এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে শরীর থেকে সহজেই নিকোটিন বের হয়ে যাবে :
ব্রকলি
ব্রকলিতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন বি-৫ ও ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন বি শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি খেলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুসকে টক্সিন থেকে রক্ষা করে। ব্রকলিতে NRF2 জিন থাকে৷ যা ফুসফুসের কোষকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
কমলা
কমলায় থাকা ভিটামিন সি নিকোটিন হ্রাস করে। কমলা খেলে ভিটামিন সি-এর স্তর পরিপূর্ণ হয় এবং স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা কমে।
পালংশাক
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের ফলিক অ্যাসিডের সরবরাহ কম থাকে। তাই পালংশাক খেতে পারেন, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড। পালং শাক খেলে স্মোকিংয়ের স্বাদ নষ্ট হয়! তাই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে পালংশাক খেতে হবে৷
আঙুরের রস :
আঙুরের রস ফুসফুসকে টক্সিন-মুক্ত করতে সাহায্য করে।
মধু:
মধুর বেশ কিছু ভিটামিন, উত্সেচক এবং প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেওয়ার পাশাপাশি সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আদা:
আদা চা বা কাঁচা আদা নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়। ধূমপানের ইচ্ছে হলেই যদি এক টুকরো কাঁচা আদা মুখে দেওয়া যায় তাহলে ধূমপানের ইচ্ছা প্রশমিত হবে অনেকটাই। এ ছাড়া আদা শরীর থেকে নিকোটিনজাত টক্সিন বের করে দেয়। পাশাপাশি, নিকোটিন থেকে জন্ম নেওয়া ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।
কিউই ফল
কিউই ফলে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের জন্য দারুণ উপকারি। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিউই নিকোটিন কমিয়ে আনতে কার্যকরী একটি ফল।
ডালিম:
এই ফলটিতে শরীরে রক্ত প্রবাহ বারিয়ে দিয়ে নিকোটিনকে বার করে দিতে সাহায্য় করে।
জাম:
এটি খেলে শরীরে জমে থাকা নানা টক্সিনের সঙ্গে নিকোটিনও বেরিয়ে যায়।
Source : boldsky , dhakatribune , ekhuseytv , medilife , healthpanda