সম্প্রতি পশু আচরণবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা বিভাগের সাবেক পরিচালক কেলি বোলেন এর কারণ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, এর একটি কারণ হতে পারে বিড়ালের লোমের ধরন এমন যে এটি পানিতে ভেজানোর ক্ষেত্রে অনুকূল নয়। বিড়ালের লোম ভিজে গেলে শুকাতে অনেক সময় লাগে, যা একে অস্বস্তিকর অনুভূতি দেয়। অন্যদিকে কুকুরের লোমের ধরনটাই এমন যে তা সহজেই শুকিয়ে যায়, ফলে পানিতে কুকুরের অস্বস্তি হয় না। পানিতে সাঁতার কাটার ব্যাপারেও বিড়ালের অস্বস্তি লক্ষণীয়, কিন্তু কুকুরের তা নেই। কিছু কিছু কুকুর তো এতই ভালো সাঁতার কাটে যে সেগুলোকে ‘ওয়াটার ডগ’ বলা হয়। এ প্রসঙ্গে বোলেন জানান, বিড়ালের থাবার গঠন এমন যে তা শক্ত যেকোনো কিছুর ওপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম, কিন্তু পানিতে ব্যবহারের জন্য অনুকূল নয়। কুকুরের থাবার গঠন আবার এমন যে তা পানিতে সাঁতার কাটার সময় কোনো অসুবিধার সৃষ্টি করে না।
কুকুর ও বিড়ালের চামড়ার প্রকৃতিও আলাদা। বিড়ালের চামড়া স্পর্শকাতর বেশি। পানি বা অন্য কোনও তরলের সঙ্গে তা খুব একটা মানিয়ে নিতে পারে না। তেলা হয়ে ভিজেই থাকে। তার উপর বিড়াল শীতকাতুরে প্রাণী। ভিজে লোম ও চামড়ায় সারাটা দিন বিপর্যস্ত হয়ে থাকে। তাই পানি একেবারে পছন্দ করে না তারা। তাই বাড়ির পোষ্য বিড়ালকে জোর করে রোজ গোসল করানো ঠিক নয়। শুকনো নরম কাপড়ে ঝেড়ে দিন তাদের গা। তাতেই পরিষ্কার থাকবে বিড়ালের দেহ। দু’ সপ্তাহ অন্তর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
সূত্র : দৈনিক যুগান্তর . NTV