কৃত্রিম hgh মানব শরীরে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমা আছে কি অর্থাৎ কত বছর বয়সের মধ্যে হলে সেটি কাজ করবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+9 টি ভোট
244 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (280 পয়েন্ট)
এক্ষেত্রে কেমন খরচ হতে পারে? বাংলাদেশে কি এটা করা সম্ভব?

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (5,060 পয়েন্ট)

কোনো শিশু যখন তার সমবয়সীদের তুলনায় কম উচ্চতাসম্পন্ন হয়, তখন অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে যান। ঠিকমতো বৃদ্ধি না হলে একটি শিশু নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। অনেক সময় এই বৃদ্ধি প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে যৌবনপ্রাপ্ত না হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে বিবাহবন্ধন, সন্তান ধারণ বা পারিবারিক জীবন ব্যাহত করে।

 

এ ছাড়া কিছু শিশু ট্রিজিং ও বুলিংয়ের শিকার হয়ে একঘরে হয়ে পড়ে। ভালো মেধা থাকা সত্ত্বেও অনেকে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে।

 

 

কারণ

শিশুর শারীরিক ও মানসিক উভয়ই বৃদ্ধি জিনগত ও পরিবেশগত বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি নির্ভর করে তার সার্বিক সুস্থতা ও হরমোনের ওঠা-নামার ওপর।

 

আবার একেক এলাকায় ও একেক পরিবারে উচ্চতা বৃদ্ধির প্রবণতা একেক রকম। অনেক সময় শৈশবে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যেমন—কিডনি বা ফুসফুসের রোগ, অপুষ্টি, হজমের গোলমাল ইত্যাদি কারণে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শরীরে প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি যে হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, তার মধ্যে থাইরয়েড ও গ্রোথ হরমোন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ হরমোনগুলোর অভাবে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে বা ধীরে ধীরে হতে পারে।

 

টার্নার বা ডাউনস সিনড্রোমের মতো জেনেটিক সমস্যায়ও মানুষ খাটো হতে পারে।

 

 

কোন বয়সে কেমন উচ্চতা?

একেক বয়সে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির হার একেক রকম। দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুটি বছরে ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এরপর বৃদ্ধির হার কমে আসে এবং পাঁচ-ছয় বছর বয়স পর্যন্ত এই হার বছরে ১০-১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ছয়-সাত বছরে আরো কমে বছরে পাঁচ-ছয় সেন্টিমিটার হারে বাড়ে।

 

আবার বয়ঃসন্ধিকালে হঠাৎ করে লম্বা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং বছরে ১০-১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে থাকে। ১৪-১৫ বছরের পর থেকে বৃদ্ধির হার আবারও কমতে থাকে। তখন গড়ে এক সেন্টিমিটার হারে বাড়তে থাকে, যা চলে ১৯ থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত। এরপর দৈহিক বৃদ্ধি থেমে যায়।

 

দৈহিক উচ্চতা তত দিনই বাড়ে, যত দিন পর্যন্ত আমাদের কাঠামো বা কঙ্কাল বৃদ্ধি পেতে থাকে। হাড়ের শেষ মাথায় অবস্থিত তরুণাস্থি বা প্লেটটি হাড়ের সঙ্গে মিশে না যায়। যৌবনপ্রাপ্ত হলে হরমোনের প্রভাবে এ প্লেট মূল হাড়ের সঙ্গে মিশে যায় বা ফিউশন হয়ে যায়, এরপর আর হাড় লম্বায় বাড়তে পারে না। সাধারণত এ ফিউশন ছেলেদের ১৬ বছর ও মেয়েদের ১৪ বছরের মধ্যে ঘটে। যদিও ১৯ থেকে ২১ বছর পর্যন্ত আরো কিছুটা উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে, তবুও ফিউশন হয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসা করালে তেমন কোনো ফল পাওয়া যাবে না।

 

চিকিৎসা

কৃত্রিম গ্রোথ হরমোন আবিষ্কৃত হওয়ার আগে খর্বাকৃতির শিশুদের চিকিৎসা বেশ কঠিন ছিল। কেননা তখন মৃতদেহের পিটুইটারি গ্রন্থির হরমোন নির্যাস সংগ্রহ করা হতো এবং এতে প্রায়ই প্রতিক্রিয়া ও নানা রোগের আশঙ্কা থাকত। ১৯৮৫ সালে এ পদ্ধতি বাতিল হয়।

বর্তমানে কৃত্রিম গ্রোথ হরমোন সোমাটোট্রোপিন বা নরডিট্রোপিন দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে বামনত্ব বা উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত সমস্যার চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত শিশু, যার গ্রোথ হরমোন অপর্যাপ্ত, টার্নার সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশু, কম ওজন ও ছোট আকার নিয়ে ভূমিষ্ঠ শিশু এবং কিডনি জটিলতাসংক্রান্ত কারণে যাদের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে—তাদের ক্ষেত্রে গ্রোথ হরমোনথেরাপি ব্যাহত হয়।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত প্রতিদিন রাতে নির্দিষ্ট মাত্রার গ্রোথ হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় ও পর্যবেক্ষণ করা হয়। গ্রোথ হরমোনের সমস্যা ছাড়া বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার অন্য কারণ থাকলে সঠিক কারণটি নির্ণয় করে সে অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হয়। তবে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও পরামর্শ নেওয়া এবং যত কম বয়সে চিকিৎসা শুরু করা যায়, ততই ভালো ফল পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+13 টি ভোট
2 টি উত্তর 489 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 1,987 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,478 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

357,784 জন সদস্য

86 জন অনলাইনে রয়েছে
19 জন সদস্য এবং 67 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. GrohanuMax

    700 পয়েন্ট

  2. siyam_at_scincebee

    140 পয়েন্ট

  3. Md Sumon Islam

    120 পয়েন্ট

  4. H.I Srijon

    110 পয়েন্ট

  5. saleh

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত বাংলাদেশ কান্না আম হরমোন
...