মাল্টি টাস্কিং করা কী ভালো অভ্যাস? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
320 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

ভাল না খারাপ সেটা কোন কোন কাজ একসাথে করছি তার উপর নির্ভর করে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীর (মস্তিষ্ক সমেত) মাল্টিটাস্ক করতে অভ্যস্ত, যেমন নিঃশ্বাস, রক্ত চলাচল ঠিক রাখার সাথে দেখা, শোনা, তার সাথে হাঁটা/লাফানো/হাসা কত কাজই না একসঙ্গে করে!

কিন্তু তাও আমাদের দিল মাঁগে More! এই অতিরিক্ত মাল্টিটাস্কের ৪টে উদাহরণ দিলাম:

  1. কাজের কাজ: গান গাওয়ার সময় আমরা গানের কথা আর সুর মনে রাখি, সাথে বাদ্য বাজাই: যারা গান শিখেছে তাদের ক্ষেত্রে হার+মণি+আম, তবলা, একতারা, বাঁশি ইত্যাদি আর আমাদের মত বেসুরোদের (অসুর?) ক্ষেত্রে ঢাক-ঢোল, কাঁসা, টেবিল, অন্যের পিঠ, প্লাস্টিক, চিকচিকি -মানে হাতের কাছে যা থাকে। এতগুলো ঝক্কিকে মস্তিষ্ক বেশ সামলায় কিন্তু!
  2. পেশাদার: কল সেন্টার এজেন্ট গ্রাহকের সাথে কথা বলাকালীন, তার কথা শুনে উত্তর দেয়া ছাড়াও ঐসময় সফটওয়্যার সংক্রান্ত যাবতীয় করনীয় কাজ (কলের বিবরণ সহ লগ বানানো ইত্যাদি) করেন।
  3. অকাজের কাজ: রান্না করতে করতে টিভি দেখা, সবজি বোনানোর সময় জীবনসঙ্গীর সাথে ঝগড়া করা, টয়লেট করার সময় ফোনে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর সাথে সোয়া-এক ঘণ্টা ধরে পুলকজাগানো যদিও বেদরকারি কথা বলা, টিভি সিরিয়াল দেখতে দেখতে বান্ধবীর সাথে সিরিয়ালটা কতটা ফালতু সে বিষয়ে চ্যাটিং, মোবাইলে/কম্পিউটারে ক্যোরা বা অন্য কিছু ঘাঁটতে ঘাঁটতে সিনেমা দেখা; গান চালিয়ে কানে ইয়ারফোন গুঁজে চোখে কালো চশমা পড়ে ঘুমনো; হেডফোন লাগিয়ে রাস্তা পারাপার (ফলে কখনো-সখনো জীবন পারাপার), গাড়িতে ওঠা-নামা করা। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যারা এইভাবে গান শোনেন, তারা সেই গানগুলো ৫০-৬০ বাস শুনলেও গানের সুর, বিশেষত কথা ঠিকমত মনে করতে পারেন না - কারণ মনটা সেদিকে সমানভাবে থাকে না।
  4. কুকাজের কাজ: নিত্যকর্ম সারার মাঝে সারাদিন ধরে অন্যেরা কে কী করছে তার উপর নজর রাখা, সাহায্য করার অন্য নয়, পরনিন্দার মহৎ উদ্দেশ্যে! অথবা এক হাতে বন্ধুক ধরে, পান চিবুতে চিবুতে আরেক হাতে লুঠের মাল গোনা!

সবরকমের কাজ আমাদের ব্রেনে একই প্রভাব ফেলে না বা ব্রেনকে একভাবে খাটায় না, ঠিক যেমন সব সফটওয়্যার একই জায়গা অথবা মেমরি নেয় না। তাই কিছু ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্ক করলে সব কাজই ঠিকমত করা যায়, যেমন গান করতে করতে কোনো কিছু বাজানো বা লিপস্টিক লাগাতে লাগাতে নিজস্বী বা সেল্ফি তোলা।

অন্য ক্ষেত্রে যেসব কাজে বেশি মনোযোগের দরকার, সেই রকম একাধিক কাজ একসাথে করলে আমাদের ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মস্তিষ্ক কোনো একটাতে বেশি মনোযোগ দেয় বলে অন্যটা/অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়/হতে পারে, যেমন আইল্যাশিং আর ভ্রূসজ্জা একসাথে করা, নেল পলিশের সময় নখ কাটা, সার্জারি করার সময় নাচা, কিম্বা খেতে খেতে লাফানো।

তাই (নিজবিবেচনার ভিত্তিতে) শুধুমাত্র দরকারি ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং করা উচিত।

ক্রেডিট: সুস্নাত মন্ডল (কোরা)

0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
সম্ভবত এটা অভ্যাসের ব্যাপার নয়, বরং বিশেষ ক্ষমতা বা দক্ষতা (skill) যা অভ্যাসের দ্বারা হয়ত কিছুটা বাড়ানো সম্ভব।

 

ছোটবেলায় যখন পড়ার অছিলায় খেলতে ভালোবাসতাম তখন শেখা ছড়ার লাইনগুলো আজও মনে পড়ে:-

 

One at a time and that done well…

 

Is a very good rule that many can tell.

 

আমার মতে ভালো অভ্যেস এটাই।

 

হিউম্যান মাল্টিটাস্কিং আসলে কি?

 

হিউম্যান ব্রেইনকে সিঙ্গল কোর প্রসেসর (single core processor) এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে। (আইটি গীকরা, ভুল হলে বলবেন।)

 

একটি নিৰ্দিষ্ট সময়ে আমাদের মস্তিষ্ক একটি মাত্র চিন্তায় মনোনিবেশ করতে পারে। যার দ্রুত চিন্তা করার ও সেইমত কাজ করার ক্ষমতা থাকে তিনি একসাথে একাধিক কাজ নিয়ে বসতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাকে কাজগুলোকে ক্রমান্বয়ে একটু একটু করে সময় দিতে হয়। যখন একনম্বর কাজটি এগজেকিউট হতে থাকে, সেই সময় দুই নম্বর কাজটির ব্যাপারে মস্তিষ্ক পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া জারি রাখে। প্রথম কাজটি কিছুটা করে মস্তিষ্ক দ্বিতীয় কাজটিতে ভালো করে মনোনিবেশ করে। তখন প্রথম কাজটি সাময়িক মুলতুবি অবস্থায় বা কোনোমতে চালু অবস্থায় থাকে। এই প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত রিপিট হলে বাইরে থেকে মনে হবে দুটি কাজ মানুষটি একসাথে করছেন।

 

একজন লোক গাড়ি চালাতে চালাতে যদি ফোনে কথা বলে তবে , গাড়িটা স্লো করে দেয়। মূল মনোযোগ থাকে ফোনে শোনা ও বলার কাজে।গাড়ি চালানোর কাজটা খানিকটা যান্ত্রিক ভাবে চলতে থাকে। ফোনে কথা শেষ হলে আবার গাড়ি চালানোতে পূর্ণ মনোযোগ ফিরে আসে ও গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলে। এই প্রক্রিয়ায় বার বার কাজ করলে কেউ কেউ এ বিষয়ে বেশ স্বচ্ছন্দ ও দক্ষ হয়ে ওঠেন আজকাল। সূত্র- কোরা

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 235 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 166 বার দেখা হয়েছে
07 নভেম্বর 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Melody (6,010 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 262 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 3,076 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,572 জন সদস্য

82 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 80 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...