উত্তপ্ত আবহাওয়ায় বনাঞ্চলসমৃদ্ধ যেকোনো স্থানেই দাবানল দেখা দিতে পারে৷ সাধারণত, যখন কোনো আগুনের উৎস প্রচন্ড তাপমাত্রায় এবং যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন দাবানলের সুত্রপাত ঘটে বলেই জানা যায়৷ গাছপালা থেকে থেকে ক্রমাগত পানি বাস্পীভূত হয়ে সৃষ্টি হয় পানির এই ঘাটতি৷ এই ঘাটতি পূরণ করা হয় মাটি বা বাতাসে বিদ্যমান জলীয় বাষ্প বা বৃষ্টির পানি শোষণ করে৷ কিন্তু অনেকদিন ধরে উত্তপ্ত ও শুষ্ক আবহাওয়া চলতে থাকলে গাছপালা পানির এই সমতা রক্ষা করতে না পেরে শুষ্ক ও দাহ্য হয়ে ওঠে৷ যেসব অঞ্চলের আবহাওয়া এতটাই আর্দ্র যে গাছপালা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, আবার দীর্ঘ সময়ের জন্য শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে, সেসব অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়৷
* প্রাকৃতিক কারণ, মানুষের সৃষ্ট কারণ
দাবদাহ, অনাবৃষ্টি, খরা, বজ্রপাত, আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত এবং এলনিনো ধরনের আবহাওয়ার চক্রাকার পরিবর্তনকে জঙ্গলে আগুন লাগার প্রাকৃতিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷ সংঘটিত দাবানলের দশটির মধ্যে আটটির পেছনেই মনুষ্যসৃষ্ট কোনো না কোনো কারণ কাজ করে বলে জানা যাচ্ছে৷ এসব কারণের মধ্যে সিগারেট বা ক্যাম্প ফায়ার, চাষাবাদযোগ্য জমি বৃদ্ধি বা নগরায়ণের লক্ষ্যে আগুন লাগানোর সময় দুর্ঘটনাবশত তা ছড়িয়ে পড়া প্রধান৷
©DW