চাঁদ না থাকলে পৃথিবীর উপর কি বিরূপ প্রভাব পড়বে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
788 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (110,330 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
চাঁদ না থাকলে আমাদের রাতের জীবনে পরিবর্তন আসবে । চাঁদ না থাকায় পৃথিবীর দিনের ভাগেও মারাত্মক পরিবর্তন আসবে। এছাড়াও পৃথিবীর ওপরও এর প্রভাব পড়বে মারাত্নক ।

পৃথিবী যেমন চাঁদের উপর মহাকর্ষীয় টান অনুভব করে তেমনি চাঁদও পৃথিবীর উপর মহাকর্ষীয় টান অনুভব করে। চাঁদের এই মহাকর্ষীয় টানের জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি কম থাকে। আবার চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ জনিত কারণে আমাদের পৃথিবীর সমুদ্রের পানির উত্থান ও পতন সম্পন্ন হয়। পানির এই উত্থান পতনের সময় পানি ও পৃথিবীর একধরনের ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় যার ফলেও পৃথিবীর গতি হ্রাস পায়। চাঁদ যদি না থাকে তাহলে এটা সম্ভব যে সমুদ্রের পানি আমাদের সমস্ত পৃথিবীতে সমানভাবে ছড়িয়ে যাবে এবং তার ফলে পৃথিবীর সাথে পানির ঘর্ষণও কমে যাবে।

আর এমন যদি হয় তাহলে পৃথিবীর গতি অনেক বেড়ে যাবে এবং এর ফলে আমাদের দিনের সময়সীমা কমে যাবে।তাই হটাৎ করেই যদি চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে আমাদের দিন ২৪ ঘন্টার জায়গায় হয়ে যাবে ৬ বা ১২ ঘন্টা। আবার আমাদের দিন যদি ছোট হয়ে যায় তাহলে আমাদের বর্ষপঞ্জি ও বদলে যাবে কারণ দিন ৬ বা ১২ ঘন্টায় হলে আমাদের পৃথিবীতে বছর আর ৩৬৫ দিনে না হয়ে বছর হবে ১০০০ এর ও বেশি দিনে!

চাঁদ যেহেতু পৃথিবীর পানির উচ্চতা ও চলাচলে প্রভাব ফেলে তাই হটাৎ যদি কোনদিন চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে সেটা পানির জোয়ার-ভাটায় ও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। পৃথিবীর আবর্তনের কারণে সমুদ্র যখন চাঁদের দিকে আসে তখন সেখানকার পানিতে উচ্চ জোয়ার সৃষ্টি হয়। আবার গ্রহের বিপরীতে যেখানে সমুদ্র চাঁদ থেকে দূরে সরে আসে সেখানে ও আরেকটি উচ্চ জোয়ার সৃষ্টি হয়। আবার বাল্জের উভয় পাশে তখন সংঘটিত হয় নিম্ন জোয়ার। পৃথিবী যেহেতু ঘুরছে তাই পৃথিবীর ঘূর্ণণের সাথে সাথে জোয়ার ভাটার ও পরিবর্তন হয়।

বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন যদি চাঁদ না থাকে তাহলে উচ্চ জোয়ার গুলো এখনকার আকারের তিন ভাগের এক ভাগ হবে এবং নিম্ন জোয়ারগুলো আরও ছোট হয়ে যাবে। এর ফলে জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে যেসব প্রাণী বেচে আছে তাদের জীবনে মারাত্মক প্রভাব পরবে।

হটাৎ যদি কোনদিন চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে সেটা আমাদের আবহাওয়ার উপরও প্রভাব ফেলবে। কারন চাঁদ পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি নিয়ন্ত্রণ করে। চাঁদ না থাকলে পৃথিবীর গতি বেড়ে যাবে যা পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ও বাতাসের গতিকে বদলে দেবে।এমন যদি হয় যে চাঁদ অদৃশ্য হয়ে গেছে তাহলে পৃথিবীতে বাতাসের গতি অনেক বেড়ে যাবে এবং বাতাস অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

 

চাঁদের অনুপস্থিতি আমদের ঋতুচক্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে । চাঁদ না থাকায় এমনও হতে পারে যে আমাদের পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য আর কোন ঋতু

পরিবর্তন দেখতে পাব না। অর্থাৎ আমাদের পৃথিবীর মৌসুম থমকে যাবে।

হটাৎ যদি কোনদিন চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে আমাদের সমস্ত পৃথিবী থমকে যাবে।থমকে যাবে পৃথিবীর সকল প্রাণিকুল ও জীবকুল। চাঁদের অনুপস্থিতি প্রভাব ফেলবে সমুদ্রের জোয়ার ভাটায়, প্রভাব ফেলবে দিনের সময়সীমাতে।চাঁদ না থাকলে রাত হবে আরো কালো, নানা ঋতুতে রঙিল আমাদের পৃথিবী হয়ে যাবে স্থির। চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে আর পূর্নিমা আসবে না। মায়াবী চাঁদের দিকে মায়াময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে কবিদের আর কবিতা লেখা হবে না।পৃথিবী হয়ে যাবে রিক্ত, পৃথিবী হয়ে যাবে মলিন,পৃথিবী হয়ে যাবে শুন্য এক গ্রহ!
0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ এইটা আমাদের কারোরই অজানা নয়। কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে যে চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে কি আর এমন পরিবর্তন হতো?  কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই চাঁদের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি না।

চাঁদ না থাকলে সর্বপ্রথম এবং অবশ্যই যে পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করবো সেটা হলো পৃথিবীর রাত। চাঁদ আছে বলেই আমরা রাতের বেলা জোছনার আলো পাই। রাতের বেলা সূর্যের আলো চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে আসে যার ফলে পৃথিবী রাতের বেলা আলোকিত হয়। কিন্তু এই চাঁদ না থাকলে আমাদের রাত হবে নিকষ কালো অন্ধকার।

তবে চাঁদ না থাকলে শুধু আমাদের রাতের জীবনে পরিবর্তন আসবে না। চাঁদ না থাকলে আমাদের দিনের ও পরিবর্তন ঘটবে।

চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে জোয়ার ভাটা হতো না। আমরা দেখতে পারতাম না সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ।

পৃথিবী যেমন চাঁদ কে মহাকর্ষীয় বলে টানে তেমনি চাঁদ ও পৃথিবীর উপর মহাকর্ষীয় বলের প্রভাব খাটায়। চাঁদ এর মহাকর্ষীয় বলের কারনে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি কম থাকে। চাঁদের এই মাধ্যাকর্ষনজনিত বলের কারনে সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে এবং সেই পানিতে বাতাস লাগে ফলে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর আবর্তনের কারনে সমুদ্র যখন চাঁদের দিকে আসে তখন চাঁদের আকর্ষনে সেখানে উচ্চ জোয়ারের সৃষ্টি হয় তখন ঠিক তার বিপরীতে তখন নিম্ন জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এবং বাকি দুই পাশে তখন ভাটার সৃষ্টি হয়।পৃথিবী যেহেতু ঘুরছে তাই পৃথিবীর ঘূর্ণন এর কারনে জোয়ার ভাটার ও পরিবর্তন হয়। যদি চাঁদ না থাকে তাহলে বর্তমান উচ্চ জোয়ার গুলো প্রায় তিন ভাগের এক ভাগের মতো হবে এবং নিম্ন জোয়ার গুলো আর নিম্ন হবে ফলে জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে সেগুলোর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

তারপর প্রভাব পড়বে,  পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির উপর।  জানেন কিভাবে?  

ধরুন,  আপনি কোনো বিন্দুতে সজোরে যেভাবে ঘুরতে পারবেন,  আপনার হাতে যদি কোনো ভারী বস্তু দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কি আপনি এইভাবে ঘুরতে পারবেন?  অবশ্যই না।  চাঁদ ঠিক আপনার হাতের ওই ভারী বস্তুর ভূমিকা পালন করছে। এখন আমাদের দিন - রাত মিলিয়ে হয় ২৪ ঘন্টা,  কিন্তু চাঁদ যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে দিন - রাত মিলিয়ে হতো ৬ ঘন্টা । তাহলে বুঝতে পারছেন তো চাঁদের গুরুত্ব কতটা?  

চাঁদ যদি না থাকতো তবে আমাদের ঋতুচক্রও পরিবর্তিত হত না।  তখন কোথাও সারা বছর বৃষ্টি হতো,  আবার কোথাও সারা বছর রোদ ; যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।  

এছাড়াও চাঁদ না থাকলে  পৃথিবীতে দুপুরে তাপমাত্রা  থাকবে ৮০°F আর ভোরবেলায় প্রায় -৫১°C,  যা প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান।  

এছাড়া চাঁদ না থাকলে,  পৃথিবী পুরোপুরি সূর্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে,  যার ফলে সুনামি,  জলোচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় দুর্যোগ পৃথিবীতে দেখা দিবে,  এখন পৃথিবী আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।

ক্রেডিট : নাফিসা তাসমিয়া

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 299 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
1 উত্তর 194 বার দেখা হয়েছে

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

262,992 জন সদস্য

76 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 76 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. AltaPitt1334

    100 পয়েন্ট

  3. MickiVandorn

    100 পয়েন্ট

  4. Donette38S82

    100 পয়েন্ট

  5. YolandaCarin

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...