১৯৫৮ সালে ডিজনি কর্তৃক প্রকাশিত হয় "White Wilderness" নামক ডকুমেন্টরি থেকে জানা যায়, লেমিং নামক প্রাণিরা নিজ স্বজাতির মাঝে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ রোধ করার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কি, অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এ কথাই সত্য যে তারা নিজ স্বজাতির জনসংখ্যার হার সীমাবদ্ধ রাখার জন্য আত্মহত্যা করে থাকে। সাধারণত, দৌড়োতে থাকা পশুর পালে ঝাঁপ দিয়ে এবং সমুদ্র উপকূলীয় উঁচু পাহাড় থেকে ঝাপ দেয়ার মাধ্যমে তারা আত্মহননের কাজটি করে থাকে।
এর আগে ভারত, নিউজিল্যান্ড সহ অনেক জায়গাতেই তিমির এমন ঝাঁক বেঁধে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছিলো। কিন্তু তাদের এই রহস্যময় আচরণের এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তিমি অনেক সময় অসুস্থতা, আঘাত, বৃদ্ধ বয়স ইত্যাদি গৌন ক্ষতির কারনে, শিকারীর চোখ এড়াতে সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি অগভীর জলে অবস্থান করে। আবার খাবারের খোঁজে তীরের কাছে এসে অনেক সময় অগভীর পানি থাকায় বালিতে আটকে যায়। তিমি মাছেরা এক সঙ্গে চলাফেরা করতে পছন্দ করে। অনেক সময় তিমি মাছগুলো স্রোতের কারণে আটকা পড়ে যায়। তখন তাদের বাঁচানোর জন্য ছুটে আসে তার সঙ্গীরা এবং আটকা পড়ে যায় তারাও। এ কারণে তাদের প্রাণ দিতে হয় বলে ধারণা করা হয়। ডিহাইড্রেশনের কারণেও তিমিদের প্রাণ যাওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে বলে জানা যায়। এছাড়াও সমুদ্রের পানিতে ছড়িয়ে পড়া নানা রাসায়নিক, নৌ বাহিনীর ব্যবহৃত ‘সোনার’ ইত্যাদি তিমির উপরে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, তিমি মাছ আহত হলে বা বৃদ্ধ হয়ে গেলে কিংবা তার চলাচলের দিক নির্দেশক ব্যবস্থা ঠিক মত কাজ না করলে এভাবে সমুদ্র তীরে উঠে আসে তারা। এরপর আটকে যায় ও পরবর্তীতে মারা যায়।
তথ্যসূত্রঃ প্রিয় ওয়েব, নিউজ জি ২৪