Zaima Ferdous Neha- এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। কারণ প্রতিনিয়ত আমাদের এমন কিছু কাজ করতে হয় যেগুলো করার সময় মস্তিষ্কে এমন চিন্তা কাজ করে যে কাজটি সুক্ষ্মভাবে করতে হবে,ভুল করা যাবেনা,ভুল করলে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে,খারাপ ফলাফল আসবে। এর মানে কী দাঁড়াচ্ছে? আপনার আমার মধ্যে এইধরনের কাজ করার সময় খুব বেশী টেনশন কাজ করে। যারা অবশ্য প্রত্যেক সিচুয়েশনে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে তাদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা কম ঘটে থাকে। তবে যাদের ক্ষেত্রে ঘটে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপার টা কো ও মানসিক সমস্যার আওতায় পড়েনা। টেনশন কাজ করছে মানে আপনি ওই কাজ কে গুরত্ব দিচ্ছেন,এটির একটি ভালো সমাধান চাচ্ছেন। আর যেই কাজগুলো করার সময় আপনি ভয় পান বা টেনশন করেন নিশ্চয় তখন ই আপনার হাত বা শরীর কাঁপে!! পরীক্ষায় লিখার সময় ও ভয়,টেনশন কাজ করে।
আসলে আমরা যখন ভয় পাই,টেনশন করি,রাগ উঠে তখন আমাদের মেডুলা থেকে এডরেনিলিন হরমোন নিঃসৃত হয় যার কারণে দেহে 'ফাইট অর ফ্লি' নামক একটি রাসায়নকি ক্রিয়া শুরু হয়। এই সময় দেহকে সংকেত দেওয়া হয় যে 'হয় লড়ে যাও নয়তো ভাগো' টাইপ। দেহ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে প্রতিরক্ষার জন্য ফাইট করার চেষ্টা করে। এবং ফাইট করার জন্য তার অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। এই শক্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে হৃৎপিন্ডের পাম্পিং বেড়ে যায়, তখন ই হৃৎস্পন্দন ও বেড়ে যায় খেয়াল করবেন। এইসময় দেহে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়,শ্যুগার লেভেল বেড়ে যায় যাতে দেহ পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি পেয়ে ফাইট করতে পারে পরিস্থিতির বিরুদ্ধে। দেহে হঠাৎ এই অত্যাধিক রক্তচাপ অর্থাৎ 'ফাইট অর ফ্লি' রিয়াকশনের কারণে আমাদের মাসল গুলো কাঁপতে থাকে , ফলে শরীর ও কাঁপে! শুধু শরীর কাঁপে না খেয়াল করে দেখবেন অনেকের মুখ লাল হয়ে যায় কারণ মুখের ত্বক অনেক সংবেদনশীল হওয়ায় অতিমাত্রার রক্তপ্রবাহ মুখে ফুঁটে উঠে যেহেতু রক্তের রং লাল! আবার এর কারণে চোখের পিউপিল ও প্রসারিত হয়ে যায়, হৃদস্পন্দন ও বেড়ে যায়। এই যে ভয় বা টেনশনের সময় শরীর কাঁপুনি, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া,মুখ লাল হওয়া,চোখ বড় হয়ে যাওয়া সব ই 'ফাইট অর ফ্লি' নামক রিয়াকশনের কারণে।