শ্বাস-প্রশ্বাস জিনিসটা আসলে কী? সহজ কথায় অক্সিজেন আর কার্বন ডাইঅক্সাইডের আদান-প্রদান। অক্সিজেন দেহের ভেতর ঢুকবে আর কার্বন ডাইঅক্সাইড দেহ থেকে বের হবে। ঘাসফড়িং-এর ক্ষেত্রে এই গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে ট্রাকিয়া ও ট্রাকিওলের মাধ্যমে। ২টি পর্যায়ে শ্বসন সম্পন্ন হয়:
প্রশ্বাস (Inspiration):
প্রশ্বাস হল শ্বাসগ্রহণ। অর্থাৎ এই পর্যায়ে অক্সিজেন দেহের ভেতর প্রবেশ করে।
পেশির প্রসারণ → উদরীয় খন্ডকের প্রসারণ → ট্রাকিয়ার অন্তঃস্থ গহ্বরের আয়তন বৃদ্ধি → ৪ জোড়া প্রশ্বাসী শ্বাসরন্ধ্র খুলে যায় → অক্সিজেন ট্রাকিয়ায় পৌঁছায় → ট্রাকিওল ও বায়ুথলির মাধ্যমে অক্সিজেন কোষের ভেতরে পৌঁছায়
নিঃশ্বাস (Exspiration):
নিঃশ্বাস হল শ্বাসত্যাগ। এই পর্যায়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড দেহ থেকে বের হয়।
কোষ থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বায়ুথলি ও ট্রাকিওলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রবেশ → কার্বন ডাইঅক্সাইড ট্রাকিয়ায় পৌঁছায় → পেশির সংকোচন → উদরীয় খন্ডকের সংকোচন → ট্রাকিয়ার অন্তঃস্থ গহ্বরের আয়তন হ্রাস → বাকি ৬ জোড়া নিঃশ্বাসী শ্বাসরন্ধ্র খুলে যায় → কার্বন ডাইঅক্সাইড দেহ থেকে বের হয়