ডিম কি আমিষ নাকি নিরামিষ?
বহু কাল ধরেই মানুষ জাতি একটি প্রশ্ন নিয়ে নানা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।যে পৃথিবীতে ডিম আগে এসেছে নাকি মুরগি?যদিও অনেক তত্ত্বের মতে ডিমই পৃথিবীতে আগে এসেছে তবে এটা ঠিক যে সেটি মুরগি নয়,সেটি তার অন্য পূর্বসূরি হতে এসেছে।তবে আজকের আলোচনা সেটা নিয়ে নয়।আজকের বিষয় হচ্ছে-"ডিম কী আমিষ নাকি নিরামিষ?"
"ডিম" আমাদের সকলের কাছেই অত্যন্ত সুপরিচিত একটি নাম।যাকে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে ব্যবহার করে থাকি।আমরা অনেকেই এটাকে "আমিষ" হিসেবে চিহ্নিত করি।কারণ হিসেবে অনেকেই দেখিয়ে থাকেন যে এটি হতে পরবর্তীতে প্রাণের সঞ্চার হয়ে থাকে অর্থাৎ এটি আমিষই।তবে মজার বিষয় হচ্ছে ডিম উভয় প্রকারের হতে পারে।যথা:-
১)হ্যাপ্লয়েড
২)ডিপ্লয়েড
হ্যাপ্লয়েড:- এটা হচ্ছে অনিষিক্ত প্রজাতির ডিম।যা শুধু স্ত্রীর সে*ক্স কোষগুলোকে অব্যাহত রাখে।এই প্রকারের ডিম হতে কখনো বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ডিপ্লয়েড:- এই প্রজাতির ডিমগুলো সাধারণত মিল*নের পর উৎপন্ন হয়।এখানে,পুরুষ কোষগুলি স্ত্রীর সে*ক্স কোষকে নিষিক্ত করে এবং সেই ডিমগুলো থেকে বাচ্চা হয়।
একটি নিষিক্ত ডিম হতে কখনও ছানা হতে পারে না।আর আমরা বেশিরভাগ যে ডিমগুলো ভক্ষণ করে থাকি সেগুলো হয়ে থাকে অনিষিক্ত।তবে এর মাঝে অনেকের একটি কিন্তু থেকে যায়,যে অনেকেই ডিমের মধ্যে মাঝে মাঝে এক-দুই ফুটো "রক্ত" খেয়াল করেছেন।তবে এর মানে এটা নয় যে এর মাঝে প্রাণ ছিল।এর কারণ হচ্ছে:- রক্তের দাগ মুরগির ডিম্বাশয় বা ডিম্বনালিতে ক্ষুদ্র রক্তনালীর পুঃপ্রতিষ্ঠার ফলাফল।অর্থাৎ,ডিম আমিষ এবং নিরামিষ উভয় হতে পারে।
Shah Sultan Nur
সোর্স : Healthline