রংধনু কীভাবে তৈরি হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+5 টি ভোট
1,948 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
প্রকৃতপক্ষে রংধনু সৃষ্টি হয় বাতাসে ভেসে থাকা পানির কণার মধ্য দিয়ে সূর্যের আলোর সাতটি মৌলিক রঙে বিভাজিত হওয়ার মাধ্যমে। বৃষ্টি শেষে বাতাসে যে পানির কণা ভাসমান থাকে তা অনেকটা প্রিজমের মতো কাজ করে সূর্যের আলোকে বিভাজিত করে। যখন প্রিজমের মতো আচরণ করে পানির কণাগুলো সূর্যের সাদা আলোকে সাতটি আলাদা আলোতে ভাগ করে তখনই তা আমাদের চোখে রংধনু হিসেবে ধরা দেয়। রংধনুতে একদম উপরের দিকে থাকে লাল রং আর একদম নিচের দিকে থাকে বেগুনী রং। তবে রংধনুতে সবসময়ই যে সাতটি রং দেখা যাবে এমনটি নাও হতে পারে। কখনো কখনো সাতটির কম রং নিয়ে রংধনু সৃষ্টি সম্ভব।

তবে বৃষ্টির পরপর আকাশে থাকা জলকণা যে রংধনু সৃষ্টি করবেই তার কোন নিশ্চয়তা নেই। রংধনু দেখার জন্যে সূর্য আপনার পেছনের দিকে থাকা বাঞ্ছনীয় আর পানির কণা থাকতে হবে সামনের দিকে। আর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হল বৃষ্টি শেষে ঝকঝকে সূর্যের আলো। বৃষ্টি ছাড়াও কিন্তু রংধনু সৃষ্টি সম্ভব ! ফোয়ারা বা ঝরনার আশেপাশে প্রায়ই রংধনুর দেখা মিলতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (12,990 পয়েন্ট)
বৃষ্টির কণা বা জলীয় বাষ্প-মিশ্রিত বাতাসের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো যাবার সময় আলোর প্রতিসরণের কারণে বর্ণালীর সৃষ্টি হয়। এই বর্ণালীতে আলো সাতটি রঙে ভাগ হয়ে যায়। এই সাতটি রঙ হচ্ছে বেগুনী, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল; এই রংগুলোকে তাদের আদ্যক্ষর নিয়ে সংক্ষেপে বলা হয়: বেনীআসহকলা। এই সাতটি রঙের আলোর ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এদের বেঁকে যাওয়ার পরিমাণে তারতম্য দেখা যায়। যেমন লাল রঙের আলোকরশ্মি ৪২° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যদিকে বেগুনী রঙের আলোকরশ্মি ৪০° কোণে বাঁকা হয়ে যায়। অন্যান্য রঙের আলোক রশ্মি ৪০° থেকে ৪২°'র মধ্যেকার বিভিন্ন কোণে বাঁকা হয়। এই কারণে রংধনুর রঙগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সারিতে সবসময় দেখা যায়। প্রাথমিক উজ্জ্বল রংধনুর একটু উপরে কম উজ্জ্বল আরেকটি গৌণ রংধনু দেখা যায়, যাতে রংগুলি বিপরীত পরিক্রমে থাকে। এই দুই ধনুর মধ্যবর্তী আকাশ (আলেক্সান্ডারের গাঢ় অঞ্চল) বাকি আকাশের থেকে একটু অন্ধকার হয়, তবে ভালো করে লক্ষ না করলে এই তারতম্য নজর এড়িয়ে যেতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
রংধনু কখন হয়, সেটি কমবেশি সবারই জানা। বৃষ্টির সময় রোদ উঠলে রংধনু ওঠে। মাঝেমধ্যে উঁচু ঝর্ণা বা জলপ্রপাতের গোড়াতেও রংধনু দেখা যায়। তার মানে এটা পরিষ্কার, রংধনুর জন্য পানি লাগবে, আর লাগবে রোদ।

এখন কথা হলো, রোদ-বৃষ্টি হলেই কি রংধনু হয়? অনেকটা তাই; তবে সূর্যকে একটু কোনাকুনি/অ্যাঙ্গেলে থাকতে হবে। তাই ভরদুপুরে রংধনু ওঠে না। কারণ, তখন সূর্য একদম খাড়া উপরে থাকে, কোনাকুনির কোনো বালাই-ই থাকে না। রংধনুর জন্য আলোর একটি বিশেষ ধর্ম দায়ী। এক বলা হয় আলোর প্রতিসরণ।

আলোর তো চলতে কোনো মাধ্যমই লাগে না। তাই সূর্য আর পৃথিবীর মাঝখানে কোনো পদার্থ না থাকলেও আলো ঠিকই সূর্য থেকে পৃথিবীতে চলে আসতে পারে। কিন্তু যখনই আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, ওর চলার পথে নানা পদার্থ চলে আসে—বিভিন্ন গ্যাস, ধুলোবালি, আরো কত কী। এসবই পদার্থ বা মাধ্যম। এগুলোর মধ্য দিয়ে আসার সময় আলো একটু একটু করে বেঁকে যায়। আলোর এই বেঁকে যাওয়াকেই বলে আলোর প্রতিসরণ।

এখন, বৃষ্টির সময় বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। মানে আলোর চলার পথে পদার্থ বা মাধ্যম অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। ফলে সূর্যের আলো আসার সময় আলোর প্রতিসরণও বেশি হয়। এমনি সময়ে আলোর প্রতিসরণ বা বেঁকে যাওয়াটা খুব বেশি পরিমাণে হয় না বলে আলোর সব রং আলাদা করে দেখা যায় না। যে রংটা অপেক্ষাকৃত বেশি বাঁকে, সেটাই দেখা যায়।

কিন্তু বৃষ্টির সময় এই প্রতিসরণ অনেক বেশি হয়। কারণ, জলীয় বাষ্প বা পানি বায়ুমণ্ডলের অন্য সব পদার্থ বা মাধ্যমের তুলনায় একটু বেশিই ভারী। তখন আলোর সব রং-ই অনেক বেশি করে বাঁকে। ফলে সূর্যরশ্মিতে থাকা সাতটা রং-ও আলাদা আলাদা করে দেখা যায়—বেগুনি (violet), নীল (indigo), আসমানি (blue), সবুজ (green), হলুদ (yellow), কমলা (orange) ও লাল (red)।

বাংলাতে এই রংগুলোর নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে সংক্ষেপে বলা হয় ‘বেনীআসহকলা’। ইংরেজিতে প্রথম বর্ণগুলোকে নিয়ে বলা হয় VIBGYOR।

এখন প্রশ্ন হলো, আলো বেঁকে গেলে সাতটি রং আলাদা করে কেন দেখা যায়? এই আলাদা সাতটি রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যও আলাদা। তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলাদা বলেই আলোগুলোর আলাদা রং হয়। এখন এই আলাদা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য প্রতিটি আলোর বেঁকে যাওয়ার পরিমাণও আলাদা হয়। এই যেমন লাল রঙের আলো ৪২ ডিগ্রি কোণে বাঁকে। আবার বেগুনি রঙের আলো বাঁকে ৪০ ডিগ্রি কোণে। অন্য রঙের আলোগুলো বাঁকে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যের বিভিন্ন পরিমাণে। এ কারণে রংধনুতে সব সময় রংগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সারিতে দেখা যায়।

তবে রংধনুর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, রংধনু কখনো একা একা ওঠে না। মানে, রংধনু সব সময় দুটো করে ওঠে! আসল যে রংধনু, তার একটু ওপরে আরেকটি রংধনু ওঠে। সেটা অবশ্য আসল রংধনুর চেয়ে কম উজ্জ্বল, আর রংগুলোও থাকে বিপরীতক্রমে। এ দুই রংধনুর মাঝখানের অংশে আকাশের অন্যান্য অংশের চেয়ে আলো একটু কম থাকে। অবশ্য এ দুই নম্বর রংধনু আর মাঝের কম আলোকিত অংশ খুব একটা স্পষ্টভাবে দেখা যায় না। আকাশ অনেক বেশি পরিষ্কার থাকলে আর যথেষ্ট আলো থাকলে, তবেই এদের দেখতে পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 474 বার দেখা হয়েছে
24 সেপ্টেম্বর 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Tamim Hossain (12,990 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 273 বার দেখা হয়েছে
12 অগাস্ট 2021 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Mushfiqur Rahman (590 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 423 বার দেখা হয়েছে
12 অগাস্ট 2021 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন প্যারাফিন (2,760 পয়েন্ট)
+14 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,839 বার দেখা হয়েছে
10 অগাস্ট 2020 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৩ (25,790 পয়েন্ট)
+13 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,075 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

273,423 জন সদস্য

44 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 40 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. sib_gat

    110 পয়েন্ট

  4. phantomdeluxe

    110 পয়েন্ট

  5. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...