মোম উচ্চতর জৈব যৌগ অ্যালকেন এবং লিপিড শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এদের গলনাঙ্ক সাধারণত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪° ফারেনহাইট) এর উপরে হয়ে থাকে।
আপনি যদি দোকান থেকে দুইটা মোম কিনে আনেন এবং তারমধ্য থেকে একটি মোমকে দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজে রেখে দেন আর অন্যটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখেন তাহলে দেখবেন, একই সময়ে দুটি মোমকে জ্বালানো হলেও ফ্রিজে রাখা মোমটি তুলনামূলক বেশিক্ষণ ধরে জ্বলছে।
কিন্তু কেন এমনটা হয়??
.
.
মোম যেহুতু একটি অধাতু তাই এটি ধাতুর মতো এতোটা তাপ পরিবাহী হয়না। মোমের তাপমাত্রা যতো বেশি হবে আগুনের সংস্পর্শে আশার পর এটি ততো তাড়াতাড়ি গলে যাবে। আর স্বাভাবিক তাপমাত্রার মোমের ক্ষেত্রে এটিই হয়ে থাকে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, মোম ফ্রিজে রাখলে কি এমন ঘটে যার কারনে মোম দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলে??
আপনি যদি একদিনের জন্য একটি মোমবাতি ফ্রিজে রেখে দেন তাহলে এর পুরো অংশটাই মোটামুটি সমানভাবে ঠাণ্ডা হয়ে যায়। সলতের সাথে লেগে থাকা মোমের কণাগুলোও সমানভাবে ঠান্ডা হয়ে থাকার কারনে যখনই আপনি ফ্রিজ থেকে মোমবাতিটি বের করে জ্বালাবেন, তখন পরিবেশের তাপমাত্রার চাইতে এই মোমবাতির তাপমাত্রা কম হবার কারণে এটি গলতে বেশী সময় নেয়। আর এই কারনেই ফ্রিজে মোম রাখলে সেটির দহন স্থায়ীত্ব বেশি হয়।
Note: তবে, মোমের বেশি সময় স্থায়ীত্ব পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনেক সময় হিতে বীপরিত হতে পারে। যেমনঃ অনেক্ষণ ধরে ফ্রিজে রাখার কারনে তাপীয় সংকোচনে মোম ফেঁটে যেতে পারে। আবার মোম যদি সুগন্ধিযুক্ত হয় তাহলে দেখা যায় যে, ফ্রিজে রাখার কারনে সুগন্ধ সুষমভাবে ছড়াচ্ছেনা।