কিভাবে ব্ল্যাক হোলের ছবি ও ভিডিও কালেক্ট করা হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
42 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (1,390 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (1,390 পয়েন্ট)

ব্ল্যাক হোল নিজে আসলে কখনো দেখা যায় না কারণ ওর Event Horizon সব আলো শুষে নেয়। Event Horizon কে ব্ল্যাক হোলের সীমানা হিসেবে ধরা হয় আর এই সীমানার ভিতরে কোনো আলো প্রবেশ করলে আলোকরশ্মি আর বের হতে পারে না। সহজ ভাবে বললে, Event Horizon এর মধ্যে কোনো আলো প্রবেশ করলেই সেই আলো আচমকা গায়েব হয়ে যায়। এজন্য সরাসরি কোনো ব্ল্যাক হোলের ছবি নেওয়া সম্ভব হয় না।

তবে বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোলের ছায়া বা চারপাশের আলো কিরকম ভাবে আচরণ করছে সেটা দেখে ব্ল্যাক হোলকে চিহ্নিত করেন। অর্থাৎ যেহেতু ব্ল্যাক হোলে আলো প্রবেশ করলেই আলো গায়েব হয়ে যায়, তাই মহাবিশ্বে এরকম কোনো জায়গা পেলেই সেটাকে প্রাথমিক ভাবে ব্ল্যাক হোল হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। 

তাহলে কিভাবে ছবি বা ভিডিও করা হয় ব্ল্যাক হোলের? আসলে আমরা ব্ল্যাক হোলের যেসব ছবি দেখে থাকি সেগুলো ব্ল্যাক হোলের ছায়া থেকে নেওয়া যা করা হয় Event Horizon Telescope (EHT) এর মাধ্যমে। এটা আসলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে থাকা বিশাল বিশাল রেডিও টেলিস্কোপের একটা নেটওয়ার্ক। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একসাথে ডেটা রেকর্ড করা হয় তারপর সেসব তথ্য একসাথে বিশ্লেষণ করে একটা বিশাল ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ তৈরি করা হয়। 

২০১৯ সালে EHT প্রথমবার M87 গ্যালাক্সির ব্ল্যাক হোলের ছায়া ক্যাপচার করে। তারপর সেই ছবিকে বিভিন্ন ভাবে ম্যাগনিফাই করে ব্ল্যাক হোলের সম্ভাব্য একটি ছবি প্রকাশ করে। এই ছবিটাই তখন বিশ্বজুড়ে “ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবি” হিসেবে পরিচিত হয়। 

আর আমরা যেটাকে ব্ল্যাক হোলের বলি সেটা অনেকগুলো ছবির সিরিজ। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট টাইম সিকুয়েন্স অনুযায়ী তোলা অনেকগুলো ছবিকে একসাথে জোড়া দিয়ে বানানো হয়। ব্ল্যাক হোলের আশপাশে থাকা গ্যাস যেভাবে ঘুরছে তার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার সিমুলেশন আর রিয়েল অবজারভেশন মিলিয়ে বিজ্ঞানীরা একধরনের ডায়নামিক ভিজ্যুয়াল তৈরি করেন যেটা দেখতে ভিডিওর মতো লাগে। 

তাহলে এবার আসি সাউন্ডের বিষয়ে। শব্দ বা সাউন্ড পরিবহণ হতে একটি মাধ্যম প্রয়োজন। কিন্তু মহাবিশ্বের অধিকাংশ স্থানই ফাকা। তাই শব্দ উৎপন্ন হলেও চলতে পারে না। তবে বিজ্ঞানীরা "Sonification" নামক একটা পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এই পদ্ধতিতে মহাকাশ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ডেটা (যেমন রেডিও ওয়েভ, এক্স-রে, আলোর ফ্লাকচুয়েশন, গ্যাসের কম্পন্ন) কে ধ্বনি বা সাউন্ডে রূপান্তর করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রাপ্ত কম্পনের ফ্রিকোয়েন্সি (frequency) মিলিয়ন গুণ বাড়িয়ে আমাদের কানের জন্য উপযোগী করা হয়। 

২০০৩ সালে NASA-এর Chandra X-ray Observatory ব্ল্যাক হোলের আশেপাশে থাকা গ্যাসের কম্পন শনাক্ত করে (Perseus Galaxy Cluster)। ওই কম্পন ছিল প্রতি সেকেন্ডে একবারের চেয়েও কম আমাদের কানে শোনা সম্ভব না। তাই এর ফ্রিকুয়েন্সিকে বাড়িয়ে তারপর আমাদের কানের শোনার জন্য উপযোগী করা হয়। 

তথ্যসুত্রঃ 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+15 টি ভোট
1 উত্তর 827 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
1 উত্তর 560 বার দেখা হয়েছে

10,835 টি প্রশ্ন

18,537 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

843,063 জন সদস্য

23 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 23 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M_Hamza

    200 পয়েন্ট

  2. king88vnco

    100 পয়েন্ট

  3. md azhar

    100 পয়েন্ট

  4. cf68tech1

    100 পয়েন্ট

  5. fb88sacom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...