ছেলেরা যদিও মেয়েদের চাইতে অনেকটা বেশি চতুর প্রকৃতির। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি হৈ-হুল্লোড় মেয়েদের চাইতে বেশিই করে থাকে। কথা বার্তাতেও তাদের স্বর মেয়েদের চাইতে বেশি লক্ষনীয়। তাছাড়া তাদের ধরে বেঁধে রাখা যায় না এসব থেকে। তবে সব ছেলে-ই যে এমন প্রকৃতির তা কিন্তু মোটেও নয়। মেয়েদের যেহেতু ছোট বেলা থেকে ফ্যামিলি থেকে শিক্ষা দিচ্ছে, " মেয়েদের উদ্যম ভাবে চলা উচিত নয়," তো মেয়েরা সেভাবেই নিজের শান্ত রাখার চেষ্টা করে। তাছাড়া মেয়েদের যেহেতু স্কুল জীবন থেকেই পিরিয়ডের সম্মুখীন হতে হয় সেদিক বিবেচনা করে তারা ছেলেদের মতো এত দৌড়াদৌড়ি, হৈ-হুল্লোড় কিংবা মারামারি করতে পারে না। কারন তাদের শারীরিক কন্ডিশন তাদেরকে এরকমটা করা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে। সামাজিক বদনামের কারনেও তারা ছেলেদের মতো চলতে ব্যার্থ হয়। কারন বাবা মা থেকে শুরু করে তাদের কে এটাই শিক্ষা দেওয়া হয় যাতে এমন কোন কাজের কারণে বাবা মায়ের মুখে চুন কালি না পড়ে। তাছাড়া বদনামের কারণে মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। তবে তাই বলে মেয়েরা যে একেবারে সাধু তা কিন্তু মোটেও না। তাদের মধ্যেও কম বেশি হৈ-হুল্লোড় টাইপের মেয়ে আছে। কম বেশি তারাও গালিগালাজ জানে। হয়তো বিয়ের আগে বদনামের ভয়ে মুখ খোলে না, কিন্তু বিয়ের পরে তাদের মধ্যে কম বেশি গালিগালাজের স্বভাব ফুটে ওঠে। অর্থাৎ ভালো খারাপ ছেলে মেয়ে সবার মধ্যেই রয়েছে। আপেক্ষিক দৃষ্টিতে কারো আগে কারো পরে, কারো কম কারো বেশি।