উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক জড়িত। উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, স্ট্রোক হতে পারে। সুতরাং, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। আজ আমরা এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ মাহফুজা নাসরীন শম্পা। তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যদি কিছু খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন, তাহলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কিছু খাবার যদি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন, তাহলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বেশ সুস্থ থাকেন।
মাহফুজা নাসরীন শম্পার পরামর্শ, যেসব খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন, প্রথমেই আসবে সোডিয়াম ক্লোরাইড-জাতীয় খাবার। সোডিয়াম ক্লোরাইড বলতে বোঝানো হচ্ছে, যে খাবারের লবণটা খাই, সেটা। এই সোডিয়াম ক্লোরাইড কমাতে হবে, খাবারে কম লবণ দিতে হবে এবং খাবারে বাড়তি লবণ নেওয়া যাবে না। সোডিয়াম ক্লোরাইড যে সমস্ত খাবারে আছে, সে সমস্ত খাবার বাদ দিতে হবে। সিগারেট খাওয়া বাদ দিতে হবে। সিগারেটে যে ক্যাডমিয়াম থাকে, সেটা উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বাদ দিতে হবে চর্বিজাতীয় খাবার। অ্যানিমেল ফ্যাট যেগুলো, সেগুলো খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
মাহফুজা নাসরীন শম্পা বলেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের যেসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে, সেগুলো হচ্ছে... হাই-ফাইবার। দেখা যায়, যারা কিনা লো-ফাইবার ইনটেক করে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ বেশি থাকে। হাই-ফাইবার বলতে বোঝাচ্ছি শাকসবজি, যেসব ফল খোসাসহ খাওয়া যায়, সেগুলো খেলে ফাইবার-ইনটেক বাড়বে। এটা কিন্তু আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে আমাদের ধমনী সংকোচন বেড়ে যায়। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো হচ্ছে, শাকসবজি, বিচিজাতীয় খাবার, মাছ... এ সমস্ত খাবার আমরা রাখব। সে ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বেশ সুস্থ থাকবে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে এবং প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
ক্রেডিট: এনটিভি