অনেক সময় টিনের উপর শুকনা কাগজ জাতীয় কিছু ঘষলে গায়ের মধ্যে কেমন শীরশীর অনুভূতি হয়। এটার কারন কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+9 টি ভোট
4,900 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (123,370 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
শিহরণ হওয়ার কারণ হচ্ছে মিসোফোনিয়া। মিসোফোনিয়া একপ্রকার স্নায়বিক সমস্যা, যার কারণে শ্রবণ উদ্দীপক বস্তুসমূহ মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে গোলমাল পাকিয়ে বসে। ঠিক কী কারণে মিসোফোনিয়া হয়, তা এখনও একটি রহস্য। তবে এটি যে শুধু কর্ণকুহর বিষয়ক সমস্যা নয়, তাতে বিশেষজ্ঞরা একমত। এই সমস্যা আংশিক শারীরিক ও আংশিক মানসিক। কেননা, নির্দিষ্ট কিছু আওয়াজ এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় মানুষের মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করে এবং তাৎক্ষণিক শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। অপ্রিয় সেই আওয়াজটির সম্মুখীন হলে মানুষ নিজের উপর প্রায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসে। সুতরাং শরীর ও মন উভয়েই এই সমস্যার ধারক। মিসোফোনিয়া, সিলেকটিভ সাউন্ড সেনসিটিভিটি সিনড্রোম (Selective Sound Sensitivity Syndrome) নামেও পরিচিত। গবেষণায় এই দল আরও খুঁজে পায় যে, মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ মিসোফোনিয়ার উৎপত্তিস্থল। এই অংশটি হলো অ্যান্টেরিয়র ইনস্যুলার কর্টেক্স (Anterior Insular Cortex) বা AIC। এই অংশটি একইসাথে রাগ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে এবং হৃৎপিন্ড ও ফুসফুস থেকে আসা ইনপুটগুলোর সাথে অন্যান্য বহিরাগত ইনপুটকে একীভূত করতে সাহায্য করে। fMRI Scan ব্যবহার করে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ লক্ষ্য করে দেখা যায়, মিসোফোনিক মানুষদের ক্ষেত্রে ট্রিগার সাউন্ড ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এই AIC বেশি উত্তেজিত হয়। পাশাপাশি যে অংশগুলোতে দীর্ঘকালীন স্মৃতি সঞ্চিত থাকে এবং যেসব অংশ ভয় ও অন্যান্য অনুভূতির উৎপত্তিস্থল হিসেবে কাজ করে, সেগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ থেকেই বোঝা যায় মিসোফোনিকদের নির্দিষ্ট আওয়াজে তীব্র অস্বস্তি বা আতঙ্কের মতো অনুভূতিপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণ। এছাড়াও গবেষকরা সমগ্র মস্তিষ্কের MRI করে দেখেন মিসোফোনিক ব্যক্তিদের স্নায়ুকোষে মায়েলিনের (Myelin) পরিমাণ বেশি থাকে। মায়েলিন এক ধরনের চর্বি জাতীয় পদার্থ, যা মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোকে জড়িয়ে রাখে এবং ইনস্যুলেটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি কোষগুলোকে তড়িৎ অন্তরক করে রাখে, ঠিক যেভাবে বৈদ্যুতিক তার অন্তরীত করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, মস্তিষ্ক অসংখ্য স্নায়ুকোষ দ্বারা গঠিত এবং এসব কোষের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়া তড়িৎ সংকেত হিসেবে প্রেরিত হয়। অতিরিক্ত মায়েলিন মিসোফোনিয়ার অন্যতম কারণ নাকি এর ফলাফল, তা এখনও জানা যায়নি।

 roarbangla
+3 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
Science Bee

মিসোফোনিয়া, যা সিলেকটিভ সাউন্ড সেনসিটিভিটি সিনড্রোম (Selective Sound Sensitivity Syndrome) নামে পরিচিত, একপ্রকার স্নায়বিক কারণে এমন অনুভূতি হয়ে থাকে। এইরকম শব্দগুলো শুনলে শ্রবণ উদ্দীপক বস্তুসমূহ মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে একধরনের অনুভূতির ঝটলা পাকিয়ে বসে। ঠিক কী কারণে মিসোফোনিয়া হয়, তা এখনও একটি রহস্য। তবে মিসোফোনিয়া হওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক, এই দুটি জড়িত। কেননা, নির্দিষ্ট কিছু আওয়াজ বিশেষ প্রক্রিয়ায় আমাদের মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করে এবং তাৎক্ষণিক শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তাই যেসকল শব্দ মানুষ পছন্দ করে না সেইসব শব মানুষ শুনলে কেমন যেন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে না। তাই শরীর ও মন উভয়েই এই সমস্যার জন্য দায়ী।
মিসোফোনিয়ায় আক্রান্তরা নির্দিষ্ট আওয়াজে তীব্র অস্বস্তি অনুভব করে। একধরনের আতঙ্কের কাজ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ অ্যান্টেরিয়র ইনস্যুলার কর্টেক্স (Anterior Insular Cortex) বা AIC মিসোফোনিয়ার উৎপত্তিস্থল। এই অংশটি রাগ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে, সাথে সাথে হৃৎপিন্ড ও ফুসফুস থেকে আসা কর্মগুলোকে, দেহের অন্যান্য স্থান থেকে আসা কর্মের সাথে প্রক্রিয়াধীন করে।

মস্তিষ্কের গতিবিধি দেখার জন্য fMRI Scan দিয়ে লক্ষ্য করা যায়,   মিসোফোনিক মানুষদের ক্ষেত্রে ট্রিগার সাউন্ড ব্যবহার করলে তাঁদের মস্তিষ্কের AIC অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি চঞ্চল ও উত্তেজিত হয়। পাশাপাশি যে অংশগুলোতে দীর্ঘকালীন স্মৃতি সঞ্চিত থাকে এবং যেসব অংশ ভয় ও অন্যান্য অনুভূতির উৎপত্তিস্থল হিসেবে কাজ করে, সেগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।

গবেষকরা MRI দিয়ে মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেন, মিসোফোনিক ব্যক্তিদের স্নায়ুকোষে মায়েলিনের (Myelin) নামক এক ধরনের চর্বি জাতীয় পদার্থ বেশি পরিমাণে থাকে। মায়েলিন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোকে জড়িয়ে রাখে এবং ইনস্যুলেটর হিসেবে কাজ করে। মস্তিষ্ক অসংখ্য স্নায়ুকোষ দ্বারা গঠিত এবং এসব কোষের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়া তড়িৎ সংকেত হিসেবে চলাচল করে। অতিরিক্ত মায়েলিন মিসোফোনিয়ার অন্যতম কারণ নাকি এর ফলাফল, তাতে এখনও গবেষকরা একমত হতে পারেনি।
0 টি ভোট
করেছেন (9,610 পয়েন্ট)
আপনার মস্তিষ্ক যদি শব্দটির সাথে পরিচিত না থাকে, তখন নতুন শব্দ শোনার কারণে আপনার মস্তিষ্ক সেটাকে বিপদসংকেত বলে ধরে নেয়। আর তাই স্নায়বিক তাড়নার কারণে শিরশির অনুভূত হতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,613 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,197 বার দেখা হয়েছে
13 অগাস্ট 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন প্যারাফিন (2,760 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 3,170 বার দেখা হয়েছে
22 এপ্রিল 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,830 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
1 উত্তর 1,203 বার দেখা হয়েছে

10,743 টি প্রশ্ন

18,394 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,810 জন সদস্য

29 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 27 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    930 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    220 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. Muhammad_Alif

    120 পয়েন্ট

  5. memo

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি #science স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...