১৯৩০ সালে লর্ড ক্লাউড টোম্বাউ প্লুটো আবিষ্কার করেন ৷ তখন সূর্যকে আবর্তন করলেই গ্রহ বলা হতো ৷ সে অনুযায়ী প্লুটো গ্রহ হিসেবে স্বীকৃতি পায় ৷ পরবর্তীতে নেপচুনের পরে এরিস, মাকিমাকি, হওমেয়াসহ আরও অনেক বস্তু আবিষ্কৃত হয় ৷ বস্তুগুলোর সাথে প্লুটোর অনেক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা হয় ৷ গ্রহ হিসেবে প্লুটোকে পৃথিবীর চেয়েও বড় ভাবা হয়েছিল, পরে দেখা গেল প্লুটো চাঁদের চেয়েও ছোট ! ১৯৯২ সালে প্রমাণিত হয় নেপচুনের পরে গ্রহাণু বেষ্টনীর মতো তবে এর চেয়েও ২০ গুণ চওড়া ও ২০০ গুণ ভারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত এলাকা রয়েছে ৷ জ্যোতির্বিদ গারার্ড কাইপার (বা কুইপার) এর নামানুসারে এর নাম দেওয়া হলো কাইপার বেল্ট (বা কুইপার বেল্ট) ৷ পরে প্রমাণিত হয় প্লুটো কাইপার বেষ্টনীর সদস্য, কক্ষপথ গ্রহদের সাথে সমান্তরাল নয়, নেপচুনের সাথে অনুরণন ঘটায় ৷ প্লুটো আকারে কাইপার বেষ্টনীর অন্য সদস্যের তুলনায় বড় ৷ এরিস প্লুটোর চেয়ে সামান্য ছোট ৷ এই বস্তুগুলো কাইপার বেষ্টনীর সদস্য হলেও আকারে বড়সড় আবার গ্রহ বহির্ভূত বৈশিষ্ট্যধারী ৷ এদের গ্রহ বলা নিয়ে সংশয় দেখা দেয় ৷ ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক সংস্থা (International Astronomical Union) গ্রহের নতুন সংজ্ঞা দেয় ৷ গ্রহ হতে হলে -
- যথেষ্ট মহাকর্ষ থাকায় গোলাকার হবে ও ভারী হবে, এতটাও ভারী হবে না যে নক্ষত্রের মতো নিউক্লিয়ার ফিউশন তৈরি করে ৷
- সূর্যকে সরাসরি আবর্তন করবে ৷
- মহাকর্ষের সাহায্যে কক্ষপথের আশপাশ পরিষ্কার রাখবে এবং কোনো দলের সদস্য হবে না, নিজের কক্ষপথে নিজের আধিক্য থাকবে ৷
প্লুটোর তৃতীয় বৈশিষ্ট্য নেই ৷ কেননা সে কাইপার বেষ্টনীর সদস্য, আবর্তন করতে নেপচুনের সাথে অনুরণন ঘটনায় অর্থাৎ স্বতন্ত্র নয় ৷ এই কারণে প্লুটোকে গ্রহ থেকে সরিয়ে বামন গ্রহে নামক নতুন শ্রেণিতে রাখা হয় ৷