মহাকাশে মহাকাশচারীর ওজনহীন কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
4,114 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (28,330 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (28,330 পয়েন্ট)
মহাকাশচারীরা ওজনহীন নয়। তারা মহাকাশে নিজেদের ওজনহীন মনে করে। মূল কারণ হলো, মহাকাশে কোনো অভিকর্ষ বল নেই। পৃথিবীতে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ওজন অনুভূত হয় সব ভরযুক্ত বস্তুর। পৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণ ৯.৮ মি/সে^২. এই অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবে পৃথিবীতে বল অনুভূত হয়। এবং ভরও অনুভূত হয়। মহাকাশচারীর ভর ঠিকই থাকে। কিন্তু অভিকর্ষজ ত্বরণ ০ বা ০ এর কাছাকাছি হবার কারণে, তার ভরও ০ অনুভূত হয়। কিন্তু ভর অনুভব হবার জন্য যে অভিকর্ষজ ত্বরণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেই ত্বরণের অনুপস্থিতিতে তাদের ভরও ০ মনে হয়। এবং তারা ভাসতে থাকে। মহাকাশে কেউ পতিত হয় না।

-তাসফিয়া তাবাসসুম
করেছেন (100 পয়েন্ট)
স্পেস স্টেশনের উচ্চতা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০কিমি ও যদি হয়, তবে সেখানে অভিকর্ষজ ত্বরণ ৯.৪৯মি/সে^২ হয়, কিন্তু সেখানেও মহাকাশচারীরা নিজেদের ওজনহীন মনে করে। মূলত মহাকাশ যান এর মাধ্যমে অভিকর্ষজ ত্বরণের সমান এবং বিপরীত মানের কোন ত্বরণ সৃষ্টি হওয়ার ফলেই অভিকর্ষ বলের প্রভাব থাকে না এবং মহাকাশচারীরা নিজেদের ওজনহীন মনে করে।
0 টি ভোট
করেছেন (5,760 পয়েন্ট)
মহাশুন্যযানের পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ঐ উচ্চতায় ৪ এর মানের সমান মানের আরো একটি ত্বরণ সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় g-g=0 হয়ে যায়। ফলে মহাশূন্যচারীরা মহাশুন্যযানের উপর কোন বল প্রয়োগ করেন না। ফলে নিজেকে ওজনহীন মনে করেন।
0 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)
মহাশূন্যচারীরা মহাশূন্যযানে করে পৃথিবীকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় বৃত্তাকার কক্ষ পথে প্রদক্ষিণ করে। এই বৃত্তাকার গতির জন্য মহাশুন্যযানের পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ঐ উচ্চতায় g এর মানের সমান মানের আরো একটি ত্বরণ সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় g-g=0 হয়ে যায়। ফলে মহাশূন্যচারীরা মহাশুন্যযানের উপর কোন বল প্রয়োগ করেন না। ফলে নিজেকে ওজনহীন মনে করেন।

আসুন আর একটু খোলাসা করি।

মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে যদি কোন বস্তু অন্য কোন বৃহত্তর বস্তুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে তবে ঐ বস্তুটির দুই প্রকার গতি হতে পারে। যেমন নিজ অক্ষে পাক খাওয়া (লাটিমের মত) আর নিজ কক্ষপথের সম্মুখে গতি।

কিন্তু এর সাথে অবশ্যই দুটি বলের সৃষ্টি হয়। যথা কেন্দ্রমূখী বল। এই বলের জন্য বস্তুটি ঘুরতে ঘুরতে কেন্দ্রে পতিত হতে চলে এবং ক্রমান্বয়ে ব্যাসার্ধ ছোট হতে থাকে। অপরদিকে একই সাথে আরেকটি গতি সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে কেন্দ্রবিমুখী বল।

আপনি ছোট একটি বস্তু দুই হাত লম্বা সুতা দিয়া বাধেন।তারপর সুতার অপর প্রান্ত হাতে ধরে বস্তুটি ঝুলান, এবার পাক দিয়া হাতের চারপাশে বস্তুটি ঘোরাতে থাকেন। তাহলে একটি বৃত্ত তৈরি হবে এবং আপনার হাতে যেখানে সুতাটি বাধা, সেটা হবে কেন্দ্র। বস্তুটি অভিকর্ষের কারনে ছিটকে দূরে চলে যাওয়ার কথা কিন্তু সুতা দিয়ে আপনার হাতের সাথে বাধা থাকার কারনে কেন্দ্র, অর্থাৎ আপনার হাতের দিকে একটি টান বা বল অনুভব করে। তাই এটি বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে।এই বলটি হচ্ছে কেন্দ্রমুখী বল।

এবার হঠাৎ সুতাটি ছেড়ে দিন। দেখবেন বস্তুটি কোন এক দিকে ছিটকে যেয়ে পড়ছে। কেন্দ্র বা আপনার হাতের দিকে আসেনি। এটি কেন্দ্রের বিপরীত দিকে ছিটকে যায়। একে কেন্দ্রবিমুখী বল বলে।

যখন কেন্দ্রমুখী বল এই কেন্দ্রবিমুখী বলের সমান হয় তখন বস্তুটি কেন্দ্রে পড়েনা। নিজ কক্ষপথে চলতে থাকে। মহাকাশ স্টেশন এমনই। ফলে তা পৃথিবীর দিকে চলে আসেনা। আর এখানে যখন নভোচারী যান তখন নভোচারীও সমান বলে ঘুরতে থাকেন। ফলে নিজেই কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখী উভয় বলের প্রভাবে লব্ধি বল বরাবর সম্মুখে কক্ষপথে চলতে থাকে। এ অবস্থায় ওজন হীন লাগে কারন অন্য কোন বস্তুর আকর্ষন বল, নিজের গতির বলের সমান হওয়ায় দুটি বল কাটাকাটি হয়ে নিরপেক্ষ বা শূন্য হয়ে যায় । অর্থাৎ, g-g = 0 হয়।

আশা করি বুঝতে পারছেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
4 টি উত্তর 8,341 বার দেখা হয়েছে

10,857 টি প্রশ্ন

18,557 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

853,176 জন সদস্য

28 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 28 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. sanjay

    240 পয়েন্ট

  2. trendytraders

    120 পয়েন্ট

  3. ok8386blue

    100 পয়েন্ট

  4. 11Uu01org

    100 পয়েন্ট

  5. dongphuccongtybonmua

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...