বায়োলজিকাল ক্লক এর মূল কারণ। সহজ করে বলতে চাইলে এর সুন্দর একটি বাংলা শব্দ বলা যেতে পারে, 'দেহ ঘড়ি"! এই দেহ ঘড়িই মূলত আমাদের প্রাত্যাহিক বিভিন্ন কাজের তাড়না দেয়। শুধু প্রাণির ক্ষেত্রেই না, উদ্ভিদ জগতেও বায়োলজিকাল ক্লক রয়েছে।
যাইহোক, এই ঘড়ি শরীর, মন ও ব্যবহারিক পরিবর্তন সাপেক্ষে খিদে, ঘুম, আচার-আচরণ, হৃদস্পন্দন প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন, আপনার ঘুমানোর সময় হলেই আপনার ঘুম পাবে এবং তা সম্পন্ন হলেই আপনি সজাগ হয়ে যাবেন। এটা বলে দেয় এই বায়োলজিকাল ক্লক। এখন জিজ্ঞেস করা যেতে পারে এই ঘুমানোর/জাগ্রত হবার সময়টা কখন?
এটা নির্ভর করে ঘড়ির মালিকের উপর। অর্থাৎ, আপনি চাইলে সে ঘড়ি কিঞ্চিৎ নিয়ন্ত্রণ বা এর ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন আনতে পারেন। যেমন, ছোট বেলা থেকেই কারো অভ্যাস রাত ১০ টায় ঘুমিয়ে সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে যাওয়া। কিন্তু কিছুটা বড় হতেই তার আড্ডা দেয়া, টিভি দেখা এবং ফোন ব্যবহারের ঝোঁক বেড়ে গেলো। আবার সকালেও স্কুল-প্রাইভেট নেই। তখন দেখে যাবে নিয়ম করে ৮ ঘন্টা ঘুমানো ছেলেটি ধীরে ধীরে ১১ টা, ১১:৩০ তারপর ১২ টা! আর এখন ১ টার পর ঘুমাতে যাচ্ছে আর ৮ টার পর ঘুম থেকে উঠছে। কখনো আবার সকালে কাজ থাকলে জোরপূর্বক সেই ৬ টায় উঠতে হচ্ছে! এতেই শুরু হলো এক নিদারুণ অনিয়ম।
এই যে তার স্বভাবিক ঘুমানোর সময়কে সে বিলম্বিত করলো, এর মাধ্যমে আসলে সে তার দেহ ঘড়ির সেট করা টাইম কে বিলম্বিত করলো। একটা সময় তা একেবারে সেট হয়ে যাবে। তখন, তার আড্ডার মানুষ, বাসার টিভি এবং হাতের ফোন সরিয়ে নিলেও তার স্বইচ্ছায় সেট করা সময়ের আগে সে ঘুমাতে পারছে না।
এর একমাত্র সমাধান হলো যতটুকু সময় এবং কষ্ট করে সময়কে বিলম্বিত করেছে ততটুকু সময় এবং শ্রম দিয়ে তা পুনরায় আগের সময় নিয়ে আসায় সচেষ্ট হওয়া এবং সে ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
-নাহিদ জাহান ভূঁইয়া। Student Executive : Science Bee.