প্যারাল্যাক্স (parallax) পদ্ধতিতে এবং ত্রিকোনোমিতি দিয়ে খুব সহজেই এই দূরত্ব হিসেব করে বিজ্ঞানীরা।
আশা করি নিচের ব্যাখ্যা পড়লে আপনিও পরিমাপ করতে পারবেন।
সূর্যের দূরত্ব মাপার জন্য প্রথমে আমাদের শিখতে হবে কী
ভাবে পৃথিবী থেকে অন্য গ্রহের দূরত্ব পরিমাপ করতে হয়।
নিচের ছবিটি দেখুনঃ
মনে করুন আপনি পৃথিবী থেকে p গ্রহের দূরত্ব মাপবেন। এর জন্য, আপনি পৃথিবীর দুইটি স্থানে A এবং B তে দুইজন পর্যবেক্ষক রেখেছেন।
O' হলো অনেক অনেক দূরের একটি স্থির তারা যেটাকে পৃথিবীর A এবং B অবস্থান থেকে একই অবস্থানে দেখাবে।
O' অনেক দূরে হওয়ায় পৃথিবীর যেকোনো অবস্থান হতে একে স্থির দেখাবে। কিন্তু p তূলনামূলক কাছে হওয়ায় পৃথিবীর দুই প্রান্ত থেকে এর অবস্থান একই দেখাবেনা। এই পদ্ধতির নামই parallax.
এখন, <O'AP=<APD=theta1
<O'BP=<BPD=theta2
সমগ্র কোণ, <APD=theta1+theta2
যেহেতু, O' অসীমে অবস্থিত তাই আমরা বৃত্তচাপটিকে AB ধরতে পারি।
আমরা জানি, বৃত্তচাপ, S=R (theta)
R=S/theta
এখানে S=AB অর্থাৎ, দুইজন পর্যবেক্ষকের মধ্যবর্তী দূরত্ব। এভাবেই, পৃথিবী থেকে গ্রহের দূরত্ব হিসেব করা হয় এবং প্রায় কাছাকাছি মান পাওয়া যায়।
সূর্যের দূরত্ব পরিমাপ করার জন্য প্রথমে parallax পদ্ধতিতে শুক্রের দূরত্ব পরিমাপ করে নিতে হয় (যেহেতু পৃথিবী থেকে সহজেই এটি পর্যবেক্ষণ করা যায়)
নিচের ছবিটি দেখুনঃ
এখানে S হলো সূর্য, V হলো সূর্য গ্রহ, E হলো পৃথিবী।
শুক্র নিজের অক্ষের উপর পৃথিবী থেকে দ্রুত ঘুরে। যখন শুক্র, পৃথিবী এবং সূর্যের সাথে সমকোণে অবস্থান করে অর্থাৎ, <EVS=90° হয় তখন, আমরা ত্রিকোনোমিতি ব্যবহার করে সহজেই সূর্যের দূরত্ব পরিমাপ করতে পারি।
এখানে <SEV=theta ; যা পৃথিবী থেকে পরিমাপ করা যায়।
এখন, cos<SEV= EV/ES
=> ES= EV/ cos<SEV
এখানে, ES হলো পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব এবং EV হলো parallax পদ্ধতিতে পরিমাপকৃত পৃথিবী থেকে গ্রহের দূরত্ব।
এর থেকে আপনি SV অর্থাৎ সূর্য থেকে গ্রহের দূরত্বও পরিমাপ করতে পারেন।
এই পদ্ধতির সাহায্যে গ্রহ, সূর্য অন্যান্য তারার মধ্যবর্তী দূরত্ব পরিমাপ করা হয়।।
ক্রেডিটঃ Quora