অকারণে খাওয়ার অভ্যাস কমানোর উপায় কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
176 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

বর্তমানে চলমান লকডাউনের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ, স্বল্প পরিসরে চলছে অফিস-আদালত। অধিকাংশেরই সময় কাটছে ঘরে। এ অবস্থায় মনের অজান্তেই খাওয়াদাওয়ায় অতিরিক্ত মনোযোগী হয়ে ওঠা অনেক সময় নিজের কাছেও অস্বাভাবিক মনে হয় না। আর যদি এমনটা ঘটতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি ভুগছেন ‘ওভার ইটিং’ নামের সমস্যায়। ওভার ইটিং বা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের অভ্যাসের কারণে বেড়ে যেতে পারে শরীরের ওজন, দেখা দিতে পারে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা। অলস সময় বা পরিস্থিতির কারণে এমন হলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে খাদ্যাভ্যাস। কী করে ওভার ইটিং সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারেন, সেটাই বরং যেনে নেওয়া যাক। 

নিজের সঙ্গে কথা বলুন: যদি আপনি মনে করেন, প্রতিদিন নিয়মের চেয়ে বেশি এবং অতিরিক্ত খাচ্ছেন, আর একটু একটু করে ওজন বেড়েই চলছে, মুটিয়েও যাচ্ছেন। তাহলে এমনটা কেন হচ্ছে, তা খোঁজার চেষ্টা করুন প্রথমে। সাধারণত মানসিক অবস্থাভেদে আমাদের খাওয়ার পরিমাণ কমে–বাড়ে। কর্মহীনতা, অতিরিক্ত ব্যস্ততা, অবসাদে ভোগা কিংবা অতি আনন্দে থাকলেও আমাদের খাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায় কিংবা অতিরিক্ত খাই আমরা। নিজের সঙ্গে কথা বলুন, মনের অবস্থা যাচাই করুন। স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করুন।

খেতে হবে সময়মতো: ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার, অর্থ্যাৎ সকাল, দুপুর ও রাতের খাদ্য গ্রহণের নির্দিষ্ট সময় যেন ঠিক থাকে। সকালের নাস্তা দুপুরের আগে, দুপুরের খাবার বিকেলে এবং রাতের খাবার যেন গভীর রাতে চলে না যায়। এমন নিয়মে অভ্যস্ত না হলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাবার গ্রহণ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। শরীর সময়মতো খাবার না পেলে নিজেই অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি করে রাখে, ফলে খাবার সামনে এলে আপনি মানসিকভাবেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বেশি খেতে চাইবেন। ফলে প্রতিদিন ঠিক সময় মেনে খাবার খেতে হবে।

খাওয়ায় হতে হবে মনোযোগী: ঘরে বসে থাকার এ সময়ে আমরা সাধারণত খাওয়ায় মনোযোগী হই না। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, কম্পিউটার-ল্যাপটপে কোনো কাজ করতে করতে, টিভি দেখতে দেখতে বা মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে খাই। এমনটা কোনো মতেই কাম্য নয়। ওভার ইটিং সমস্যার অন্যতম কারণ, খাদ্য গ্রহণে অমনোযোগী হওয়া। খাওয়ায় মন না দিয়ে বেশি সময় ব্যয় করে যখন খাবেন, তখন বেশিই খেতে মন চাইবে। আর আমরাও তা–ই করি। ফলে নির্দিষ্ট টেবিলে বা জায়গায় বসে মন দিয়ে সময় নিয়ে খেতে হবে।

অতি পছন্দের খাবারকে ‘না’ বলুন: আমরা সাধারণত যে খাবার পছন্দ করি বা খেতে ভালোবাসি, সেটাই একটু বেশি খাই। ওভার ইটিং সমস্যার সমাধানে অতিরিক্ত পছন্দের খাবার নির্বাচন করুন। খাবারগুলোর একটি তালিকা করুন। সেটা হতে পারে আইসক্রিম, বার্গার, পিৎজা, কোনো পিঠা, চকোলেট বা অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত কোনো খাবার। বাসায় বা ফ্রিজে এসব খাবার রাখা বন্ধ করুন কিংবা একেবারে বন্ধ করা না গেলে কম অথবা স্বল্প পরিমাণে খান।

খেতে হবে প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার: প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার আপনার দেহ ও মনকে রাখবে সতেজ ও শক্তিশালী। ডিম, ফল, শাকসবজি, মুরগির মাংস, মাছ ইত্যাদি খাবার যোগ করুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এসব খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে যেমন করবে শক্তিশালী, তেমনি আপনার সুগার লেভেলকে ঠিক রাখবে। খাদ্য হজমে সহায়তা করবে। ফলে উদ্যমহীনতা বা ক্লান্তির কারণে শরীর আপনার থেকে বেশি খাবার চাইবে না, আপনিও প্রয়োজনের বেশি খাওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।

কোমল পানীয়র বদলে থাকুক পানি: চিনিযুক্ত কোমল পানীয়র প্রতি ভালোবাসা কার না আছে। বাজারে পাওয়া যায়, এমন হাজারো পানীয়। খাওয়ার সময় কোমল পানীয় গ্রহণের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। কোমল পানীয়র জায়গায় গ্রহণ করুন পানি। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্বাভাবিক বয়সের দুজন ব্যক্তি, একজন খাওয়ার সময় কোমল পানীয় গ্রহণ করছেন এবং আরেকজন পানি পান করছেন। কোমল পানীয় পান করা ব্যক্তিটি পানি পান করা ব্যক্তির চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ খাবার বেশি গ্রহণ করছেন। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত এই কোমল পানীয় দীর্ঘমেয়াদে আপনার শরীরের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। 

ডায়েট হতে হবে ব্যালান্সড: শরীরের ওজন বেড়ে যাচ্ছে বলে নিজে নিজেই প্রায় সবই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে ‘ডায়েট’ নামের চর্চা শুরু করলেন তো বিপদ ঘরে ডেকে আনলেন। কারণ, ওভার ইটিং সমস্যা থেকে মুক্তির পথ হলো ব্যালেন্স ডায়েট। নিয়মিত ও পরিমিত আহারই হলো ব্যালেন্স ডায়েটের মূল কথা।

সুতরাং সব খাবার বাদ না দিয়ে বরং প্রয়োজনীয় খাবারগুলো চাহিদার অতিরিক্ত না খেলেই হলো। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয়, নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং একজন পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হন, তিনিই বাতলে দিতে পারেন সহজ ব্যালেন্স ডায়েটের পদ্ধতি। আর আপনিও বাঁচবেন ওভার ইটিং নামের সমস্যা থেকে।

সূত্র: প্রথম আলো

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,398 বার দেখা হয়েছে
01 এপ্রিল 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 275 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,213 বার দেখা হয়েছে
18 এপ্রিল 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 237 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 362 বার দেখা হয়েছে
30 এপ্রিল 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,383 জন সদস্য

69 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 67 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Israt Jahan Taha

    130 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...