কৃষিক্ষেতে শুধুমাত্র জৈব সার বা কীটনাশক ব্যবহার করলে ফসলের ফলন কমে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শ্রীলঙ্কা সরকার বছর দুয়েক আগে রাসায়নিক সার আমদানি না করে কৃষিতে শুধু জৈব সার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ফলে দেশের মোট কৃষি উৎপাদন ৫০% হ্রাস পেয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বর্তমান সংকটের এটিও একটি কারণ।
আমার ছাদ বাগানের অভিজ্ঞতা আছে। আমি আমার বাগানে রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার ব্যবহার করতাম। আমি ইউরিয়া সারের বদলে কম্পোস্ট সার এবং চা-পাতা গুঁড়ো, পটাশ সারের বদলে শিংকুচি এবং কলার খোসার গুড়ো, ফসফেট সারের বদলে হাড়গুঁড়ো এবং সরিষাখৈল ইত্যাদি ব্যবহার করতাম। এছাড়া কীটনাশক হিসেবে নিমখৈল, নিমতেল ইত্যাদি ব্যবহার করতাম।
এগুলো যেমন সহজলভ্য নয় তেমনি দাম অনেক বেশি। এক কেজি শিংকুচির দাম ১৬০ টাকা, ২৫০ মি.লি. নিমতেলের দাম ১৯০ টাকা। অন্যদিকে, রাসায়নিক সারের তুলনায় এগুলো মাটিতে অনেক বেশি দিতে হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা, জৈব সারমিশ্রিত মাটিতে পোকামাকড় এবং রোগজীবাণু সহজে আক্রমণ করে। এতে গাছের মূল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলন কমে যায়।