প্রাণীজগতের প্রায় সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের গড় উচ্চতা নারীদের চেয়ে বেশি। এটা জটিল ও কঠিন বিষয়। বেশির ভাগ জীববিজ্ঞানী মনে করেন, প্রাকৃতিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বিবর্তনের মধ্য দিয়ে পুরুষ ও নারীর উচ্চতায় পার্থক্য এসেছে।
অতীতে প্রাণীজগতে নারীসঙ্গী লাভের জন্য পুরুষদের মধ্যে তীব্র লড়াই হতো। লম্বা ও শক্তিশালী পুরুষদের জয়লাভের সম্ভাবনা বেশি বলে তাদের সন্তানদের একই গুণাবলি অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ফলে বিবর্তনের ধারায় গড় উচ্চতা বেশি—এমন পুরুষ ও মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
সন্তান জন্মদানের সময় খাটো মেয়েদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে বিবর্তনের ধারায় অপেক্ষাকৃত লম্বা মেয়েদের টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেয়েদের গড় উচ্চতা ছেলেদের চেয়ে কম। সূত্র : ইন্টারনেট।
ভালো, পুষ্টিকর ও বেশি খাবার সাধারণত পুরুষেরাই আদিকাল থেকে পেয়ে আসছে। এখনো এই প্রথা অব্যাহত আছে। কম খাওয়া জুটলে উচ্চতাও তুলনামূলক কমে যায়। সমাজবিদেরা মনে করেন, মেয়েদের গড় উচ্চতা কম হওয়ার পেছনে এ সামাজিক বৈষম্য কাজ করেছে।
তবে নারী-পুরুষদের উচ্চতার এই পার্থক্যের কারণ মূলত জেনেটিক। মেয়েদের কয়েক বছর আগে থেকে লম্বা হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। নারীর মাঝে হরমোনের পরিবর্তনটা খুবই লক্ষণীয়।
সাইজে বড় হওয়ার কারণে সুবিধা আছে অনেক, তবে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো তুলনামূলক বেশি খাবার খেতে হয় অর্থাৎ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়ে পুরুষদের। অথচ নারী যদি তুলনামূলক লম্বা হয়, তাহলে নানা দিক দিয়েই ভালো।
আকর্ষণীয়তার প্রথম প্লাস পয়েন্ট। এই পশ্চিমা দেশে নারী ফিগার বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। মেয়ে মানুষদের জন্য কত সব বিবরণ। কার্ভি মেয়ে, অর্থাৎ এই পশ্চিমা দেশে ৩৬-২৪-৩৬ ইঞ্চি সাইজকে সাধারণত কার্ভি বলা হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে আপেল, কলা এবং পেয়ার সেইপও আছে।
এক সমীক্ষায় জানা যায়, বেশির ভাগ দেশেই গড়ে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নারীদের চেয়ে ৪-৯% লম্বা। যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে ৬ ইঞ্চি লম্বা।
সমীক্ষায় জানা যায়, বেশির ভাগ দেশেই গড়ে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মহিলাদের চেয়ে ৪-৯% লম্বা। যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে ৬ ইঞ্চি লম্বা। সেলিব্রেটিদের দু-একটা ব্যতিক্রম উল্লেখ করছি।
কানাডিয়ান-আমেরিকান অভিনেতা মাইকেল জে ফক্স মাত্র ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, যা আমেরিকান অর্ধেক নারীর চেয়ে খাটো। অন্যদিকে ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, যা আমেরিকান অর্ধেক পুরুষের চেয়ে লম্বা।
সমাজ এবং কালচারে নারী-পুরুষদের উচ্চতাটা এতই চলমান যে, কেউ স্বামীর চেয়ে স্ত্রীকে লম্বা দেখতে চায় না।