পরিপাক প্রক্রিয়ায় এনজাইমের সাহায্যে জটিল খাদ্যবস্তু ভেঙে সরল ও শোষণ উপযোগী বস্তুতে পরিণত হয়।
হাইড্রার পরিপাক দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়। যথা-
বহিঃকোষীয় পরিপাক
কোষের বাইরে খাদ্যবস্তুর পরিপাকই হল বহিঃকোষীয় পরিপাক। খাদ্য সিলেন্টরনে পৌঁছানোর পরপর মুখছিদ্র যায় বন্ধ হয়ে। অন্তঃত্বকীয় কোষগুলো তখন এনজাইম ক্ষরণ করে। এনজাইমের প্রভাবে শিকারের মৃত্যু ঘটে। তারপর দেহপ্রাচীরের সংকোচন ও প্রসারণ ঘটে যার ফলে শিকারটি টুকরো টুকরো কণায় পরিণত হয়। এই টুকরো কণাগুলো এনজাইমের সাথে মিশে যায় ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে। এভাবে এনজাইমের প্রভাবে খাবারের পরিপাক হতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় পেপসিন এনজাইমের কথা। এর প্রভাবে প্রোটিন পরিণত হয় পলিপেপটাইডে। তবে লিপিড ও শর্করা খাদ্যাংশের কোনো পরিবর্তন হয় না।
অন্তঃকোষীয় পরিপাক
অন্তঃকোষীয় পরিপাকের ক্ষেত্রে ছোট ছোট খাদ্যকণা ফ্যগোসাইটোসিসের মাধ্যমে কোষের ভেতরে প্রবেশ করে। ফ্যগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় খাদ্য গহ্বরের সৃষ্টি হয়। তারপর সাইটোপ্লাজম নিঃসৃত এনজাইমের মাধ্যমে খাদ্য গহ্বরের ভেতরে এদের পরিপাক ঘটে। খাদ্য গহ্বর প্রথমে অম্লীয় ও পরে ক্ষারীয় মাধ্যমে থাকে। নিচের বিক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে অন্তঃকোষীয় পরিপাক সম্পন্ন হয়।
ট্রিপসিন:
১। পলিপেপটাইড → অ্যামাইনো এসিড
লাইপেজ:
২। লিপিড → ফ্যাটি এসিড + গ্লিসারল
অ্যামাইলেজ:
৩। শর্করা → গ্লুকোজ