জন্ম হওয়ার পরপরই শিশুরা কেন কাঁদে এবিষয়ে বিভিন্ন গবেষণা বিভিন্ন মতামত তুলে ধরে৷ যেমন বলা হয়ে থাকে, শিশুটি মাতৃগর্ভে নিরিবিলিতে বেড়ে উঠতে থাকে৷ যেখানে কেউ তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা বা তাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করে না৷
সেই পরিবেশে সে দীর্ঘদিন নিজেকে মানিয়ে গুছিয়ে নিতে থাকে৷ সেই শান্তাবস্থাই তার পছন্দের পরিবেশ হয়ে ওঠে৷ কিন্তু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর হঠাৎই এক মুহূর্তে তার সবকিছু বদলে যায়, যা ওই টুকু একটা শিশুর পক্ষে মানিয়ে নেওয়া কঠিনতম একটি বিষয়৷
শুধু তাই নয়, ভেতরের পরিবেশে এবং বাইরের পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই সে টের পায় শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময়৷ জানা যায়, জন্মের পর তার কান্নার ফলেই তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা, পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়৷
কিন্তু এর অন্যথা হলেই কিন্তু চিন্তা বেড়ে যায় অনেকক্ষেত্রেই৷ জন্মের পর শিশুরা না কাঁদলে মনে করা হয় তার শরীরে অক্সিজেন ছড়িয়ে পড়তে কোনও সমস্যা হচ্ছে৷ আর এমন হলে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়৷ তাই দেখা যায়, শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর না কাঁদলে, তার পিছনে মেরে তাঁকে কাঁদানোর চেষ্টা করা হয়, যাতে প্রাথমিক কিছু সমস্যা থাকলে তা ঠিক হয়ে যায়৷
আবার অনেকক্ষেত্রে মনে করা হয়, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পদ্ধতি শিশুর কাছে খুবই কষ্টকর হওয়ায় তারা কেঁদে ওঠে, এবং তারপরে দীর্ঘক্ষণ ঘুমায়৷ তবে বিভিন্ন মতামত শোনা যায় এই নিয়ে৷
সূত্রঃ মিরর।