আমরা জানি, মেলানিন ত্বকে রং নির্ধারণ করে। যাদের শরীরে মেলানিন যতবেশি তাদের ত্বক তত কালো। মেলানিন কমানোর কোনো চিকিৎসা বা ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।তবে কিছু পদ্ধতি আছে যা বর্তমানে ব্যবহৃত হয়।এতে করে ত্বক সাময়িক ব্রাইট দেখালেও পরবর্তীতে ক্ষতি হতে পারে ত্বকের।
ত্বক থেকে স্থায়ীভাবে মেলানিন কমানোর সব থেকে দ্রুত উপায় হলো লেজার চিকিৎসা। কিন্তু এই বিকল্পটি খুবই ব্যয়বহুল ।এর বিকল্প হিসেবে আপনি হয় কিছু ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম কিনতে পারেন দোকান থেকে অথবা একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন ।প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার যেমন হলুদ, অ্যালোভেরা ,টমেটো ,শশা ,লেবু ,আলু ইত্যাদিও ত্বকে মেলানিন হ্রাস করতে ব্যবহার করা হয়। মেলানিন ত্বককে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং একই সময়ে এটি ত্বকের কালো ভাবের জন্য দায়ী । মেলানিনের প্রভাব কমানোর ফলে ত্বক আরো উজ্জল হয়ে ওঠে ।তবে আপনাকে ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য কিছু মাস অপেক্ষা করতে হবে এবং যদি আপনার সেই ধৈর্য থাকে তবেই আপনি উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হবেন।
মেলানিনের মাত্রা কি বৃদ্ধি পায়?
কিছু সাধারণ কারণের জন্য মেলানিনের মাত্রা শরীরে বৃদ্ধি পায়
হরমোনের মাত্রাতে পরিবর্তন
সূর্যরশ্মির সাথে ত্বকের অতিরিক্ত সংস্পর্শ
ত্বকের কোনো সমস্যা
অ্যাড্রিনালিন এর সমস্যা
ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাব
এটা সত্য যে মেলানিন সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।কিন্তু অতিরিক্ত মেলানিনের কারণে ত্বক কালো হয়ে যায় ।আপনি নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন সূর্যের অতিরিক্ত সংস্পর্শে এলে ত্বক অতিরিক্ত সংস্পর্শে এলে ত্বক কালো হয়ে যায় ।এর কারণ হলো ত্বকে মেলানিনের উৎপাদন। আসলে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি মেলানিনের উৎপাদন বাড়ায় ।মেলানিনের উৎপাদন কমানোর জন্য আমরা এখানে কিছু সমাধানের উল্লেখ করেছি ,যার মধ্যে ঘরোয়া সমাধান বর্তমান। একজন ত্বক বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করুন ,আপনার ত্বক স্বাভাবিকভাবেই কালো, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে ।কারণ একজন ত্বক বিশেষজ্ঞই আপনাকে ত্বকে মেলানিনের মাত্রা কমানোর সব থেকে সেরা উপায়টি বলতে পারবেন। আপনার ত্বক পরীক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞ আপনাকে কিছু ক্রিম এবং ওষুধ দেবেন যা আপনাকে উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করবে ।তাঁরাআপনাকে হাইড্রোঅক্সিন দিতে পারেন ,যা মেলানিন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাইড্রনিন-এর দৈনন্দিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের কালো ভাব কমে আসে। এগুলো ছাড়াও মেলানিনের উৎপাদন কমানোর জন্য আরো অনেক উপায় বর্তমান আছে ।এই সমস্ত উপায়ে মনোবেঞ্জিন ক্রিমব্যবহার করা হয়। যখন এই ক্রিম ত্বকের লাগানো হয় ,সেটি ত্বকে মেলানিনের মাত্রা কমায় এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে আপনাকে সাহায্য করে।
এগুলি ছাড়াও আরো অনেক ওষুধ বর্তমান যেগুলি অনেক ওষুধ বর্তমান যেগুলিআপনাকে খেতে হতে পারে। সুতরাং একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার মানে হল আপনার কাছে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির দরজা খুলে যাওয়া। মেলানিন কমানোর ক্রিম গুলি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান এবং কিছু কেমিক্যাল উপাদান দ্বারা গঠিত হয়,যেগুলি মেলানিন এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে থাকে যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন লাইন সরাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে বিভিন্ন প্রকার ক্রিম এর ব্যাপারে ব্যাপারে ক্রিম এর ব্যাপারে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে নিন এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে তাদের ব্যবহার করুন । যদি আপনার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকে, তাহলে লেজার চিকিৎসা হল মেলানিন কমানোর জন্য সব থেকে সব থেকে দ্রুত পদ্ধতি ।এই পদ্ধতিতে লেজারকে আপনার ত্বকের ওপর কেন্দ্রীভূত করা হয়, যা মেলানিনকে ভাঙতে সাহায্য করে। তবে লেজার চিকিৎসার পূর্বে ডাক্তারের ডাক্তারের সাথে এর সুবিধা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে নিন ।সাধারণত ত্বককে উজ্জ্বল করার জন্য করার জন্য ৫ থেকে ১০টি সেশানের প্রয়োজন হয় এবং এর পরে আপনাকে কিছু সতর্কতাঃ সম্পর্কে অবগত করানো হয় ,যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে জরুরি। সানপ্রোটেকশন ক্রিমগুলি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গুলির মধ্যে সবথেকে ভালো ব্যবস্থা।সান প্রটেকশন ক্রিম ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের ওপর সূর্যরশ্মি প্রতিরোধক একটি আচ্ছাদন পরে ,যা শুধুমাত্র মেলানিনের মাত্রা কমানো নয় নয় ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাবনার হ্রাস করে।
মেলানিন কমানোর কিছু ঘরোয়া প্রতিকার-
আলু কালো ত্বকের ওপর ত্বকের ওপর এবং কালো ছোপ-এর ওপর খুব ভালো কাজ করে। আলুর পেস্ট ত্বকের কালো অঞ্চলে লাগালে আপনি কিছু দিনের মধ্যেই এর প্রভাব দেখতে পাবেন। এর ফলে আপনার ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ কমে।
ত্বককে উজ্জ্বল বাড়ানোর জন্য লেবুর রস একটি সর্বজনবিদিত উপায়। ভিটামিন সি যুক্ত অ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং লেবু ত্বকের কালো অঞ্চলের ওপর খুব ভালো ভাবে ভাবে ভাবে কাজ করে। লেবুর লেবুর রস ১ টেবিল চামচ মধুর সাথে মেশানো এবং আপনার ত্বকের কালো অঞ্চলের ওপর লাগান এবং ৫ মিনিট রেখে দিন। এই ভাবে প্রত্যেকদিন এটিকে ব্যবহার করুন।
হলুদ এশিয়ান এলাকায় যেমন ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় একটি ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবস্থা।হলুদ, মেলানিনের মাত্রা কমাতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করার একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এর পেস্টকেজলের সাথে মিশিয়ে মুখে, গলায় এবং হাতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন ,তারপরে ধুয়ে ফেলুন।
শসা ত্বকে মেলানিনের মাত্রা কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। কিন্তু এটি যথেষ্ট ধীরে কাজ করে। শশাকে কেটে নিয়ে অথবা এর পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ।এই উপায়টি অসুখের ছাপ ত্বক থেকে সরাতেও কাজে লাগে।
অ্যালোভেরা ত্বকের সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং সুস্থ রাখার জন্য ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,ভিটামিন ,মিনারেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানেরজোগান দেয় ।এছাড়াও এটির প্রভাবে ত্বকে মেলানিনের মাত্রা মাত্রা মাত্রা কমে যায় এবং ত্বক আরো উজ্জল হয়ে ওঠে।কিছু বিখ্যাত সংস্থার ক্রিম এই অ্যালোভেরা অ্যালোভেরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করে। তাই অ্যালোভেরার পেস্ট অবশ্যই আপনার ত্বকে লাগান অবশ্যই আপনার ত্বকে লাগান এবং সেটিকে শুকোতে দিন ,যাতে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান গুলি ত্বকে যেতে পারে এবং আপনার সমস্যার সমাধান হতে পারে।
টমেটোকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জোগানকারী হিসেবে গণ্য করা হয় ।এছাড়াও এর মধ্যে মধ্যে বিভিন্ন রকম রকম ভিটামিন থাকে ।এটি মেলানিন এর থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি খুব ভালো উপায়।টমেটো পেস্টকুড়ি মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে দিন এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এরকম করলে আপনার মুখের কালো ছোপগুলি মুছে যাবে এবং মেলানিন এর পরিমাণ কমে আসবে।
নিচের লিংকে কমানোর উপায় বিস্তারিত আছে-
https://www.sciencebee.com.bd/qna/7531/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8