মানুষের ব্রেইন হ্যাক করে কিভাবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
678 বার দেখা হয়েছে
"চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (4,210 পয়েন্ট)

মানুষের মস্তিষ্কেও হানা দিতে পারে হ্যাকাররা। মানুষের স্নায়ু-সংকেত নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি আয়ত্তে আসায় মস্তিষ্ক হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মতো শোনালেও বিষয়টি বাস্তবতার কাছাকাছি চলে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, কৌশলে স্মার্টফোন বা কোনো ডিভাইসের অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ছবি দেখিয়ে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। এ ক্ষেত্রে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করে। বিসিআই হচ্ছে বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থা যা মস্তিষ্ককে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে। যখন এটি ব্যবহার করা হয়, তখন মস্তিষ্কের বার্তা সাধারণ পথে যায় না। ইইজির মতো সংকেতে রূপান্তরিত হয়।

বিসিআই চিকিৎসাক্ষেত্র ছাড়াও বিপণন, গেমিং ও বিনোদনশিল্পে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি। মানুষের জীবনমান উন্নত করার প্রযুক্তি হিসেবে বিসিআই তৈরি করা হলেও এটি দুর্বৃত্তদের হাতে গেলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।

 

যেভাবে মস্তিষ্ক হ্যাক হয়ঃ

গবেষকেরা উদাহরণ হিসেবে বলেন, অনেক সময় ভিডিও গেম খেলার সময় অনেক পরিচিত ব্র্যান্ডের লোগো পর্দায় ভেসে ওঠে আবার তা হারিয়ে যায়। হ্যাকাররা গেমের মধ্যে ওই ধরনের ছবি প্রবেশ করায় এবং বিসিআই ব্যবহার করে মস্তিষ্কের অনিচ্ছাকৃত প্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো রেকর্ড করা যায়। এটি গ্রাহকদের সম্পর্কে দরকারি তথ্য সংগ্রহে বিজ্ঞাপনদাতাদের সাহায্য করতে সক্ষম। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এটা কাজে লাগাতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের বরাতে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত নিরাপত্তা অবকাঠামো তৈরি করতে হবে, যাতে আমাদের মস্তিষ্ককে আমাদের বিরুদ্ধে কেউ কাজে লাগাতে না পারে। এটা ঠেকাতে হবে।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক প্রকৌশলী হাওয়ার্ড চিজেক মাদারবোর্ডকে বলেছেন, ‘খুব কম সময় আছে। আমরা যদি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে খুব দেরি হয়ে যাবে।

 

মস্তিষ্ক হ্যাকিং নিয়ে গবেষণাঃ

ক্যালিফোর্নিয়া, অক্সফোর্ড ও জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মানুষের মস্তিষ্ক থেকে পিন নম্বর, পাসওয়ার্ডের মতো স্পর্শকাতর তথ্য বের করে নেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁরা এ কাজে সহজে পাওয়া যায় এমন সাশ্রয়ী দামের গেম কন্ট্রোলার ব্যবহার করেন। তাঁরা মস্তিষ্কের সংকেত পি৩০০ ধরে দেখিয়েছেন। মানুষ যখন পরিচিত বা অর্থপূর্ণ কোনো জিনিস দেখে তখন মস্তিষ্ক থেকে এ-সংকেত উৎপন্ন হয়। কোনো জিনিসকে চিনতে পারার ৩০০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে উৎপন্ন হয় বলে এর নাম পি৩০০।

- প্রথম আলো

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
বতর্মানের বিভিন্ন নিত্যনতুন প্রযুক্তির মধ্যে ব্রেইন হ্যাকিং টেকনোলজির অবস্থান রয়েছে সবার উপরে। নিউরোটেকের ইলন মাস্ক এবং কার্ণেলের ব্রায়ান জনসন বিশ্বাস করেন এই ধরনের টেকনোলজি মানুষের ব্রেইন আর বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাথে সংযোগ ঘটাবে এবং মর্ধবর্তী মাধ্যম হিসাবে কাজ করে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। চলুন জেনে নেওয়া যায় ব্রেইন হ্যাকিং টেকনোলজিতে এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর নাম এবং তাদের কাজ সম্পর্কে।

নিউরোলিংক
ইলন মাস্কের মতে, মানুষ আর মেশিনের মধ্যে সবথেকে বড় বিপত্তি হচ্ছে যোগাযোগের নিম্ন ব্যান্ডউইডথ। এখানে নিম্ন পরিমাণ ব্যান্ডউই্ডথ  দিয়ে বোঝানো হয়েছে টাচস্ক্রিনে বা কিবোর্ড দিয়ে ডেটা ইনপুট করা যেটা আমাদের মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতির তুলনায় যথেষ্ঠ ধীর প্রসেস বলা চলে। মাস্কের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই ধীর প্রসেসের পরিবর্তে উচ্চ ব্যান্ডউইডথ ক্ষমতাসম্পন্ন পদ্ধতির চালনা করা।

যার মাধ্যমে মানুষ মেশিনকে সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবে এবং উচ্চ গতিতে নির্দেশনা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এই উদ্দেশ্য তারা তৈরি করেছেন নিউরোলেস এবং নিউরো ডাস্ট নামে দুইটি প্রযুক্তি। তবে সেই প্রযুক্তি দেখতে কেমন হবে সেটা এখনো প্রকাশিত করা হয়ন।

ইলন মাস্ক; Source: theverge
নিউরোলিংক মূলত একটি মেডিক্যাল রিসার্চ কোম্পানি। তাই তাদের এই প্রযুক্তির অন্যতম উদ্যেশ্যে হচ্ছে এই প্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন মস্তিষ্কজাত রোগের চিকিৎসা করা। এছাড়া মানুষের মধ্যে টেলিপ্যাথির মতো যোগাযোগের প্রযুক্তিও আবিষ্কারও তাদের লক্ষ্যের মধ্যে একটি। ইলন মাস্ক সংবাদ মাধ্যমে ঘোষনা দিয়েছেন যে, চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি তারা বাজারে ছাড়তে পারবেন। তবে সেগুলোর মূল্য কেমন হবে সে বিষয়ে তারা স্পষ্ট কিছু বলেননি।

ফেসবুক
ইলন মাস্কের ঘোষনার কিছুদিন পরেই ফেসবুক তাদের নতুন প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে। ফেসবুকের সিক্রেটিভ বিল্ডিং আটের গবেষণা দলের প্রধান রেজিনা ডুগান রিপোর্টারদের কাছে জানান, তাদের এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীকে প্রতি মিনিটে ১০০ শব্দ টাইপ করার ক্ষমতা দিবে। এছাড়া মাউসের / কারসরের সব ধরনের কাজও করতে সক্ষম হবে।

Source: theverge
ফেসবুক তাদের নতুন এই প্রযুক্তি কেমন হবে সে বিষয়ে তেমন খোলসা করেনি। তবে নিউরোলিংকের মত মস্তিষ্কে কোন চিপ জাতীয় কিছু না বসিয়ে তারা ক্যাপের মত ডিভাইস এই কাজে ব্যবহার করবে এটুকু প্রকাশ করেছে। কারন দীর্ঘ সময় ব্যবহারের হিসাবে এই নিউরোলিংকের মত প্রযুক্তি তাদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়নি। তাদের তৈরি এই ক্যাপ অপটিক্যাল ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ করবে।

তবে এই প্রযুক্তির প্রটোটাইপ ফেসবুক এখনো শেষ করতে পারেনি। ফেসবুক এই বিষয়ে বলেছে তাদের তৈরি প্রথম প্রটোটাইপ ২ বছরের মধ্যেই বাজারে আসবে, যেটা চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিয়ে আসবে বিশাল পরিবর্তন।

কার্ণেল
ইলন মাস্কই একমাত্র ধনী ব্যক্তি নয় যে ব্রেইন হ্যাক টেকনোলজিতে আগ্রহী হয়েছে। অনলাইন ব্যাংক ব্রেইনট্রির উদ্যোক্তা ব্রায়ান জনসন প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে কার্ণেল গঠন করেছেন। এই কোম্পানির মূল লক্ষ্য হচ্ছে এমন ধরনের একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ নির্মাণ করা যেটা কিনা বিভিন্ন তথ্য রেকর্ড করতে পারে আর প্রয়োজন অনুসারে সেসব তথ্য মস্তিষ্কে প্রেরণ করতে পারে। তারা এই গবেষণাটি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সায়েন্টিস্ট এবং বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার থিওডোর বার্জারের গবেষণা থিসিস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

Source: theverge
ইলন মাস্কের মতো নিজেদের প্রযুক্তির বিষয়ে তেমন গোপনীয়তা রাখেননি ব্রায়ান জনসন। তিনি উল্লেখ করেন তাদের তৈরি এই প্রযুক্তি মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করা হবে। যেটা কিনা নিউরন থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে আর বিভিন্ন সিমুলেশন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া হতাশা সহ বিভিন্ন মস্তিষ্কজাত সমস্যা এই প্রযুক্তি দূর করতে সক্ষম হবে।

ইমোটিভ
ব্রেইন হ্যাক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর থেকে ইমোটিভ একটু আলাদা বটে। কারন তারা এই ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করছে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করেছে। যেগুলো মধ্যে ইলেক্ট্রোএনসেফ্যালোগ্রাফি উল্লেখযোগ্য। তাদের এই প্রযুক্তি মস্তিষ্কের কার্যবিধি রেকর্ড করতে সক্ষম।

যদিও নিউরোলিংকের মতো মস্তিষ্কে সাথের মেশিনের নিয়ন্ত্রণের যোগাযোগ খুব বেশি শক্তিশালী নয় তবে ভালো দিকে হচ্ছে ইমোটিভ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অপারেশনের কোন প্রয়োজন নেই। তাদের তৈরি পণ্য ইপিওসি প্লাস বাজারে পাওয়া যায় ৮০০ ডলার আর ওরিয়েন্টেড হেডসেট বিক্রি করা হয় তিনশো ডলার। যেসবের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সক্ষমতা আর সুস্থতা পরীক্ষা ছাড়াও কম্পিউটারে ত্রিমাত্রিক ডিজাইন,ড্রোন এবং রোবট চালনা করা সম্ভব।এছাড়া ভিডিওগেমও খেলা যায় এই প্রযুক্তির দ্ব্বারা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 300 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 368 বার দেখা হয়েছে
04 নভেম্বর 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 559 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 289 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 316 বার দেখা হয়েছে
01 মার্চ 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasan Rizvy Pranto (39,270 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

262,978 জন সদস্য

111 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 110 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. Ara36G464962

    100 পয়েন্ট

  3. NonaHeinig7

    100 পয়েন্ট

  4. TaylorVandeg

    100 পয়েন্ট

  5. AmyGillingha

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...