মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মহত্যা করে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+15 টি ভোট
1,862 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (15,760 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (15,760 পয়েন্ট)
Afsana Afrin-হ্যা মানুষ ছাড়াও অন্য প্রানী আত্মহত্যা করে।

White Wilderness" নামক এই ডুকুমেন্টরিতে বলা হয়, লেমিং নামক প্রানীরা নিজ স্বজাতির মাঝে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ রোধ করার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।সাধারণত, দৌড়োতে থাকা পশুর পালে ঝাঁপ দিয়ে এবং সমুদ্র উপকূলীয় উঁচু পাহাড় থেকে ঝাপ দেয়ার মাধ্যমে তারা আত্মহননের কাজটি করে থাকে।

এছাড়াও পাখিরা মাঝে মাঝে তাদের দেহ থেকে ঠুকরে ঠুকরে পালক তুলে ফেলে, এমনকি মাঝে মাঝে যতটুকু সম্ভব পুরো দেহেরই পালক তুলে ফেলে। অতঃপর নিজের দেহের মাংসতে ঠোকর দেয়ার মত ভয়াবহ কাজও করে থাকে! বনমানুষ নিজেদের শরীরে নিজেরা কামড় দিয়ে থাকে। কুকুর এবং বিড়ালরা অত্যাধিক পরাজয়ের অনুশীলন করে থাকে। ধারনা করা হয়, এই কাজটি তাদের ধৈর্য্য শক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং যে কোন পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।

জাতিংগা গ্রামটি ভারতের আসাম রাজ্যের দিমা হাসাও জেলায় অবস্থিত। পাহাড়বেষ্টিত এই গ্রামটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ‘বার্ড সুইসাইড জোন’। সাধারণত বর্ষাকালকে বেছে নেয় তারা। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে, আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে পাখিদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।

ভারতের বিশিষ্ট পাখি বিজ্ঞানী আনোয়ার উদ্দিন চৌধুরী ২০০০ সালে একটি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ‘দ্য বার্ড’স অফ আসাম’ নামের এই বইতে তিনি যে রহস্য তুলে ধরেন তার সারমর্ম হলো-

বর্ষাকালের রাতে জাতিংগা গ্রামের চুম্বকীয় স্তরে বেশ পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়। এ সময় আকাশের পাখিদের পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে প্রচণ্ড বেগে আকর্ষণ করতে থাকে। ফলে পাখিরা দিশেহারা হয়ে সেখানকার পাহাড়ে আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় এবং আঘাতের কারণে কিছুক্ষণ পর তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তবে এই চুম্বকীয় স্তরের পরিবর্তন কেন ঘটে তা আবিষ্কার করতে পারেননি তিনি। এখন সেসব নিয়ে অধিকতর গবেষণা চলছে।
+1 টি ভোট
করেছেন (200 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
প্রাণীরা কি আত্মহত্যা করে ?

এই প্রশ্নের উত্তরটা বড় জটিল ৷ কারণ এই ব্যাপারটা বিতর্কিত ৷ তবে মানুষ যে সমস্ত মানসিক চিন্তাভাবনা নিয়ে আত্মহত্যা করে সেই সমস্ত প্রাণীতে আসা কখনই সম্ভব নয় ৷ পৃথিবীতে অনেক তুখোড় বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণী আছে যেমন কাক, হাতি, তিমি, ডলফিন ইত্যাদি এবং প্রাণীতেও মানসিক সমস্যা দেখা দেয় ৷ তবে তাদের মস্তিষ্ক মানুষের মতো জটিল নয়, তাদের মস্তিষ্কে কখনই মানুষের মতো অবসাদ বা 'আমি আর বাঁচতে চাই না' জাতীয় ধারণা আসবে না ৷ তবে 'নানা মুনির নানা মত' বলে একটা কথা আছে ৷ অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন পোষা প্রাণী মালিকের মৃত্যুতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারে, বন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে আত্নহত্যা অসম্ভব ৷ এমন ঘটনা শোনা গেলেও সেগুলো  বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় ৷ মোট কথা প্রাণীদের আত্মহত্যার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷

প্রাণীদের আত্মহত্যার ব্যাপারে কিছু কথা শোনা যায় ৷ Colobopsis saundersi প্রজাতির পিঁপড়া আত্মরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টার পর শেষ কর্ম হিসেবে নিজেকে বিস্ফোরিত করে ৷ ফলে চ্যাটচ্যাটে পদার্থে শত্রুর শরীর ভরে যায় ৷ এটা আত্মঘাতি হামলার সমতুল্য ৷ এটা আত্নহত্যা নয় কারণ 'আমি আর বাঁচতে চাই না' জাতীয় চিন্তা এখানে আসে না ৷ কারণ পিঁপড়ার বুদ্ধির দৌড় কম ৷ যদিও অনেক চালাক ৷

দুটো বহুল প্রচলিত গুজব আছে প্রাণীদের আত্মহত্যার উপর -
১. তিমি ও ডলফিনদের আত্মহত্যা একটা গুজব ৷ এদের তীরে চলে আসার অনেক কারণ আছে ৷ কারণগুলোর মধ্যে একটা হলো সামাজিক আচরণ ৷ তিমি ও ডলফিন দলবেঁধে থাকে ৷ দলের কোনো এক সদস্য অসুস্থ বা বৃদ্ধ হয়ে সাঁতারে অক্ষম হয়ে যাওয়ায় ভেসে গেলে বা অন্য কোনো কারণে ভেসে গেলে তার আর্তনাদ শুনে অন্য তিমি বা ডলফিনগুলো সাহায্য করতে ছুটে যাবে ৷ ফলে ঐ দুর্বল তিমি বা ডলফিন তীরে এসে মরে যাবে ৷ তাঁর সাথিরা এত সামাজিক এবং সাহায্যপরায়ণ যে তারা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে তীরে চলে আসবে ৷ পরিণামে তারাও মারা যায় ৷ এটা নিতান্তই সামাজিক আচরণ যা মানুষে খুব কম দেখা যায় ৷ তীরে আসা জীবিত তিমি বা ডলফিনগুলোকে কোনোভাবে গভীর সমুদ্রে নিয়ে গেলে কেউ গভীর সমুদ্রে চলে যাবে, কেউ সামাজিকতার কারণে আবার ফিরে আসবে ৷

২. লেমিংদের আত্মহত্যা আরেকটা গুজব ৷ বলা হয় লেমিংরা নির্দিষ্ট বাসস্থানে সংখ্যায় বেশি হলে পাহাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কিংবা সমুদ্রে ডুবে আত্মহত্যা করে ৷ এটা ভুল ধারণা ৷ লেমিং তীক্ষ্ণদন্তী (Rodent) অর্থাৎ ইঁদুর জাতীয় প্রাণী এবং দক্ষ সাঁতারু ৷ প্রকৃতপক্ষে নির্দিষ্ট বাসস্থানে লেমিংরা সংখ্যায় অতিরিক্ত হয়ে গলে দল বেঁধে বিপুল পরিমাণ লেমিং পরিযায়ী হয় অর্থাৎ অন্য জায়গায় চলে যায় ৷ সংখ্যায় বিপুল পরিমাণ বলে পাহাড় দিয়ে যাবার সময় ধাক্কাধাক্কির কারণে অনেক লেমিং দুর্ঘটনাবশত নিচে পড়ে মারা যায় ৷ নদী, পুকুর, সমুদ্র পার হবার সময় ধাক্কাধাক্কির কারণ লেমিং ডুবে মারা যায় ৷

এবার আসি 'ওভারটাউন সেতু' রহস্য নিয়ে ৷ স্কটল্যান্ডে অবস্থিত এই সেতু থেকে অনেক কুকুরকে আত্মহত্যা করতে দেখা গেছে ৷ সাম্প্রতিক গবেষণায় এর রহস্যের একটা ব্যাখ্যা সামনে এসেছে ৷ ২০১৪ সালে কুকুর জাতীয় প্রাণীদের মানসিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড স্যান্ডস বলেছেন যেহেতু কুকুরের বুদ্ধির দৌড় কম তাই সেতুর ধারে ঘন গাছের কারণে মাটি উপরে আছে ভেবে ভুল করে ৷ দ্বিতীয়ত কুকুর মিংক নামক প্রাণীর পুরুষ সদস্যের প্রস্রাবের গন্ধে প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয় ৷ তিনি বলেন সেতুর নিচে মিংকদের বাসা আছে যেখান থেকে আসা পুরুষ মিংকের প্রস্রাবের গন্ধ কুকুররা পায় যেহেতু তাদের ঘ্রাণশক্তি প্রবল ৷ গন্ধের টানে সেতুতে চলে আসে এবং ঘন গাছের কারণে মাটি উপরে আছে ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৷ পরিণামে মারা যায় ৷ সেখানকার একজন ৫০ বছর বয়সী বাসিন্দা এর তীব্র বিরোধিতা ও আন্দোলন করে যে এখানে মিংক নেই ৷ তবে স্থানীয় প্রাণিবিদরা সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে মিংক, কাঠবিড়ালি ও ইঁদুরে বাসা পেয়েছে ৷ পরে পুরুষ মিংকের প্রস্রাব ব্যবহার করে কুকুরদের উপর পরীক্ষা করা হয় ৷ পরীক্ষায় দেখা যায় কুকুররা আকস্মিকভাবে সেই গন্ধের দিকে ছুটে যায় ৷ বেশিরভাগ প্রাণিবিজ্ঞানীই এই তত্ত্বে সমর্থন দিয়েছেন ৷

মোট কথা প্রাণীদের আত্মহত্যার বিষয়টি এখনও শতভাগ প্রমাণিত নয় এবং কোনো উল্লেখযোগ্য প্রমাণও পাওয়া যায়নি ৷
0 টি ভোট
করেছেন (43,940 পয়েন্ট)
তিমি মাছ পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাণী এবং এরা স্তন্যপায়ী। এরা সাধারণত জোড়া বেধে বিচরণ করে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, সঙ্গীর মৃত্যুতে এরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে অনেক বিজ্ঞানীর মতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, সমুদ্রে বিষাক্ততা, SONAR wave সহ বিভিন্ন কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+15 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,210 বার দেখা হয়েছে
17 জুন 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,210 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
1 উত্তর 288 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 5,175 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 549 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,477 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

282,042 জন সদস্য

84 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 82 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. GrohanuMax

    700 পয়েন্ট

  2. Md Sumon Islam

    120 পয়েন্ট

  3. H.I Srijon

    110 পয়েন্ট

  4. saleh

    110 পয়েন্ট

  5. screengander92

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত বাংলাদেশ কান্না আম হরমোন
...