আপনি কি ভূতের মুভি দেখতে ভালবাসেন প্রায়-ই? ভূতের মুভি মনের উপর একটি নেগেটিভ প্রভাব ফেলে, এ কথা কিন্তু আপনাকে হামেশাই শুনতে হয়! তবে জেনে রাখুন, ভূতের মুভি দেখার একটি পজেটিভ দিকও আছে অনেক। সবচেয়ে বড় পজেটিভ দিক হল, এতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়। এছাড়া ভূতের মুভি দেখলে ওজনও কমে!
অবাক হওয়ার কিছু নেই বা এটা কোনও গালগল্পও নয়। এই কথা গুলো বলছেন ইংল্যান্ডের কোভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। ‘স্ট্রেস’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাপত্রটি। গবেষকরা অন্ধকার ঘরে কয়েকজনকে বন্দি করে রাখেন। এবং তাদের প্রচণ্ড ভয়ের একটি ভূতের সিনেমা দেখানো হয় বলে জানানো হয়। অতর্কিত ‘শক’-এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। সিনেমা শুরুর আগে প্রত্যেকের রক্তের স্যাম্পল নেওয়া হয়। ব্রেকের সময় দ্বিতীয়বারের জন্য দর্শকদের রক্তের নমুনা নেন গবেষকরা।
সিনেমা শেষে ফের একবার নমুনা সংগৃহীত হয়। অদ্ভুত রকমভাবে শেষ নমুনাটিতে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বেড়ে যেতে দেখা যায়। এটি হল সেই কণিকা, কোনও জীবাণুর আক্রমণে যা সংখ্যায় বেড়ে যায়। লোহিত রক্তকণিকার থেকেও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে জীবাণু প্রতিরোধে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ভূতের সিনেমা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তি বাড়াচ্ছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইমিউনোলজিস্ট নাতালি রিডেল আবার অন্য কথা শোনাচ্ছেন। তার মতে, রোমহর্ষক ভূতের সিনেমায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অ্যাড্রেনালিন হরমোন ক্ষরিত হয়। এই অধিক ক্ষরণ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এর ফলে বেড়ে যায় হৃদস্পন্দন। বেড়ে যায় বিএমআর (বেসিক মেটাবলিক রেট)। যার মাধ্যমে শরীরে সঞ্চিত শক্তি (এনার্জি) ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
অর্থাৎ, ভূতের সিনেমা রোগ প্রতিরোধকের সঙ্গেই ওজনও কমাতে সাহায্য করে। নাতালি জানাচ্ছে, সিনেমা পিছু প্রায় ১১৩ ক্যালরি করে ঝরানো যায়, যা ৩০ মিনিট দ্রুতবেগে হাঁটার সমান!
ক্রেডিট : Kolkata 24x7