আমাদের ব্রেইন সাধারণত জীবন রক্ষার জন্যই তৈরি কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে এটি আত্মহত্যা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। এর কয়েকটি কারণ আছে। যেমনঃ
নিউরোট্রান্সমিটারের অভাবঃ নিউরোট্রান্সমিটার হলো ব্রেইনের রাসায়নিক বার্তা-বাহক। এর মানে হলো আমাদের স্নায়ু কোষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নিউরোট্রান্সমিটার ইউজ করে। বিষণ্ণতা বা অন্যান্য মানসিক রোগে ব্রেইনের নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন সেরোটোনিন, ডোপামিন) এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে ব্রেইনের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। যার কারণে ব্রেইনের লজিক্যাল চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই এই সময় আমাদের ব্রেইন সঠিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না যে আসলে কোনটি ভুল আর কোনটি সঠিক। বিশেষ করে কোনো সিদ্ধান্তের নেতিবাচক যে দিক গুলো আছে যেগুলো আমাদের ব্রেইন চিন্তা করতে পারে না। মুলত এই কারণেই এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের ব্রেইন আত্মহত্যা দিক বেছে নিতে পারে।
প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের দুর্বলতাঃ ব্রেইনের এই অংশটি পরিকল্পনা, সমস্যা সমাধান এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় এই অংশটির কার্যকারিতা কমে গেলে সেই ব্যক্তি আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটাও আরেকটা মুল কারণ।
হরমোনের পরিবর্তনঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা ব্রেইনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। আর ব্রেইনের কার্যকারিতা কমে গেলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
জিনগত প্রভাবঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে আত্মহত্যার প্রবণতা বংশগতভাবেও প্রভাবিত হতে পারে। কিছু মানুষের মধ্যে বংশগত ভাবে মানসিক রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, যা তাদের আত্মহত্যাপ্রবণ করে তোলে।