সূর্যের তাপে সাগর, নদী, পুকুরসহ সব জলাশয় থেকে পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যায়। কারণ জলীয় বাষ্প বাতাসের চেয়ে হালকা। এই হালকা জলীয় বাষ্পই একসময় রূপ নেয় মেঘে। আমরা জানি বায়ুমণ্ডরের যত ওপরে ওঠা যায় তাপমাত্রা তত কমতে থাকে। তাপমাত্রা কমায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের ধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে বায়ুমণ্ডলের একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় জলীয় বাষ্প বেশি হয়ে যায়। ওই জলীয় বাষ্প বাতাসের সঙ্গে থাকা ধূলিকণা ও ধূম্রকণা আশ্রয় করে ঘনীভূত হয়। আরও ঠান্ডা হলে তা পরিণত হয় তুষার কণায়। একসময় বাতাস তাদের আর ধরে রাখতে পারে। তখন তুষার কণাগুলাে ঝরে পড়ে পাহাড় কিংম্বা মাটিতে। বায়ুমণ্ডলে উৎপন্ন তুষারের পরিমাণ অনেক বেশি জমলেও তা পাহাড় পর্বতে ঝরে পড়ে অনেক কম। বাকিগুলাে ঝরে পড়ে বৃষ্টি আকারে। তুষার কণাগুলাে যখন অপেক্ষাকৃত উষ্ণ অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন সেগুলাে গলে বৃষ্টির রূপ নেয় এবং মাটিতে ঝরে পড়ে। তবে পর্বতের উপরের তাপমাত্রা কম থাকায় সেগুলাে জমে বরফ হয়ে থাকে। তুষারপাত হতে ০ ডিগ্রি এর নিচে তাপমাত্রা হতে হয় যা বাংলাদেশে হয়না।আর উত্তরে হিমালয় পর্বতে সাইবেরিয়ার হিমশীতল বাতাস বাধাগ্রস্থ হয় তাই বাংলাদেশে তুষারপাত হয়।
বাংলাদেশে ভবিষ্যতে তুুুষারপাত হবে কিনা?
অনেকের গবেষকদের মতে ২০৩০ সালে পৃথিবীতে তুষারযুগ আসবে। সেই সময় উত্তরাঞ্চল বিশেষকরে পঞ্চগড় বাসী কিছুটা তুষারপাত উপভােগ করতে পারবে।তবে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় কখনােই তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।