আমি বিটিএস (BTS) বলতে সবসময় Behind the Scene বুঝতাম...
তারপর পৃথিবীতে আবির্ভাব হলো কিছু অদ্ভুত প্রাণীর। যাদেরকে বিটিএস বলে। এদের জন্য চিরাচরিত BTS এর মানে পাল্টে Bangtan Boys হয়ে গেলো।
আসলে সবসময় বাংলাদেশের মেয়েরা দেখে এসেছে ছেলেদের সৌন্দর্য মানে,দাড়ি রাখা,চুল কালো রঙের হওয়া,লুঙ্গি পরা।তো এগুলো দেখতে দেখতে মেয়েদের আর ভালো লাগতো না।তারা নতুনভাবে ছেলেদের দেখতে চাইতো।ঠিক তখনই বিটিএস সমালোচনায় আসে।তাদের রূপ এবং সৌন্দর্য দেখে মেয়েরা আকৃষ্ট হতে শুরু করলো।আসলে শুধু বিটিএস নয়, কে-পপ জগতের সব বয়েস ব্যানডই সাজু-গুজু করে থাকে।তবে,সবার চেয়ে বিটিএস বেশি ফেমাস হওয়ায় সবাই এখন,কোরিয়ান ছেলে দেখলেই তাদের বিটিএস বলে।আসলে সাজু-গুজু করা,চুল রং করা এটা কোরিয়ার কালচার।
প্রথমে আমি এদের মেয়ে ভেবেছিলাম। ভাবলাম যাক একটা নারী ব্যান্ড জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পরে জানতে পারলাম এরা সবাই পুরুষ!
পরের ভাবনা ছিলো,এতো সুন্দর এরা! একদম নিখুঁত। তারপর একটু খোঁজ নিয়ে দেখলাম সবই কৃত্রিমতার অবদান! BTS ভক্ত তরুণীদের মধ্যে নাকি সৌন্দর্যের মানদণ্ড পরিবর্তন হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে অহরহ এদের ছবির পাশে অন্য একজনের ছবি বসিয়ে তুলনা করা হচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি মেয়েদের ডে'তে দেখেছি এদের মতো ছেলে না পেলে বিয়ে করবে না। কি ভয়ংকর কথা!
এদের নিয়ে আবার সামাজিক মাধ্যমগুলোতে কিছু বলতে পারবেন না। এদের বিটিএস আর্মি আছে (কেউ কি বলবেন এদের সদরদপ্তর কোথায়?)। একবার যদি ভুলেও এদের সম্পর্কে কিছু বলেন, সেটাই অনলাইনে আপনার শেষ দিন।B TS এর গান না শুনলে আধুনিক সমাজ আপনাকে হেয় চোখে দেখবে, এদের বিপক্ষে বললে আপনি হেটার্স!
এই আজব পৃথিবী দেখার জন্যই হয়তো আমাদের জন্ম হয়েছিলো...এর থেকে ডাইনোসর এর যুগে জন্মালেও ভালো হতো।