প্রকৃতির অপার বিস্ময় এই বরফ আগ্নেয়গিরি। সাধারণত আগ্নেয়গিরি হলে লাভা ও ছাই উৎপন্ন হয়। তবে কখনো কি দেখেছেন, মাটি ফুড়ে বের হচ্ছে বরফ? বিস্ময়কর হলেও এটি আসলে প্রকৃতির খেলা।
এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বরফের চাদরের নিচে ঠান্ডা পানি ঢুকলে চাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরফের মধ্যে থাকা গর্ত দিয়ে বেরিয়ে আসে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি। যা ভূ-পৃষ্ঠে আসতেই জমে বরফ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা বা দিন লাগাতার এমন হতে পারে। বরফ আগ্নেয়গিরি কমপক্ষে এক বা দুই দিন স্থায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বরফ আগ্নেয়গিরির কাছে যাওয়া বেশ বিপজ্জনক বটে। এগুলো যেকোনো সময় উপচে অনেকদূর পর্যন্ত উঠতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি কারো গায়ে পড়লে স্থানটিতে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে।
বরফ আগ্নেয়গিরি তুষারকটাহ এর কারণেও হতে পারে। তুষারকটাহ হলো অন্তঃহিমবাহ আগ্নেয়গিরিকে আচ্ছাদনকারী বরফের স্তর। সেগুলো বৃত্তাকার বা আয়তকার হতে পারে। তাদের পৃষ্ঠতলের মাপ কয়েক মিটার থেকে (বরফের মধ্যে গর্ত) শুরু করে এক বা তারও বেশি কিলোমিটার হতে পারে। বরফ আগ্নেয়গিরির সঙ্গে তুষারকটাহের অস্তিত্ব দুইভাবে সংযুক্ত। অন্তঃহিমবাহ বিস্ফোরণের সময়ে গঠিত হতে পারে বা একটি হিমবাহের ভেতর অবস্থিত অবিচ্ছিন্ন সক্রিয় উচ্চ তাপমাত্রার ভূতাপীয় অঞ্চলের শীর্ষে তৈরি হতে পারে।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া