মানুষের সঙ্গে যে প্রাণীটির সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্ব, সেটি কুকুর। কুকুরের প্রভুভক্তি কিংবা মানুষের সঙ্গ ধরে রাখার বহু গল্প-কাহিনী আমাদের জানা। কুকুরের সঙ্গে মানুষের এমন দোস্তি কেন_ এ প্রশ্ন পণ্ডিতজনদের কম ভাবায়নি। বিজ্ঞানীরা অবশ্য একটি জবাব খুঁজে পেয়েছেন। তারা বলছেন, মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্রম যেমন, তার অনেকটাই কাছাকাছি কুকুরের মস্তিষ্ক এবং তার কার্যক্রম। মস্তিষ্কের সক্রিয়তার এমন মিল থাকার জন্যই সম্ভবত অন্য প্রাণীর চেয়ে কুকুরের সঙ্গে মানুষের বেশি বন্ধুত্ব।
গবেষকরা বলছেন, ৩০ হাজার বছর আগে বরফযুগ থেকেই মানুষের কাছের বন্ধু কুকুর। এর কারণ হচ্ছে, মানুষের মস্তিষ্কে আবেগ বলে যে সংবেদনশীলতা রয়েছে, কুকুরের মস্তিষ্কেও সেটি আছে। আদুরে কণ্ঠ শুনে মানুষের মতোই কুকুরের মস্তিষ্কে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কুকুরের মস্তিষ্কের এফএমআরআই স্ক্যান করে আবেগ সংবেদনশীলতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী জর্জ বার্নস বলেন, কুকুরের খাবার আসে সাধারণত মানুষের দেওয়া খাবার কিংবা ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট থেকে। যখন কুকুরকে খাবার দেওয়া হয়, তখন তার মস্তিষ্কে বিশেষ আবেগী প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। যে-ই খাবার দিক, সেটি কুকুরের কাছে মুখ্য নয়, খাবার যার কাছে পাচ্ছে, তার সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠতা।
জর্জ বলেন, কুকুর মূলত খাবারের জন্যই মানুষের বন্ধু হচ্ছে এটি যেমন ঠিক, তেমনি মানুষও কিন্তু আরেক মানুষের বন্ধু হচ্ছে সামাজিক বন্ধন ও সুবিধার জন্যই। তাই কুকুরের এ আচরণকে সুবিধাবাদী বলে দোষ দেওয়া যাবে না। সূত্র : ডেইলি মেইল অনলাইন।