লাইকেন যদি সবসময় দূষিত বাতাসে উন্মুক্ত থাকে তাহলে তারা নিজ দেহে দূষিত পদার্থের স্তুপ গঠন আটকাতে পারে না।পত্ররন্ধ্র এবং কিউটিকল না থাকায় লাইকেন অ্যারোসল এবং গ্যাস শোষণ করে যা তাদের থ্যালাস থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় ফটোবায়োন্ট স্তরে প্রবেশ করে। লাইকেনের মূল না থাকায় তারা বায়ু থেকে সরাসরি উপাদান গ্রহণ করে। ফলে লাইকেনে উপস্থিত উপাদান গুলো অনেক সময় বায়ুর উপাদানের সমাবেশ নির্দেশ করে। যেমন বায়ুতে অনেক বেশি নাইটোজেন থাকলে তা লাইকেনের ফটোবায়োন্ট(শৈবাল) এর ক্লোরোফিল এর ক্ষতি করতে পারে যা লাইকেনের সার্বিক শক্তি উৎপাদনকে ব্যাহত করে। লাইকেন সম্পর্কিত অনেক গবেষণা লাইকেনকে কার্যকরী বায়োইনডিকেটর বা পরিবেশের বিশুদ্ধতার মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে। সব লাইকেনই বায়ু দূষণের প্রতি সমানভাবে স্পর্শকাতরতা প্রদর্শন করে না। এটা নির্ভর করে মাইকোবায়োন্টের শক্তি চাহিদার উপর, মাইকোবায়োন্ট ফটোবায়োন্টের উপর যত বেশি নির্ভরশীল হয় স্পর্শকাতরতা তত বৃদ্ধি পায়। বায়ু দূষণের প্রভাবে লাইকেন এর ফটোবায়োন্ট জৈব রাসায়নিক শক্তি ব্যবহার করে কোষের গঠন মেরামত করতে। ফলে মাইকোবায়োন্ট এই শক্তি পায় না। ফলে মিথোজীবিতা নষ্ট হয় এবং লাইকেন গঠন ব্যাহত হয়।