ক্রায়োস্লীপ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+7 টি ভোট
793 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

Nishat Tasnim- 

ক্রায়োস্লীপ হচ্ছে মৃত মানুষকে প্র‍যুক্তির সাহায্যে জীবিত করার প্রক্রিয়া। ক্রায়োপ্রিজারভেশনে মৃত ব্যক্তিকে এই আশায় সংরক্ষণ করা হয় যাতে ভবিষ্যৎ এ তাদের জীবিত করার প্রযুক্তি আবিষ্কার হবে বা তাদের রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার হবে। এই প্রক্রিয়াকে বলে ক্রায়োনিকস। এই পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তির দেহ অনেক কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। কাউকে সংরক্ষণ করা হলে বলা হয় তিনি ক্রায়োনিক সাসপেনশন এ আছেন।

ক্রায়োনিকস প্রক্রিয়াটি হচ্ছেঃ- বর্তমানে জীবিত মানুষের শরীরে ক্রায়োনিক সাসপেনশন নিষিদ্ধ। মানুষ মারা গেলে হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও মস্তিষ্কের কোষ জীবিত ও কর্মক্ষম থাকে। ক্রায়োনিকস এর মাধ্যমে কিছু সেল সংরক্ষণ করা হয় যা থেকে থিওরেটিকালি তাদের আবার জীবিত করা সম্ভব। মানুষ মারা যাওয়ার পর তারা শরীরকে স্থির অবস্থায় আনতে অক্সিজেন ও রক্ত সরবরাহ করে যাতে শরীরের কিছু ক্রিয়া চলতে থাকে। তারপর শরীরে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট দেওয়া হয় যাতে রক্ত জমে না যায় এবং শরীরকে বরফে মুড়ে দেওয়া হয়।

মানুষের কোষের বেশিরভাগ অংশই পানি হওয়ায় শরীরের পানি সরিয়ে ক্রায়োপ্রোট্যাক্টট্যান্ট বা গ্লিসারল দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে ভিট্রিফিকেশন। পানি না সরালে পানি বরফ হয়ে আয়তনে বেড়ে যাবে এবং কোষের ক্ষতি হবে। ভিট্রিফিকেশন এর পর ড্রাই আইস দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা -২০২ ড্রিগ্রি ফারেনহাইট এ আনা হয়। এরপর শরীরকে তরল নাইট্রোজেন এর ট্যাঙ্কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা -৩২০ ড্রিগ্রি ফারেনহাইট এ নেমে আসে। সবচেয়ে জটিল হচ্ছে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে এনে দেহ স্বাভাবিক করা। কোনো মানুষকে এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলেও কিছু প্রাণীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

এই প্রক্রিয়ায় শরীর সংরক্ষণে খরচ হয় ২ লক্ষ ডলার, মস্তিষ্ক সংরক্ষণে খরচ হয় ৬০ হাজার ডলার।

© Nishat Tasnim (Science Bee Family)

+4 টি ভোট
করেছেন (71,130 পয়েন্ট)
এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্রায়োপ্রিজার্ভেশন।এটি বর্তমানে চলমান গবেষণার একটি প্রক্রিয়া।এখনো পর্যন্ত এর তেমন কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।এই প্রক্রিয়ায় মানুষের দেহ অথবা মস্তিষ্ক তরল নাইট্রোজেনে(আনুমানিক -১৯৬° তাপমাত্রায়)জমিয়ে রাখা হয়।আমাদের দেহের কোষে প্রচুর তরল পদার্থ থাকে যা জমাট বাধলে অবশ্যই বরফে পরিণত হবে, আর যেহেতু বরফ পানির তুলনায় বেশি জায়গা নেয় তাই জমাট বাধার পর দেহের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে,তাই কিছু পদার্থ ব্যাবহার করা হয় যেন কোষের অভ্যন্তরীণ জমাট বরফের আকার ছোট থাকে।এভাবে একটি হিউম্যান বডি তরল নাইট্রোজেনে মৃত্যুর পর জমিয়ে রাখা হয় এই আশায় যে ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই দেহটি পুনরায় চালু করা যাবে এবং ন্যানোটেকনোলজির সাহায্যে এত বছর জমাট অবস্থায় থাকা শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সারিয়ে তোলা যাবে।এবং যদি কেউ কোন রোগে মারা যায় তাহলে ভবিষ্যতে সেই রোগের যখন চিকিৎসা বের হবে তাকে সেই রোগ থেকে সারিয়ে তোলা হবে।এতে সেই ব্যাক্তি পুনরায় বেচে উঠবে। এই পদ্ধতিতে সমস্ত দেহের বদলে অনেক সময় শুধু মস্তিষ্ক কে সুরক্ষিত করা হয়।কারণ যদি ভবিষ্যতে তার মস্তিষ্ককে পুনরুজ্জিবীত করা যায় তবুও জীবন ফিরে পাবে।এই পদ্ধতির আইডিয়া প্রথম আসে ১৯৬৭ সালের দিকে।বর্তমানে কেউ সমস্ত দেহ ক্রায়োপ্রিজার্ভ করতে চাইলে খরচ লাগবে ২ লাখ $ ডলার,আর শুধু মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করতে চাইলে লাগবে প্রায় ৮০,০০০ ডলার।(পরিমাণ পরিবর্তনশীল)।কিছু কম্পানি (সবচেয়ে বড় Alcor Life Extension Foundation ) এটা করে থাকে,এতে বেশিরভাগ মানুষ এর সমালোচনাই করে এবং বলে কোম্পানিগুলো শুধু টাকা কামানোর ধান্দায় এটা করছে।যেহেতু বর্তমান বিজ্ঞানেও এখনো এর সমর্থন দেয়নি।কিছু বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক দাবি করেছিল তারা একটি খরগোশ এর কিডনি এই প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করে রেখেছিল এবং পরবর্তীতে তা আবার খরগোশের দেহে লাগালে কাজ ও করে।এছাড়াও মানুষের অর্গান ট্রান্সপ্লান্টের সময় অনেক ক্ষেত্রে অর্গানটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় জমিয়ে রেখে যথাসময়ে ব্যাবহার করা হয় যেন নস্ট না হয়ে যায়।এই ব্যাপারগুলো ক্রায়োপ্রিজার্ভ এর আশাটা বারিয়ে দেয়।কিন্তু একটি খরগোশ এর কিডনির থেকে অনেক অনেক গুন বেশি জটিল আমাদের মস্তিষ্ক, পুরো শরীর ত ভাবনার বাইরে জটিল।তাই মস্তিষ্ক বা পুরো দেহ সংরক্ষণ করা খুবই কঠিন বা বর্তমান বিজ্ঞানে অসম্ভব। কোন ভাবে জমিয়ে রাখা গেলেও পরে পুনরায় চালু করা আরও বেশি কঠিন, কারণ প্রায় প্রতিটি কোষকেই নিরাময় করতে হবে,এতে দরকার পরবে এতোটাই উন্নত ন্যানোটেকনোলজি যা এখন চিন্তার বাইরে।হয়ত ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তিগুলো থাকবে যার মাধ্যমে জমে থাকা শরীর বা মস্তিষ্ক পুনরায় নিরাময় করে চালু করা যাবে।এই আশাতেই ১৪৯ জন মানুষ তাদের দেহ/মস্তিষ্ক ক্রায়োপ্রিজার্ভড করে রেখেছে।    ©Warman Hasbi

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 373 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 611 বার দেখা হয়েছে
30 এপ্রিল 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ubaeid (28,320 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 274 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 695 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 428 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,704 জন সদস্য

137 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 134 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. fb88vnltd

    100 পয়েন্ট

  5. PauloArthurM

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...