ক্যান্সার রোগীদের চুল পড়ে যায় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
213 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (620 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (620 পয়েন্ট)
ক্যান্সার রোগীদের চুল কেটে ফেলা হয় না, বরং ক্যান্সার চিকিৎসার একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল আপনা-আপনি ঝরতে শুরু করে৷ কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি এবং হরমোন থেরাপির মতো চিকিৎসার কারণে চুল ঝরতে থাকে৷ চিকিৎসা শুরু হওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর চুল পড়া শুরু হয়৷  চুল কতটুকু পড়বে তা ওষুধ এবং এর ডোজের উপর নির্ভর করে।

মূলত কেমোথেরাপি বা অন্যান্য এরকম থেরাপি দেয়া হয় রোগীর শরীর থেকে ক্যান্সার কোষগুলো মেরে ফেলতে৷ কিন্তু অনেকসময়েই সুস্থ কোষগুলোও এর দ্বারা প্রভাবিত হয়৷ যাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে চুলের কোষ। তবে চিকিৎসা শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর থেকে চুল আবার উঠতে শুরু করবে।
0 টি ভোট
করেছেন (880 পয়েন্ট)

ক্যান্সার চিকিৎসার একটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো চুল পড়া। কিন্তু কেন এই ঘটনাটি ঘটে? আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।

কেন ক্যান্সার চিকিৎসার সময় চুল পড়ে:

  • কিমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার পাশাপাশি এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো শরীরের দ্রুত বর্ধনশীল কোষগুলিকেও প্রভাবিত করে। চুলের গোড়া এই দ্রুত বর্ধনশীল কোষের অন্তর্ভুক্ত। ফলে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে চুল পড়ে যায়।
  • জিনগত কারণ: কখনো কখনো ব্যক্তির জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি অধিক সংবেদনশীল হতে পারে। ফলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
  • চিকিৎসার ধরন ও মাত্রা: ব্যবহৃত চিকিৎসার ধরন, মাত্রা এবং চিকিৎসার সময়কালের উপর নির্ভর করে চুল পড়ার মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি অন্যগুলোর তুলনায় চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি।
 
আপনার যদি চুল পড়ার সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
0 টি ভোট
করেছেন (700 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

ক্যান্সার রোগীদের চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো কেমোথেরাপি (Chemotherapy) নামক চিকিৎসা পদ্ধতি। এখন প্রশ্ন হলো, কেমোথেরাপি কীভাবে চুল পড়িয়ে দেয়?

কেমোথেরাপি কী এবং এটা কীভাবে কাজ করে?

ক্যান্সার হলো এমন একটা রোগ, যেখানে শরীরের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই কোষগুলোকে ক্যান্সার কোষ বলা হয়। কেমোথেরাপি হলো এক ধরনের শক্তিশালী ওষুধ, যেটা এই দ্রুত বাড়তে থাকা ক্যান্সার কোষগুলোকে আক্রমণ করে এবং তাদের ধ্বংস করার চেষ্টা করে। এই ওষুধগুলো কোষের ডিএনএ (DNA) বা বিভাজন প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়, যাতে ক্যান্সার কোষগুলো আর বাড়তে না পারে বা মরে যায়।

কিন্তু এখানে একটা সমস্যা আছে। কেমোথেরাপির ওষুধগুলো শুধু ক্যান্সার কোষগুলোকে আলাদা করে চিনতে পারে না। এগুলো শরীরের সব দ্রুত বাড়তে থাকা কোষের উপরই আক্রমণ করে। এবং আমাদের শরীরে কিছু স্বাভাবিক কোষ আছে, যেগুলো স্বাভাবিকভাবেই খুব দ্রুত বাড়ে—যেমন চুলের ফলিকল (Hair Follicles) কোষ, হজমতন্ত্রের কোষ, আর অস্থিমজ্জার কোষ।

চুলের ফলিকলের সঙ্গে কী সম্পর্ক?

চুলের ফলিকল হলো আমাদের ত্বকের ভিতরে ছোট ছোট গঠন, যেখান থেকে চুল গজায়। এই ফলিকলের কোষগুলো খুব দ্রুত বিভাজিত হয়, কারণ আমাদের চুল ক্রমাগত বাড়তে থাকে। গড়ে একজন মানুষের চুল মাসে প্রায় ১ সেন্টিমিটার বাড়ে, আর এজন্য ফলিকলের কোষগুলো সবসময় সক্রিয় থাকে। যেহেতু কেমোথেরাপি দ্রুত বিভাজনশীল কোষগুলোকে টার্গেট করে, তাই এই ওষুধ চুলের ফলিকলের কোষগুলোকেও আক্রমণ করে। ফলে ফলিকলের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, চুল দুর্বল হয়ে যায়, এবং একসময় পড়ে যায়।

কেন সব চুল পড়ে না?

মজার ব্যাপার হলো, সব ক্যান্সার রোগীর চুল পড়ে না। এটা নির্ভর করে কেমোথেরাপির ধরন, ডোজ (Dose), আর রোগীর শরীরের উপর। কিছু কেমোথেরাপির ওষুধ, যেমন সাইক্লোফসফামাইড বা ডক্সোরুবিসিন, চুল পড়ার জন্য বেশি দায়ী। আবার কিছু ওষুধ শুধু চুল পাতলা করে, পুরোপুরি পড়িয়ে দেয় না। আর কিছু ক্ষেত্রে, রেডিয়েশন থেরাপি যদি মাথায় দেওয়া হয়, তাহলে শুধু সেই অংশের চুল পড়ে।

চুল পড়ার প্রক্রিয়া

১. কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যাওয়া: কেমোথেরাপি চুলের ফলিকলের কোষগুলোর মাইটোসিস (Mitosis) প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। মাইটোসিস হলো কোষ বিভাজনের একটা ধাপ, যেটা চুল বাড়ার জন্য জরুরি। 

২. চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া: ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুলের গোড়া আর শক্ত থাকে না, ফলে চুল সহজেই খসে পড়ে। 

৩. টেলোজেন ফেজে চলে যাওয়া: স্বাভাবিকভাবে চুলের একটা জীবনচক্র থাকে—অ্যানাজেন (বৃদ্ধি), ক্যাটাজেন (বিশ্রাম), আর টেলোজেন (পড়ে যাওয়া)। কেমোথেরাপি চুলকে সরাসরি টেলোজেন ফেজে ঠেলে দেয়, যার ফলে চুল পড়ে।

চুল কি আবার গজায়?

হ্যাঁ! ভালো খবর হলো, কেমোথেরাপি শেষ হলে চুল আবার গজাতে শুরু করে। সাধারণত চিকিৎসা শেষ হওয়ার ১-৩ মাসের মধ্যে ফলিকল আবার সক্রিয় হয়। তবে নতুন চুলের রঙ বা গঠন একটু ভিন্ন হতে পারে, যেমন কোঁকড়ানো চুল সোজা হয়ে যেতে পারে। এটা শরীরের প্রাকৃতিক পুনর্জনন প্রক্রিয়ার একটা অংশ।

ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা এখন অনেক এগিয়ে গেছে, এবং বিজ্ঞানীরা এমন ওষুধ খুঁজছেন যেগুলো শুধু ক্যান্সার কোষকে আক্রমণ করবে, সুস্থ কোষকে নয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 547 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 503 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 345 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 243 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Martian (93,090 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,477 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

292,710 জন সদস্য

76 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 72 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. GrohanuMax

    700 পয়েন্ট

  2. Md Sumon Islam

    120 পয়েন্ট

  3. H.I Srijon

    110 পয়েন্ট

  4. saleh

    110 পয়েন্ট

  5. incomecoat74

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত বাংলাদেশ কান্না আম হরমোন
...