প্রথমত, কুপি বা মোমবাতির মতো ছোট আগুনের শিখাগুলোতে ফু দিলে আগুন নিভে যাওয়ার কারন হিসেবে কার্বন ডাই-অক্সাইড কে মনে করে থাক আপনি ভুল ভাবছেন। আমরা যদি মোমবাতির ছোট আগুনের শিখায় জোরে ফুঁ দেই তাহলে দেখা যায় আমাদের মুখ থেকে বের হওয়া বাতাসের চাপের কারনে আগুন তার স্থান থেকে বিচ্যুত হয় এবং মোমবাতি নিভে যায়। কিন্তু আপনি যদি আস্তে ফুঁ দেন তাহলে দেখবেন আগুন নিভবেনা।
.
.
এইবার আসি দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে, " চুলার আগুনে ফু দিলে আগুনের শিখা বাড়ে কেন??"
প্রকৃতপক্ষে, ফূ্ঁ দিলে কখনো আগুন নিভে না। বরং আগুন আরো বেশি প্রজ্জ্বলিত হয়। তবে মোমবাতির আগুনের শিখা ছোট ছিলো বলে জোরে ফুঁ দেওয়ার কারনে সেই আগুন তার স্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে আগুন নিভে যায়। কিন্তু মাটির চুলার আগুনের শিখা এতোটাই বড় যে আপনি যতো জোরেই মুখ দিয়ে ফু দেন আগুন নেভাতে পারবেন না। উলটা এইক্ষেত্রে আগুন আরো বাড়বে। কারণ আমরা মুখ দিয়ে যে বাতাস বের করি তাতে তাতে প্রায় ৪-৫% কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকলেও অক্সিজেন থাকে প্রায় ১৫- ১৬%। আবার চুলায় উৎপন্ন কার্বনডাই অক্সাইডযুক্ত বাতাস দূর হয়ে গেলে বায়ু থেকে নতুন অক্সিজেনযুক্ত বাতাসও সেখানে যোগ হয়। যা আগুনের শিখা আরো বাড়িয়ে দিবে।
Shah Reyajur Rahman Raj (টিম সায়েন্স বী)