পোঁছালে সোলার ম্যাক্সিমাম বলে ৷ বর্তমানে সূর্য ২৫ নম্বর চক্রে আছে যা ২০১৯ সাল থেকে সোলার মিনিমাম শেষ হবার পর শুরু হয়েছে, শেষ হবে এর ১১ বছর পর ২০৩০ সালে ৷ তখন হবে আরেকটি সোলার মিনিমাম ৷

এই মিনিমাম আর ম্যাক্সিমাম পর্যবেক্ষণ করা হয় সূর্য পর্যবেক্ষণ করে তাতে কতগুলো সৌরকলঙ্ক দেখা যাচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে ৷ সৌরকলঙ্ক যত বেশি দেখা যাবে সূর্য তত সক্রিয় ৷ ২০৩০ সোলার মিনিমামের পরে সূর্য যখন ২৬ নম্বর চক্রে যাবে তখন সৌরকলঙ্কের সংখ্যা গড়ের চেয়েও নেমে যাবে বলে গণনা করে বের করা হয়েছে ৷ একে 'গ্র্যান্ড সোলার মিনিমাম' বলা হচ্ছে ৷ এরপর ২০৫০ সালের মধ্যে সূর্যের কার্যকলাপ গড়ের চেয়েও নেমে যাওয়ায় পৃথিবী তাপ কম পাবে এবং ছোট তুষারযুগ হবে ৷

কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে ৷ ১৬৪৫ - ১৭১৫ সালে যে গ্র্যান্ড সোলার মিনিমাম হয়েছিল তা মন্ডার মিনিমাম নামে পরিচিত ৷ তখন গড়ে যেখানে এক চক্রে ৪০,০০০ এর মতো সৌরকলঙ্ক তৈরি হবার কথা, সেখানে মাত্র ৫০ টির মতো তৈরি হয়েছিল ৷ সে সময় তুষারযুগ এসেছিল ৷ তবে অনেকের মতে সূর্য যেখানে এত বড় সেখানে সোলার মিনিমামের ফলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা কমলেও সেটা আশঙ্কাজনক হবে না ৷ অনেকের মতে এই মন্ডার মিনিমামের সময়ে তুষারযুগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সম্পৃক্ততা আছে ৷ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত সালফার সূর্যের তাপ আটকে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে পারে ৷ সুতরাং ২০৩০ - ২০৫০ এর সোলার মিনিমাম যে বাংলাদেশে তুষারপাত ঘটাবে তার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি ৷ তখন সোলার মিনিমামের পাশাপাশি আর কী কী ঘটবে তা তো এখনই বলা যায় না, তাই 'কাছাকাছি' বলা হয়েছে ৷  

বাংলাদেশে নিশ্চিতভাবে তুষারপাত ঘটবে তুষার যুগে ৷ তুষার যুগ বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা সত্য নয় ৷ পৃথিবীর দুই মেরুতে বরফের উপস্থিতিই হলো তুষার যুগ ৷ সুতরাং পৃথিবী বর্তমানে তুষার যুগেই আছে যার নাম কোয়ার্টারনারি গ্ল্যাসিয়েশন ৷ বর্তমানে গ্লেশিয়াল মিনিমাম চলছে ৷ পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে এখন মেরু বরফ গলে ক্রমাগত কমছে যা মানুষের কর্মকাণ্ডে ত্বরান্বিত হচ্ছে ৷ প্রায় ৫০,০০০ বছর পর পৃথিবী আবার গ্লেশিয়াল ম্যাক্সিমাম পর্যায়ে যাবে এবং মেরু বরফের পরিমাণ অনেক বেড়ে উত্তরে ইউরোপ ও কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমানা পর্যন্ত এবং দক্ষিণে দক্ষিণ আমেরিকার অংশবিশেষ ও দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত চলে আসবে ৷

বাংলাদেশে বাৎসরিক গড় তাপমাত্রা অনেক নেমে যাবে ৷ সে সময় গ্লেশিয়াল ম্যাক্সিমাম কতটুকু অগ্রসর হবে তার উপর বাংলাদেশে কতটুকু তুষারপাত হবে তা নির্ভর করবে ৷

ক্রেডিটঃ রাশিক আজমাইন
0 টি ভোট
করেছেন (4,150 পয়েন্ট)

No ,

বাংলাদেশে কি তুষারপাত হওয়া সম্ভব না ।

পৃথিবীতে কয়েকটি তুষার যুগ গেছে। সে সময়ে হতে‍ পারে। তবে তখন বাংলাদেশ নামক বঙ্গীয় বদ্বীপ গঠিত হয়েছিল কিনা জানা নাই।
0 টি ভোট
করেছেন (7,800 পয়েন্ট)
বাংলাদেশে তুষারপাত অত্যন্ত বিরল, তবে সম্পূর্ণ অসম্ভব নয়। কেন এটি অসম্ভাব্য কিন্তু সম্পূর্ণরূপে শোনা যায় না তার একটি ব্রেকডাউন এখানে রয়েছে:

বাংলাদেশে কেন তুষারপাত বিরল:

জলবায়ু: বাংলাদেশে একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় মৌসুমী জলবায়ু রয়েছে যা সারা বছর উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত। গড় বার্ষিক তাপমাত্রা প্রায় 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস, এমনকি সবচেয়ে ঠান্ডা মাসগুলিও খুব কমই 15 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। এটি তুষার তৈরি করা কঠিন করে তোলে, কারণ এটি একটি স্থায়ী সময়ের জন্য হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রা প্রয়োজন।

ভূগোল: বাংলাদেশ প্রধানত নিম্ন উচ্চতায় অবস্থিত, সর্বোচ্চ বিন্দু মাত্র 1052 মিটারে পৌঁছেছে। উচ্চ উচ্চতায় তুষার গঠনের সম্ভাবনা বেশি যেখানে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা থাকে।
যে পরিস্থিতিতে তুষারপাত হতে পারে:

ঠাণ্ডা বাতাসের ব্যাপক অনুপ্রবেশ: শীতের মাসগুলিতে (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি), হিমালয় থেকে ঠান্ডা বাতাস মাঝে মাঝে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত হতে পারে। এটি তাপমাত্রায় একটি অস্থায়ী তলিয়ে যেতে পারে, সম্ভাব্যভাবে তাদের হিমাঙ্কের কাছাকাছি নিয়ে আসে।

বৃষ্টিপাত: যদি এই ঠান্ডা বাতাসের ভর বৃষ্টিপাতের সময়ের সাথে মিলে যায়, তাহলে তুষার তৈরি হওয়া সম্ভব। যাইহোক, এমনকি এই ধরনের ক্ষেত্রে, তুষারপাত সম্ভবত খুব হালকা এবং স্বল্পস্থায়ী হবে।

বাংলাদেশে তুষারপাতের ঐতিহাসিক ঘটনা:
যদিও অত্যন্ত অস্বাভাবিক, বাংলাদেশে তুষারপাতের কয়েকটি নথিভুক্ত উদাহরণ রয়েছে। 2013 সালে, উত্তরের জেলাগুলি অল্প সময়ের জন্য হালকা তুষারপাতের সম্মুখীন হয়েছিল। একইভাবে, 1968 এবং 1972 সালে, পার্বত্য চট্টগ্রামে তুষারপাতের খবর পাওয়া গেছে।

উপসংহার:
যদিও বাংলাদেশে তুষারপাত তার জলবায়ু এবং ভূগোলের কারণে ব্যতিক্রমীভাবে বিরল, তবে নির্দিষ্ট আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে এটি সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব নয়। সম্ভাব্যতা প্রাথমিকভাবে ঠান্ডা মাস এবং উচ্চ উচ্চতার এলাকায় সীমাবদ্ধ, যে কোনও তুষারপাতের সম্ভাবনা হালকা এবং ক্ষণস্থায়ী।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 351 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 3,808 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 2,398 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 280 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
3 টি উত্তর 498 বার দেখা হয়েছে

10,826 টি প্রশ্ন

18,535 টি উত্তর

4,745 টি মন্তব্য

841,958 জন সদস্য

55 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 55 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...