অনেকগুলো কারণেই প্লুটো গ্রহের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
কারণঃ
১। প্লুটোর সূর্যের চারপাশে পরিক্রমণের পথ উপবৃত্তাকার, যার উৎকেন্দ্রিকতা ০.২৫। যেখানে পৃথিবীর কক্ষপথের উৎকেন্দ্রিকতা ০.০১৭। উল্লেখ্য, উৎকেন্দ্রিকতা যত কম হবে কক্ষপথ ততটাই বৃত্তাকার হবে।
২। উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে প্লুটো তার পরিক্রমার সময় নেপচুনের কক্ষপথে ঢুকে যায় যা আর কোনো গ্রহের ক্ষেত্রে দেখা যায়না।
৩। প্লুটোর কক্ষপথ অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথ গুলোর তুলনায়/ সাথে ১৭ ডিগ্রী তীর্যক কোণে অবস্থিত।
৪। প্লুটোর সাধারণ ভরকেন্দ্র গ্রহটির বাহিরে অবস্থিত।
[ দুইটি মুক্তভাবে ঝুলন্ত বস্তু যখন অনুভূমিকভাবে স্থির হয়, তখন তাদের সাধারণ ভরকেন্দ্র হয় মূল কাঠামো বা যা থেকে বস্তুদ্বয় ঝুলছে তার ভরকেন্দ্রে। যেমন একটা দাঁড়িপাল্লার একটি পাল্লায় কোনো বস্তু নিয়ে অপর পাল্লায় বাটখারা নিলে সাম্যাবস্থায় আসার পর দুইটি পাল্লার আলাদা ভরকেন্দ্র থাকলেও তাদের সাধারণ ভরকেন্দ্র থাকে পাল্লার মধ্যবিন্দুতে। পৃথিবী ও চাঁদের আলাদা ভরকেন্দ্র থাকলেও তাদের সাধারণ ভরকেন্দ্র পৃথিবীর অভ্যন্তরে অবস্থিত। একই রকম ঘটনা সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ ও তাদের উপগ্রহগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু প্লুটো ও তার উপগ্রহ শ্যারনের সাধারণ ভরকেন্দ্র প্লুটোর অভ্যন্তরে না হয়ে তার বাহিরে অবস্থিত।]
৫। প্লুটোর কক্ষপথ এত বড় যে সূর্যকে একবার ঘুরে আসতে তার ২৪৮ বছর সময় লেগে যায়।
৬। অন্যান্য গ্রহের মতো প্লুটো তার আশেপাশের কোনো মহাকাশীয় বস্তুকে নিজের দিকে আকর্ষণ করতে বা ধরে রাখতে পারেনা। অর্থাৎ প্লুটোর মহাকর্ষ বল অনেক কম।
৭। প্লুটোর আকার এতই ছোট, বলা হয় তা পৃথিবীর অস্ট্রেলিয়ার সমান।