রক্ত সংবহন প্রক্রিয়া:
হৃৎযন্ত্র ও অ্যালারি পেশির সংকোচন ও প্রসারণের ফলেই ঘাসফড়িং এর দেহের বিভিন্ন অঞ্চলে রক্ত প্রবাহিত হয়ে থাকে। অ্যালারি পেশিসমূহের ছন্দোবদ্ধ সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত প্রথমে পেরিকার্ডিয়াল সাইনাস হতে অস্টিয়ার সাহায্যে হৃৎযন্ত্রে প্রবেশ করে। হৃৎযন্ত্রের ক্রমাগত সংকোচনের মাধ্যমে রক্ত একটি প্রকোষ্ঠ হতে অন্য প্রকোষ্ঠে ধাবমান হয়। ঘাসফড়িং এর রক্তের গতিপথ সবসময়ই পিছনের প্রকোষ্ঠ হতে সামনের দিকে হয়ে থাকে। আর এক্ষেত্রে আন্তঃ প্রকোষ্ঠীয় কপাটিকাগুলো রক্তের একমুখিতা নিশ্চিত করে। এভাবে প্রকোষ্ঠের অস্টিয়াগুলো রক্ত সঞ্চালনের সময় বন্ধ থাকায়, রক্ত হৃৎযন্ত্রের বাইরের সাইনাসে আসতে পারে না। হৃৎযন্ত্রের প্রকোষ্ঠ হতে রক্ত সম্মুখ অ্যাওর্টার মাধ্যমে বক্ষ অঞ্চল পার হয়ে মস্তিষ্কে এসে পৌঁছায়। তারপর আন্তঃ সাইনাস ছিদ্রপথে দেহের বিভিন্ন ধরনের নড়াচড়া দ্বারা রক্ত পেরিনিউরাল ও পেরিভিসেরাল সাইনাসে যায়। পেরিভিসেরাল সাইনাস হতে রক্ত পুনরায় পেরিকার্ডিয়াল সাইনাসে প্রবেশ করে। সাধারণত এভাবেই রক্ত ঘাসফড়িং এর দেহে চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে।
সারাদেহে একবার রক্তপ্রবাহ সম্পন্ন হতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট। আর প্রতি মিনিটে ঘাসফড়িং-এর হৃৎযন্ত্রের স্পন্দন হয় ১০০ থেকে ১১০ বার।
ঘাসফড়িং-এর রক্ত প্রবাহের গতিপথ:
পেরিকার্ডিয়াল সাইনাস → হৃৎযন্ত্র → সম্মুখ অ্যাওর্টা → মস্তকের সাইনাস → পেরিনিউরাল সাইনাস → পেরিভিসেরাল সাইনাস