মেঘমালা ☁ কীভাবে সৃষ্টি হয়, তা সম্পর্কে কম-বেশি সকলেরই ধারণা আছে। জলাশয়ের পানি বাষ্পীভূত হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে হাওয়ায় ভাসে, যেহেতু জল কণার ভর বাতাসের ভরের চাইতে কম। ঠিক এ কারণেই হট এয়ার বেলুনও আকাশে ওড়ে। কিন্তু মেঘের ভর বাতাসের ভরের চেয়ে অনেক বেশি, ফলে হাওয়ায় ভাসার প্রশ্নই আসে না। তাহলে কেন এমন হয়? এর কারণ, বায়ুপ্রবাহ, যা ক্রমাগত উপর দিকে ছুটে চলছে। ফলে মেঘের ওপর এই বায়ুপ্রবাহের চাপ মাধ্যাকর্ষণকেও হার মানায়। ছোট পিংপল অথবা আপেলের টুকরাও এভাবে ভাসানো যায়! The Action Lab এরকম এক ভিডিও আপলোড করেছে, দেখতে পারেন। (
https://youtu.be/JSnyJt9STOY) এ ঘটনাকে বলে এয়রোডায়নামিক ড্র্যাগ। কোনো বস্তু যদি গোলাকার হয় ও ভরের দিক থেকে হালকা হয়, ফলে নিচ থেকে ছুটে আসা বায়ুপ্রবাহের চাপ অভিকর্ষ বলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাকে আকাশে ভাসায়। মেঘে অবস্থিত জল-কণা মোটামুটি বর্তুলাকার, আবার ভরও কম। ফলে খুব সহজে বায়ুপ্রবাহের চাপ এদেরকে উড়িয়ে ওপরে নিয়ে যায়। তবে জল কণা যদি বেশি জমা হয় তাহলে মেঘমালার পক্ষে হাওয়ায় ভাসা সম্ভব হয় না। এমতাবস্থায় নিচে পড়ে যায়, আর আমরা বৃষ্টি উপভোগ করি।