মৃত এবং পচনশীল একটি দেহ শুধুমাত্র তাতে প্রাণ না থাকার কারণে বিপজ্জনক বা ক্ষতিকর হয়ে উঠবে, এমন ধারণার পেছনে কোনো বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ পাওয়া যায় না। কারণ যেসব ব্যাকটেরিয়া মৃতদেহের পচনকার্যে অংশ নেয়, তারা মানবদেহে কোনো রোগ সৃষ্টি করতে পারে না। আর যেসব ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস রোগ সৃষ্টি করে, সেগুলো মৃতদেহে বড়জোর কয়েক ঘণ্টাই টিকতে পারে। তাই মৃতদেহ থেকে রোগবালাই ছড়ানোর আশংকা নেই বললেই চলে। তবে এর কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তি ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার দেহে এই ভাইরাসের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই এই মৃতদেহগুলোকে নাড়াচাড়া করার পূর্বে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং দ্রুততম সময়ে মৃতদেহ সমাহিত করে ফেলা উচিত। এছাড়া হিমাগারে সংরক্ষিত মৃতদেহে এইচ আই ভি ভাইরাস ষোল দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। হেপাটাইটিস, যক্ষ্মা ও অন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহও জীবিতদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাধারণ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা এবং স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়মাবলী মেনে চলাই যথেষ্ট।
তথ্যসূত্র : রোর বাংলা