মেরুর গাছপালা তাদের আকার ও গঠনকে দীর্ঘদিন কম সূর্যালোকে বা সূর্যালোকের অনুপস্থিতিতে থাকার এবং মাটির সীমিত পুষ্টির সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
সাধারণত সমস্ত মেরু উদ্ভিদ হিমাঙ্কের তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে। যে কোন সময় আলো থাকলে গাছ সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে এবং অন্ধকার হলে স্টার্চ খরচ করে বেঁচে থাকে।
আর্কটিক উদ্ভিদ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে । দীর্ঘ দিনের কারণে (প্রায় পুরো দিনই আলো থাকায়) সাধারণ গাছের তুলনায় অর্ধেক সময়ের মধ্যেই তা করতে পারে। অর্থাৎ আলাস্কার একটি গাছ ও ইকোয়েটরিয়াল একটি গাছকে তুলনা করলে আলাস্কার গাছটি প্রায় অর্ধেক সময়ে ঠিক ততটুকুই বেড়ে উঠে যতটুকু একটি ইকোয়াটরিয়াল গাছ বাড়ে।
মূল পার্থক্য হল আর্কটিক গাছগুলো স্বাভাবিক গাছের মতো বেড়ে উঠতে রাতের জন্য স্টার্চ জমা করে না এবং খরচও করেনা, তারা সালোকসংশ্লেষণের ব্যবহার করে এবং একই সময়ে বৃদ্ধি পায়। যখন ৬ মাসের রাতের সময়টি আসে তখন তাদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া থেমে যায় এবং তখনই স্টার্চ খরচ করে বাঁচে।
লেখা: ফাতিমা তাসনীম