ডিম খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছে। ডিম দিয়ে রান্না করা খাবারের মধ্যে আমরা সাধারণত ডিম সিদ্ধ, ডিম পোচ, ডিম ভাজি, ডিমের তরকারী ইত্যাদি খেয়ে থাকি। ডিমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। তবে মজার ব্যাপার হল ডিম শরীরের ওজন কমাতে অতি মাত্রায় সাহায্য করে।
ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কোলেস্টরেল। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়া ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ ৭ থেকে ১০ গ্রাম। এছাড়া ডিমের বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন রয়েছে। নিয়মিত ডিম খেলে মানুষের ওজন কমে। তবে সেটি গ্রহণের একটি সঠিক নিয়ম ও সময় রয়েছে, যার ফলে খুব সহজেই ওজন কমানো সম্ভব। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে ও কোন সম্য ডিম খেলে আমাদের শরীরের ওজন কমে আসবে।
আপনি যদি ডিম খেয়ে ওজন কমাতে চান, তবে অবশ্যই তা কাজ করবে। কারণ ডিমে আছে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন। যা খেলে খেলে মেটাবোলিজম বাড়ে এবং ক্যালোরি বার্ণ হয়। এতে করে ওজনও আস্তে আস্তে কমে।
ওজন কমানোর জন্য ডিম খাওয়ার নিয়ম:
আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে ডিম সিদ্ধ করে,পোচ করে,বেক করে, অমলেট বা স্ক্র্যাম্বলড করে খেতে পারেন। আর ডিম সিদ্ধ বা পোচ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালে নাস্তার সময়। সকালে ডিম খেলে সারাদিন অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। আবার সকালে তড়িঘড়ি থাকলে একটা সিদ্ধ বা পোচ ডিম খেয়ে বের হয়ে যেতে পারেন।
এছাড়া ব্যায়ামের পর ডিম খাওয়া হতে পারে আদর্শ খাবার। ডিম যেমন শরীরে শক্তি যোগায় তেমনি মাসলগুলো শক্তিশালী রাখে।
গবেষণা অনুযায়ী রাতের খাবারের পর ডিম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে অনেকে বলে রাতে ডিম খেলে নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়। এজন্য আপনার শরীরের সাথে কখন খাপ খায় সে অনুযায়ী ডিম খান।
দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত:
প্রতিদিন একাধিক ডিম না খেয়ে একটি করে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো হবে এবং এর কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেই।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া