বয়স আঠারো পেরুলেও উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং কিছু নিয়ম মেনে চলা। পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের গ্রোথ হরমোনের উপরই নির্ভর করে হাড়ের বৃদ্ধি, শারীরিক গঠন এবং মেটাবোলিজম। খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে এই গ্রোথ হরমোনকে সক্রিয় করে তুললে আঠারোর পরেও উচ্চতা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব। জেনে নিন পদ্ধতি।
নিয়মিত হ্যাঙ্গিং এক্সারসাইজ: মাটি থেকে অন্তত ৬/৭ ফিট উপরের কোনো রড ধরে আপনাকে ঝুলতে হবে। হাত সোজা রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনোভাবেই যেন পা মাটিতে না লাগে। এরপর দোলনায় চড়ার মতো সুইং করতে হবে। সুইং করার সময় পিঠ সোজা রাখা জরুরি।
পুষ্টিকর খাবার: উচ্চতা বাড়াতে সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন খাবার তালিকায় নানা রকম ফল, সবজি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট রাখলে তা গ্রোথ হরমোনকে সক্রিয় করে তুলবে। মেটাবোলিজমও বাড়াবে। ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং হাড় মজবুত হবে। ড্রাই ফ্রুটস, দুধ এবং সবুজ শাক অবশ্যই খেতে হবে রোজ।
স্ট্রেচিং: যারা উচ্চতা বাড়াতে চাইছেন তাদের নিয়মিত স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করা উচিত। অন্তত প্রতিদিন পনের মিনিট করে এই ব্যায়াম করা উচিত। এতে মেরুদণ্ডের হাড় ভালো থাকে এবং লোয়ার ব্যাকের টেনশন হ্রাস পায়।
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের মাঝেও আমাদের শরীর সক্রিয় থাকে। বিশেষ করে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ঘুমের মাঝেই হয়, বড়দেরও। এর কারণ হলো ঘুমের মাঝে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড বেশি সক্রিয় থাকে। তাই উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। এছাড়াও কীভাবে ঘুমচ্ছেন সেটাও দেখা জরুরি। উচ্চতা বাড়াতে চাইলে বালিশ ছাড়া চিত হয়ে শোয়া ভালো। পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা জোড়া উঁচু করে রাখতে হবে। এই পজিশনে মেরুদণ্ড মজবুত হয়। এইভাবে ঘুমালে উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি ব্যাক পেইনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।
অ্যালকোহল এবং ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান এবং অ্যালকোহল শরীরের স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। ধূমপানে শরীরের রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয় এবং পুষ্টি উপাদান শোষণে বাঁধা দেয়। তাই উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চাইলে অ্যালকোহল এবং ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
এনডিটিভি।