night queen flower এই দুর্লভ ফুলটি ফুটেছে আমাদের নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল হাজারীবাগ হযরত জলিল শাহ মাজারে ৷ প্রতিদান সন্ধ্যার পর বহু লোকের সমাগম ঘটে এই ফুল দেখার জন্য ৷ এই ফুলটি অনেকটা পদ্ম ফুলের মত দেখতে, রং সাদা ৷ মৃদু একটা সৌরভ আছে এই ফুলের ৷ ফুল ফুটে থাকে রাতের শুরু থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত, মধ্য রাত পার হলেই ফুল মিলিয়ে যেতে শুরু করে ৷ আর সেই রাতের অন্ধকারে’ই হয় তাঁর জীবনাবসান ৷ নাইট কুইনকে রাতের রাণী বলা হয়, দুর্লভ একটি ফুল বলা হয় যাকে ৷ প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, এটা যতটা দুর্লভ ফুল ভাবা হয় আসলে ততখানি নয় ৷ কিছুটা বিরল ক্যাকটাস জাতীয় ৷ এ ফুলটির আদি নিবাস আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চল এবং মেক্সিকোতে ৷ নাইট-কুইনের বৈজ্ঞানিক নাম peniocereus greggi ৷ যার দেখা মেলে গাছ লাগানোর আনেক দিন পর ৷ প্রচলিত ধারনায় এটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করে থাকে অনেকে ৷ তবে প্রায় দুর্লভ ফুল হিসাবে নয়, ফুলের চির স্নিগ্ধ শুভ্র-প্রবিত্র রূপকে সবাই বেশি পছন্দ করে ৷ আর নাইট-কুইনের সৌন্দর্যে সবাই এতটা’ই মুগ্ধ হয় যে, তাঁর সৌন্দর্য নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করে না ৷ নাইট-কুইন ফুল নিয়ে পৃথিবী জুড়ে বহু কাহিনী ছড়িয়ে আছে ৷ সবচেয়ে বিখ্যাত কাহিনীর অবতারণা ঘটেছিল দু’হাজার বছর আগে বেথেলহ্যাম নগরীতে ৷ তখন নগরীর প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে নাইট-কুইন ফুল গাছ ছিল, একদিন রাতে ঘটল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ৷ প্রতিটি বাড়ির নাইট-কুইন গাছে ফুলে-ফুলে ছেয়ে গেল ৷ এই ঘটনায় কৌতূহলী নগরবাসী এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিল ৷ তাঁরা কেউই বুঝে উঠতে পারলনা প্রকৃতি কেন এক অজানা উৎসবে মেতে উঠেছে, পরে অবশ্য সবাই বুঝতে পেরেছিল সেই রাতে বেথেলহ্যামের ঘোড়ার আস্তাবলে জন্ম হয়েছিল এক মহাপুরুষের, যিনি যিশু খ্রীষ্ট ৷ বেথেলহ্যামের সব নাইট-কুইন সেই রাতে মেতে উঠেছিল যিশুখ্রীষ্টের জন্মোৎসবে ৷ এ জন্য আজো অনেকের কাছে এ ফুলটি বেথেলহ্যামফ্লাওয়ার নামেও পরিচিত ৷ আর আমাদের নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল হাজারীবাগ হযরত জলিল শাহ মাজারে অন্ততঃ বিশবছর যাবৎ এই দুর্লভ ফুল নাইট-কুইন প্রতি বছর জুন মাসের শুরু থেকে ফুটতে থাকে, তা অনেক দিন পর্যন্ত ফুটে ৷ এখান থেকে আনেকে গাছের পাতা নিয়েও বীজ হিসেবে লাগিয়েছিল, কিন্তু গাছ হয়নি ৷ আর এটা গাছের পাতা থেকে’ই গাছ হয় ৷ আর পাতা থেকে’ই কলি তারপর ফুল ৷